Advertisement
E-Paper

বিরোধীরা একজোট হতেই বিধানসভা ভাঙল কাশ্মীরে

জুলাই মাসে বিজেপি-পিডিপি জোট ভাঙার পরে বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাজ্যপালের শাসন জারি করা হয়েছিল কাশ্মীরে। পিডিপি সূত্রের দাবি, সাজ্জাদ লোনকে সামনে রেখে সরকার গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২৫

লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী জোট গড়তে সক্রিয় রাহুল গাঁধী। জম্মু-কাশ্মীরে বরাবর বিপরীত মেরুতে থাকা দুই আঞ্চলিক দল পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সকে নিয়ে তেমনই জোট গড়ল কংগ্রেস। ফলে নাটকীয় মোড় নিল রাজ্য রাজনীতি। একইসঙ্গে সরকার গড়ার দাবি জানালেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি ও প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোন। কিন্তু বিধানসভা ভেঙে দিয়ে আপাতত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসনই বজায় রাখল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর গোটা দিনের নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে রইল জম্মুতে রাজভবনের ফ্যাক্স মেশিন।

জুলাই মাসে বিজেপি-পিডিপি জোট ভাঙার পরে বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাজ্যপালের শাসন জারি করা হয়েছিল কাশ্মীরে। পিডিপি সূত্রের দাবি, সাজ্জাদ লোনকে সামনে রেখে সরকার গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি। ৮৭ আসনের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৪৪টি আসন প্রয়োজন। বিজেপির হাতে রয়েছে ২৪টি আসন। সাজ্জাদের পিপলস কনফারেন্সের বিধায়কের সংখ্যা দুই। ফলে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পিডিপি-কে ভাঙার চেষ্টাও করেছিল বিজেপি। পিডিপি সূত্রে খবর, এর পরেই নতুন সরকার গঠনে উদ্যোগী হন দলীয় নেতৃত্ব। আলোচনা শুরু হয় কংগ্রেস ও ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে। পিডিপি-র বিধায়ক সং‌খ্যা ২৯। ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের ১৫ ও ১২ জন বিধায়ক রয়েছেন। ফলে ৫৬ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন মেহবুবা। অন্য দিকে সাজ্জাদ জানান, তাঁকে বিজেপির ২৪ জন ও আরও ১৮ জন বিধায়ক সমর্থন করতে রাজি।

সন্ধ্যায় টুইটারে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি জানান, সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের কাছে চিঠি পাঠাতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চিঠি রাজভবনের ফ্যাক্স মেশিনে পৌঁছয়নি। ফোনেও রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাই চিঠিটি টুইট করছেন তিনি। সাজ্জাদও দাবি করেন, তাঁর চিঠি ও রাজভবনের ফ্যাক্স মেশিনে পৌঁছয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে টুইটে ওমরের কটাক্ষ, ‘রাজভবনের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নতুন ফ্যাক্স মেশিন’। এর পরেই রাজ্যপালের তরফে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। বিজেপি সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরে বিরোধীদের একজোট হওয়ার কথা শুনেই বৈঠকে বসেন মোদী সরকারের কর্তারা। স্থির হয় আপাতত বিধানসভা ভেঙে দিয়ে বিরোধীদের ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হবে। মোদী সরকার সূত্রে খবর, আইন অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট করতে হবে। ফলে লোকসভা ভোটের সঙ্গে ওই রাজ্যে ভোট করার কথা ভাবা যেতে পারে।

বিধানসভা ভাঙার ঘোষণা অবশ্য পাঠানো হয়েছে রাজভবনের ফ্যাক্স মেশিন থেকেই।

Mehbooba Mufti Omar Abdulla Jammu and Kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy