ছবি: সংগৃহীত।
করোনায় আক্রান্ত না হলেও ব্রিটেনফেরত সমস্ত বিমানযাত্রীকে বাধ্যতামূলক ভাবে ৭ দিনের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৭ দিন পরেও সংক্রমণের লক্ষণ না দেখা গেলেও ওই যাত্রীদের নিজেদের বাড়িতে আইলোশনে থাকতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করল দিল্লি সরকার।
টুইটারে এই নয়া নির্দেশিকার কথা ঘোষণা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল লিখেছেন, ‘ব্রিটেনের নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের কবল থেকে দিল্লিবাসীকে রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্রিটেনফেরত যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা কোভিড পজিটিভ, তাঁদেরকে আইসোলেশন কেন্দ্রে রাখা হবে। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ৭ দিনের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে যাত্রীদের। এর পর ৭ দিনের হোম কোয়ন্টিনে থাকবে হবে’।
করোনার নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি)-এর সংক্রমণের জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত ব্রিটেন। প্রায় ৭০ শতাংশ দ্রুত গতিতে ওই নতুন স্ট্রেন সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ৮২ জনের মধ্যে করোনার নতুন প্রজাতির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যার জেরে ব্রিটেনে ফের লকডাউন জারি করেছে বরিস জনসন সরকার।
আরও পড়ুন: গার্ড দেওয়া থেকে ট্রেন চালানো, এই প্রথম সবই করলেন কুমকুমরা
আরও পড়ুন: সারা দেশের ৭৩৬ জেলায় চলছে কোভিড টিকার দ্বিতীয় ড্রাই রান
To protect Delhiites from exposure to virus from UK, Del govt takes imp decisions.
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) January 8, 2021
All those arriving from UK, who test positive will be isolated in an isolation facility. Negative ones will be taken to a quarantine facility for 7 days followed by 7 days home quarantine pic.twitter.com/hYDsaOn8q1
স্পেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির মতো পথ অনুসরণ করে এ দেশেও ২৩ ডিসেম্বর থেকে ব্রিটেন থেকে উড়ান নিষিদ্ধ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যদিও এ দেশে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৭৩ জনের মধ্যে। শুধুমাত্র দিল্লিতেই সংখ্যাটা ১৩। এই আবহে তবে শুক্রবার উড়ানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এর পর ব্রিটেন থেকে ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান অবতরণ করে দিল্লি বিমানবন্দরে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেজরীবাল। এখনই যাতে উড়ানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া না হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কেজরীবালের মতে, আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা উচিত। তাঁর এই আর্জির পিছনে যুক্তিও দিয়েছেন কেজরীবাল। তিনি বলেন, “অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তা হলে উড়ানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ফের কেন মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy