Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Kamal Haasan

স্বাধীন ভারতে প্রথম সন্ত্রাসবাদী তো হিন্দুই ছিলেন, কমল হাসনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক

আগামী ১৯ মে তামিলনাড়ুর চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার একটি আরাভাকুরুচি। রবিবার সেখানে তাঁর দলের প্রার্থী এস মোহনরাজের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন কমল। সেই নির্বাচনী জনসভা থেকেই নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত  মন্তব্য করেন তিনি।

কমল হাসন। ফাইল চিত্র।

কমল হাসন। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ১৬:০৫
Share: Save:

‘হে রাম’ ছবিতে সকেত রাম মনে করতেন, ধর্মীয় বিভাজনের জন্য দায়ী মহাত্মা গাঁধী। মনে একটা বিদ্বেষও জন্মেছিল গাঁধীজির প্রতি। তাঁকে হামলার ছকও কষে ফেলেছিলেন। এ বার বাস্তবের সকেত রাম কমল হাসন সেই গাঁধীজির হত্যাকারী হিন্দু নাথুরাম গডসেকে স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেগে দিলেন! তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বিজেপির রোষেরও শিকার হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা-রাজনীতিক।

আগামী ১৯ মে তামিলনাড়ুর চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার একটি আরাভাকুরুচি। রবিবার সেখানে তাঁর দলের প্রার্থী এস মোহনরাজের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন কমল। সেই নির্বাচনী জনসভা থেকেই নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। কমল বলেন, “ভাল ভারতীয়রা চান সমানাধিকার। তেরঙ্গার তিনটে রঙকেই এক্যবদ্ধ দেখতে ভালবাসেন। আমি সেই সব ভারতীয়র দলে। এবং সগর্বে সেটা ঘোষণা করি।”

এর পাশাপাশি কমল আরও বলেন, “সভায় অনেক মুসলিম আছেন বলেই এ কথা বললাম, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। গাঁধীজির মূর্তির সামনে দাঁড়িয়েই এ কথা বলছি।” কমলের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। পাল্টা বলেছে, সামনে ভোট। তাই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এমন মন্তব্য করছেন তামিল অভিনেতা।

আরও পড়ুন: ভোট যত এগোচ্ছে, বাড়ছে কুকথার স্রোত! মোদীকে নজিরবিহীন ব্যক্তিগত আক্রমণ মায়াবতীর

আরও পড়ুন:১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা-ইমেল ব্যবহার করতাম! মোদীর দাবিতে হাসির বন্যা

রাজ্য বিজেপির প্রধান তামিলিসাই সৌন্দরাজন বলেন, “কমল হাসন গাঁধীর হত্যার স্মরণ করছে এখন। এবং যে ভাবে হিন্দু সন্ত্রাসবাদ বলে উল্লেখ করছেন তিনি, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

আরাভাকুরুচিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের বাস বেশি। সৌন্দারাজনের অভিযোগ, এমন একটা এলাকায় দাঁড়িয়ে হিন্দু সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে সংখ্যালঘু ভোট টানতে চাইছেন কমল। কিন্তু এটা করে তিনি ভয়ঙ্কর একটা আগুন জ্বালাতে চলেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, শ্রীলঙ্কা বিস্ফোরণ নিয়ে কেন চুপ ছিলেন কমল? তখন কেন কোনও মতামত দিতে দেখা যায়নি তাঁকে?

২০১৭-তেও হিন্দু সন্ত্রাসবাদী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর রোষে পড়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, “অতীতে হিন্দু সংগঠনগুলি হিংসাকে প্রশ্রয় দিত না। বিরোধীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাত। কিন্তু এখন এই সংগঠনগুলো হিংসায় মদত দিচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE