অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা। পাঁচ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের ১০০ জনের মধ্যে ২৭ জনই কোটিপতি ছিলেন। এ বার প্রতি ১০০ জন প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি ২৯ জন।
সাত দফার ভোটে প্রার্থী মোট ৮০৪৯ জন। তার মধ্যে ৭৯২৮ জনের হলফনামা খতিয়ে দেখে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) বলছে, ২২৯৭ জন কোটিপতি প্রার্থী এ বার ভোটের ময়দানে নেমেছেন। তার মধ্যে ৮৮১ জনের সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি।
কোটিপতিদের প্রার্থী করার দৌড়ে কংগ্রেস ও বিজেপি সমান সমান। দু’দলেরই প্রার্থীদের ৮৩% কোটিপতি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, কোটিপতি প্রার্থীদের দাপট সব থেকে বেশি উত্তর-পূর্বের ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে। যেমন, অরুণাচলের ৮৩% প্রার্থীই কোটিপতি। মেঘালয় ও মিজোরামে কোটিপতি প্রার্থীর হার যথাক্রমে ৭৮% ও ৬৭%। নাগাল্যান্ড, দমন ও দিউ, লক্ষদ্বীপ, গোয়ার শতকরা ৫০ ভাগ প্রার্থীই কোটিপতি। তুলনায় অনেক পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য থেকে যত জন প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৩% কোটিপতি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ বার লোকসভা ভোটে লড়তে নামা সব থেকে ধনী প্রার্থী বিহারের রমেশ কুমার শর্মা। পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন এই নির্দল প্রার্থী। তাঁর সম্পত্তির মূল্য ১১০৭ কোটি টাকা। গুজরাত, মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু শিল্প সংস্থার মালিক রমেশ এর আগেও বিধানসভা ভোটে লড়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তেলঙ্গানার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের উদ্যোগপতি কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া রেড্ডির সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯৫ কোটি টাকা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের পুত্র নকুলনাথ রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। ছিন্দওয়াড়ায় বাবার পুরনো আসনে প্রার্থী নকুলের ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।
আবার পকেটে ১০০ টাকা নিয়ে ভোটে লড়তে নামা লোকও রয়েছেন। সম্পত্তির দিক থেকে একেবারে শেষ সারিতে থাকা তিন জন জানিয়েছেন, তাঁদের সব মিলিয়ে মাত্র ১০০ টাকাই রয়েছে। তামিলনাড়ুর পি রাজেশ, এন রাজা এবং কেরলের পি আর শ্রীজিত—তিন জনেই নির্দল প্রার্থী। ১২০ টাকা পকেটে নিয়ে শ্রীজিত প্রার্থী হয়েছেন কেরলের ওয়েনাডে। যে কেন্দ্রে এ বার ভোটে লড়ছেন রাহুল গাঁধী। ৬০ জন প্রার্থী জানান, তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কিছুই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy