সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলনের মধ্যেই এ বার সরাসরি মুসলিমদের আক্রমণ করলেন কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক এমপি রেণুকাচার্য। মুসলিমরা মসজিদের ভিতরে প্রাণঘাতী অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি।
বেঙ্গালুরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে দেবনগরীজেলার হোন্নাল্লিতে মঙ্গলবার সিএএ-র সমর্থনে বিশেষ সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন রেণুকাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘নমাজ পড়ার বদলে মসজিদের ভিতর প্রাণঘাতী অস্ত্র মজুত করছে মুসলিমরা। ধর্মোপদেশ দেওয়ার বদলে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের কাজিরা।’’
সিএএ-র সমর্থনে এগিয়ে না আসায় মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ অর্থ হিন্দুদের কল্যাণে খরচ করা হবে বলেও হুমকি দেন রেণুকাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন ওদের সমানই ভেবে এসেছি। তা সত্ত্বেও ওরা যদি আমাদের দলকে শত্রু মনে করে, আমরাও ওদের অবজ্ঞা করব। আমাদের নীতি-নিয়মের বিরোধিতা করলে, তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না।’’
আরও পড়ুন: এ বার রাতের অন্ধকারে মহিলাদের পেটাল যোগীর পুলিশ!
আরও পড়ুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, গঠিত হবে সাংবিধানিক বেঞ্চ
কর্নাটকের বিধায়ক রেণুকাচার্য এর আগে রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার রাজনৈতিক সচিব হিসাবে কাজ করেন তিনি। সিএএ নিয়ে জনমত এককাট্টা করতে তাঁর উপরেই দায়িত্ব সঁপেছেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। তাই রেণুকাচার্যের মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন দলের নেতারা। কর্নাটকে বিজেপির মুখপাত্র এস প্রকাশ বলেন, ‘‘দল এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না। উনি যা বলেছেন, তা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দলের আর এক মুখপাত্র জি মধুসূদন। তবে মুসলিমরা সত্যিই মসজিদে অস্ত্র মজুত করছেন কি না, তা-ও দেখা উচিত বলে জানান তিনি। বিরোধীরা অবশ্য রেণুকাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছে।