Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গে এনআরসি নিয়ে নীরবই রইলেন অমিত শাহ

শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম এই বৈঠক নিয়ে ছিল প্রবল জল্পনা। আলোচনার মূল বিষয় ছিল নাগরিক পঞ্জি।

অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে।—ছবি পিটিআই।

অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
Share: Save:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলা ভাল থাকলে গোটা দেশ ভাল থাকবে’।

শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম এই বৈঠক নিয়ে ছিল প্রবল জল্পনা। আলোচনার মূল বিষয় ছিল নাগরিক পঞ্জি। বৈঠক শেষে মমতা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন— শাহ শুনেছেন বেশি, বলেছেন কম। তবে রাজ্যের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

সম্প্রতি অসমে চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলায় এনআরসি চাইছেন বিজেপি নেতারা। কালই অমিত শাহ ঝাড়খণ্ডে জানিয়েছেন, গোটা দেশে এনআরসি চায় সরকার। এই আবহে আজ বৈঠকে এনআরসি প্রশ্নে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলার ভূ-কৌশলগত অবস্থান ব্যাখ্যা করেন মমতা। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর— মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নেপাল-ভুটান ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। অসমের ঘটনায় বাংলায় এনআরসি নিয়ে অসন্তোষ, আশঙ্কা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রেশন কার্ড বানানোয় লাইন পড়ার উদাহরণ দিয়ে মমতা বলেন ‘‘মানুষ ভাবছেন, রেশন কার্ডে নাম না-থাকলে এনআরসি-তে বাদ পড়বেন। তাই লম্বা লাইন পড়ছে।’’

স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া বাংলার মানুষ এনআরসি-র কারণে নিজেদের বহিরাগত ভাবতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা। তিনি জানান, এতে রাজ্যের মানুষের জাত্যভিমান আহত হতে পারে। আর তাতে দেশের নিরাপত্তাই দুর্বল হবে। আজ অসমের এনআরসি পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে অমিতকে একটি চিঠি দেন মমতা। এ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘অসমে ১৯ লক্ষ বাদ পড়াদের মধ্যে বাংলা ও হিন্দিভাষী ছাড়া গোর্খা এবং অসমিয়া সমাজের লোকও রয়েছেন। যাঁরা ভারতীয়, তাঁদের যেন সুযোগ দেওয়া হয়।’’

১ অক্টোবর কলকাতায় দলীয় কর্মীদের কাছে এনআরসি নিয়ে ব্যাখ্যা দেবেন অমিত শাহ। আজকের বৈঠকে তিনি পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-র কোনও ইঙ্গিত দিয়েছেন কি না, প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ এনআরসি চায় না। বিহারের নীতীশও বিরুদ্ধে। আমার আশা অসমের এনআরসি নিয়েও অমিত শাহ ইতিবাচক ভূমিকা নেবেন।’’ এনআরসি প্রশ্নে আজ কেন্দ্র তথা শাহ নীরব থাকায় মমতা রাজনৈতিক সুবিধা পেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE