Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

আচমকা লাদাখে প্রধানমন্ত্রী মোদী, সীমান্ত চৌকিতে গিয়ে কথা বাহিনীর সঙ্গে

তিন বাহিনীর প্রধান সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণেকে সঙ্গে নিয়ে লাদাখ গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণের সঙ্গে লেহ-তে প্রধানমন্ত্রী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণের সঙ্গে লেহ-তে প্রধানমন্ত্রী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ১১:০১
Share: Save:

সঙ্ঘাতের আবহে তাৎপর্যপূর্ণ তৎপরতা। লাদাখ পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লেহ সামরিক ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রীর অবতরণের খবর সকাল ১০টা নাগাদ এসেছে। কিন্তু তিনি যে এ দিন লাদাখ যেতে পারেন, এমন কোনও খবর আগে থেকে ছিল না।

তিন বাহিনীর প্রধান সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণেকে সঙ্গে নিয়ে লাদাখ গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই আচমকা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেজ্ঞরা। লেহ থেকে তিনি এলএসি-র দিকে গিয়েছেন বলেও প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। এলএসিতে ভারতীয় বাহিনীর যে সব সীমান্ত চৌকি রয়েছে, সেগুলোর কয়েকটিতে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন এবং সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ১৫ জুন রাতে গালওয়ানের সংঘর্ষে যে জওয়ানরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লেহতে দেখা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আগে লেহতে গিয়েছেন, নাকি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ফরওয়ার্ড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড নিমুতে তাঁর বিমান আগে অবতরণ করেছে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কারও তরফ থেকেই আগে জানানো হয়নি যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে আজ লাদাখ যেতে পারেন। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের লাদাখ সফরের কথা ছিল। সে সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়। কেন বাতিল, স্পষ্ট জানায়নি দিল্লি। কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, চিনের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া এগোচ্ছে বলেই রাজনাথের সফর স্থগিত করা হল। ভারত যে এখন সঙ্ঘাত চাইছে না, বরং পরিস্থিতি প্রশমিত হয়ে এলে সামরিক তৎপরতা কমানোই যে ভারতের লক্ষ্য, রাজনাথের সফর স্থগিত করে সেই বার্তাই দেওয়া হল বলে কেউ কেউ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, আরও অনেক বড় বার্তা চিনকে দেওয়ার ছিল বলেই বৃহস্পতিবার রাজনাথের সফর স্থগিত হয়েছিল।

এলএসিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পরে স্থলসেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে এবং বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভদৌরিয়া আগেই লাদাখ ঘুরে এসেছিলেন। সামরিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে এসেছিলেন তাঁরা। যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারত তৈরি বলেও বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছিল। তবে চিনের সঙ্গে আলোচনাও চলছিল। তার মাঝেই আচমকা প্রধানমন্ত্রী মোদী লাদাখ পৌঁছনোয় ভারতের কৌশলগত বার্তাই বদলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সীমান্ত সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা। পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর না হলে বা খুব বড় পদক্ষেপের কথা ভাবা না হলে প্রধানমন্ত্রী নিজে সীমান্ত চৌকিতে যান না। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই আচমকা সীমান্ত সফর বাহিনীর মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দেবে বলে দাবি করছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। কূটনীতিক মহল বলছে, চিনের জন্যও এটা খুব বড় বার্তা। লাগাতার আলোচনা চললেও চিন এখনও বৈঠকে গৃহীত কোনও সিদ্ধান্তই মানেনি। এই ভাবে টানাপড়েন চালিয়ে যাওয়ার চিনা কৌশল যে ভারত বেশি দিন সহ্য করবে না, সীমান্তে মোদীর পদার্পণ আজ সরাসরি চিনা প্রেসিডেন্ট চিনফিংকে সেই বার্তা দিয়ে দিল বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এলএসি সফর বুঝিয়ে দিল যে, ভারত এ বার যে কোনও পদক্ষেপের জন্য তৈরি, এমনও বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার, সুস্থও সর্বাধিক

আরও পড়ুন: কানপুরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু আট পুলিশকর্মীর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE