হামলা হল খোদ কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে। বহরমপুরের সাংসদ তখন বাড়িতে ছিলেন না। —ফাইল চিত্র।
লোকসভার ভিতরে ধুন্ধুমার হয়েছিল গতকাল। এক কংগ্রেস সাংসদ শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আজ গোলমাল ছড়িয়ে গেল সংসদের বাইরেও। হামলা হল খোদ কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে। বহরমপুরের সাংসদ তখন বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু বাড়ি সংলগ্ন কার্যালয়ের কর্মীদের এবং অধীরের এক পরিজনকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে বলে খবর। ঘটনার তীব্র নিন্দা শুরু করেছে কংগ্রেস।
নয়াদিল্লির সি-১/৪ হুমায়ুন রোডের যে বাংলোয় লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী থাকেন, তার সঙ্গে অধীরের একটি অফিসও রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বাড়ি সংলগ্ন সেই অফিসেই হামলা হয়েছে। তিন-চার জন দুষ্কৃতী আচমকা গালিগালাজ করতে করতে অধীরের বাংলো চত্বরে হাজির হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বাড়ছে করোনা-আতঙ্ক, এ বার আগরায় ৬ জনের শরীরে মিলল ভাইরাস
প্রথমে তাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা জোর করে অধীরের অফিসটিতে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। সেই অফিসে যে কর্মীরা তখন ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এই দুষ্কৃতীরা হাতাহাতি শুরু করে দেয় বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।
হাতাহাতিতেই থামেনি হামলাকারীরা। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতার অফিসে বেশ কিছু ফাইল এবং কাগজপত্র তারা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ। যাওয়ার সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তারা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলেও খবর। শুধু কর্মীরা নন, অধীর চৌধুরীর এক পরিজনও এ দিন হেনস্থার মুখে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
হামলাকারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দিল্লি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই হামলার নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে কি না, অধীর শিবির থেকে সে বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। কিন্তু দিল্লিতে গত সপ্তাহে ভয়াবহ হিংসার প্রেক্ষিতে দেশের রাজনীতি এখন তপ্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে অমিত শাহের ইস্তফা চেয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সোমবার লোকসভা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিজেপি এবং কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অধীর চৌধুরী তখন এগিয়ে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।
আরও পড়ুন: কর্তাদের ঘুষের ব্যবসা! বারুইপুর জেলে বন্দি-তাণ্ডব, দেখুন সেই ভিডিয়ো
সংসদের অন্দরের পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপ কমার লক্ষণ নেই। সেই রাজনৈতিক উত্তাপের কারণেই হামলা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অধীর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও তোলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy