ছবি: পিটিআই।
দেশজোড়া সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের মাঝে পড়ে এ বার তার স্বপক্ষে যুবসমাজকে কাছে টানতে উদ্যোগী হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আইন নিয়ে দেশের যুবসমাজের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি থাকলে, তা-ও দূর করতে চায় কেন্দ্র। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তবে সিএএ নিয়ে যুবসমাজের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আগ্রহী হলেও, যাঁরা ‘আজাদি’-র স্লোগান দেন বা ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করতেই নারাজ সরকার।
এ দিন সিএএ-এর সমর্থনের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর। সেখানে তিনি জানান, এই আইনের সমালোচনা সত্ত্বেও দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপস হয় না। আমরা এই আইন নিয়ে সব সমালোচনা সহ্য করতে পারি। কিন্তু যাঁরা দেশভাগের কথা বলেন বা সেই মতপোষণ করেন, তাঁরা গ্রহণযোগ্য নন।’’ সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে পথে নেমেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। সেই বিক্ষোভ-মিছিল-জমায়েতে বার বার উঠে এসেছে ‘আজাদি’ স্লোগান। এ দিন রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘যুবসমাজের মধ্যে এই আইন নিয়ে কোনও অস্পষ্টতা থাকলে তা দূর করব। তবে যাঁরা ‘আজাদি’র স্লোগান দেন বা ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে কোনও কথাই হবে না।’’
আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! সিএএ-এর আওতায় শরণার্থীদের চিহ্নিত করা শুরু উত্তরপ্রদেশে
আরও পড়ুন: জামিয়ার বিক্ষোভে শূন্যে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, উল্লেখ থানার ডায়েরিতে!
গত ডিসেম্বরে নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের সরকারও এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে। যা নিয়ে কার্যত চাপের মুখে মোদী সরকার। এ নিয়ে দিল্লিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়ানোর জন্য কংগ্রেস ও শহুরে মাওবাদীদের দায়ী করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিক্ষোভ-বিরোধিতা সত্ত্বে গোটা দেশে এই আইন বাস্তবায়িত করার হুঙ্কার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদীর মতোই দিল্লিতে হিংসার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন তিনি। এমনকি, এর পিছনে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এ দিন রবিশঙ্করের কথাতেও উঠে এসেছে সে প্রসঙ্গ। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, সরকার সব সময়ই বলেছে, এই আইন দেশের বর্তমান নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। পড়শি দেশের অ-মুসলিম শরণার্থীদের জন্য তা প্রযোজ্য। এমনকি, অতীতে কংগ্রেস এ নিয়ে সরব হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy