Advertisement
E-Paper

আকবর ‘সজ্জন ব্যক্তি’, আদালতে বললেন প্রাক্তন মহিলা সহকর্মী

প্রিয়া রমানির অভিযোগের ভিত্তিতেই পাল্টা মানহানির মামলা করেন আকবর। সেই মামলায় মোট ছ’জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেন প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তার মধ্যেই এক জন এই জয়িতা বসু।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৪০
এবার আকবরের পক্ষে আদালতে মত প্রকাশ করলেন তাঁর প্রাক্তন মহিলা সহকর্মী। —ফাইল ছবি

এবার আকবরের পক্ষে আদালতে মত প্রকাশ করলেন তাঁর প্রাক্তন মহিলা সহকর্মী। —ফাইল ছবি

#মিটু-তে কিছুটা স্বস্তি এমজে আকবরের। এ বার প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর কর্মজীবন নিয়ে আদালতে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন এক মহিলা সাংবাদিক।

আকবরের ওই প্রাক্তন সহকর্মী জয়িতা বসু বলেন, ‘‘এমজে আকবরকে আমি দুর্দান্ত সাংবাদিক, বিজ্ঞ লেখক এবং সজ্জন বলেই জানি। আকবর সম্পর্কে এই ধরনের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি হতাশ ও মর্মাহত।’’

#মিটু আন্দোলনের জোয়ারে আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন তাঁর এক সময়ের সহকর্মী সাংবাদিক প্রিয়া রমানি। পর পর কয়েকটি টুইটে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তার পর থেকেই একাধিক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। যার জেরে শেষ পর্যন্ত বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে সাংবাদিক-নেতাকে।

আরও পডু়ন: মত্ত পাইলটের লাইসেন্স তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করল এয়ার ইন্ডিয়া

প্রিয়া রমানির অভিযোগের ভিত্তিতেই পাল্টা মানহানির মামলা করেন আকবর। সেই মামলায় মোট ছ’জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেন প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তার মধ্যেই এক জন এই জয়িতা বসু। বর্তমানে তিনি দ্য সানডে গার্ডিয়ানের সম্পাদক। সোমবার দিল্লির আদালতে তিনি বলেন, ‘‘আকবরের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তাতে তাঁর অর্জিত সম্মানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রিয়া রমানির সব টুইট পড়ার পর আমার মনে হয়েছে, আকবরের এই সম্মানহানি করার জন্যই টুইটগুলি পোস্ট করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: মুখবন্ধ খামে রাফাল চুক্তির তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল কেন্দ্র

জয়িতা বসু আরও বলেছেন, ‘‘আমি ১৯৯৮ সাল থেকে এমজে আকবরকে চিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর সম্পর্কে খারাপ কোনও কিছু শুনিনি। এক সময় তাঁর সহকর্মী ছিলাম বলে প্রিয়া রমানির টুইট প্রকাশ্যে আসার পরই আমার বন্ধুবান্ধবরা বহু বার প্রশ্ন করেছেন, সত্যিই কি উনি এ রকম ছিলেন। ওই বন্ধুরা বলেছেন, ওই টুইটগুলি পড়ার পর আকবরের সম্পর্কে তাঁদের ধারণা বদলে গিয়েছে। তাঁরা এ-ও বলেছেন, আকবরের সম্মান সারা জীবনের জন্য ক্ষতি হয়েছে।’’

আকবরের দায়ের করা মানহানির মামলায় ইতিমধ্যেই নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন। পাশাপাশি, তাঁর পক্ষের সাক্ষী হিসাবে ছ’জনের নাম আদালতকে জানিয়েছিলেন আকবর। তাঁদের মধ্যে প্রথম আকবরের পক্ষে কথা বললেন জয়িতা বসু।

দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।

MeToo Sexual Abuse M J Akbar Hearing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy