Advertisement
E-Paper

সেনার কাছে গিয়েও সঙ্ঘের কথা মোদীর

ভারত-চিন সীমান্তে ৭৮৬০ ফুট উঁচুতে উত্তরকাশী জেলার বরফঢাকা সেনাছাউনি হরশিল। রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধীরা রোজই যখন আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন দেওয়ালির দিনটা এখানেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোদী।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪৩

উনিশের ভোটের মুখে ফের সঙ্ঘ স্মরণ করতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, ভারত-চিন সীমান্তে বরফ ঢাকা পাহাড়ে সেনা জওয়ানদের মুখোমুখি হয়েও প্রধানমন্ত্রী টেনে আনলেন তাঁর আরএসএস-যোগের কথা। বললেন, সঙ্ঘের সঙ্গে জুড়ে থাকার জন্যই সেনাবাহিনীর কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয়েছিল। সেই সময় থেকেই সেনার মধ্যে থেকে ‘এক পদ এক পেনশন’-এর স্বপ্নের কথা
শুনে এসেছেন। ফলে পরে যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, সেনার সেই দীর্ঘদিনের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে একে কার্যকর করলেন।

ভারত-চিন সীমান্তে ৭৮৬০ ফুট উঁচুতে উত্তরকাশী জেলার বরফঢাকা সেনাছাউনি হরশিল। রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধীরা রোজই যখন আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন দেওয়ালির দিনটা এখানেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোদী।। আজ সকালেই হরশিলে পৌঁছে সেনা ও আইটিবিপি-র জওয়ানদের সঙ্গে সওয়া ঘণ্টা কাটান তিনি। সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। দেশ রক্ষায় সেনার কাজের প্রশংসা করে মোদী বলেন, আপনারা দেশের জমি আর ১২৫ কোটি মানুষের জীবন ও স্বপ্নকে রক্ষা করছেন। প্রদীপ যেমন নিজে জ্বলে আলো দিয়ে যায়, আপনারাও তেমনি সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে কষ্টের জীবন যাপন করেন, দেশের মানুষের মন থেকে ভয় কাটিয়ে দেন।’’

আর এর পরেই সঙ্ঘের সঙ্গে জুড়ে থাকা তাঁর অতীতকে টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আরএসএসের একজন সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই সময়ে এক পদ এক পেনশনের ব্যাপারে শুনি। তার পরে অনেক সরকার এল, গেল। এ নিয়ে কেউ কিছু করেনি। আপনাদের আবেগের কথা জানতাম। তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আমার দায়িত্ব ছিল আপনাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, এই কাজে প্রয়োজনীয় ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১১ হাজার কোটি টাকা সরকার ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।

চার বছর ধরে উন্নয়ন, ছকভাঙা সংস্কারের সওয়াল করার পরে ভোটের মুখে মোদী কেন ফের সঙ্ঘের দেখানো পথে পা রাখতে চাইছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কংগ্রেসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতার কটাক্ষ, ‘‘ভোটের আগে মোদীর ভিতরের আরএসএস সত্তা আবার জেগে উঠেছে। ‘বিকাশ পুরুষ’-এর খোলস ছেড়ে তিনি আবার ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন।’’

মোদী এ দিন পুজো দিতে যান কেদারনাথ মন্দিরে। মন্দিরের পাশের এলাকা কেদারপুরীর পুনর্নিমাণের কাজ নিয়ে খোঁজখবর নেন। ২০১৩ সালে বন্যা ও ধস নামায় চরম ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল এই এলাকার।

পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘মন্দির চত্বরে যেখানে পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে, প্রধানমন্ত্রী সেগুলি ঘুরে দেখেছেন। তাঁকে কাজের প্রগতি নিয়ে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা। মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।’

RSS Narendra Modi Indian Army
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy