Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Bihar Assembly Election 2020

ক্ষমতা রফার আলোচনা চলছে বিহারে, সোমবার শপথ নিতে পারেন নীতীশ কুমার

এই নিয়ে সপ্তম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নীতীশ। ২০০০ সালে প্রথম বিজেপির সমর্থনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।

নীতীশ কুমার এবং সুশীল মোদী— ফাইল চিত্র।

নীতীশ কুমার এবং সুশীল মোদী— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ১১:৫৪
Share: Save:

আগামী সোমবার (১৬ নভেম্বর) ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। বৃহস্পতিবার এনডিএ জোট সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। নীতীশের সঙ্গেই ফের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী।

বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনও বিতর্ক না থাকলেও নয়া মন্ত্রিসভার কয়েকটি দফতর নিয়ে টানাপড়েন চলছে। পাশাপাশি, স্পিকার পদটি নিয়েও ‘আলোচনা’ চলছে দু’তরফে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকতে পারেন বলে ওই সূত্রের দাবি। তবে করোনা অতিমারির কারণে অনুষ্ঠানে কিছু বিধিনিষেধ থাকতে পারে।

সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে নীতীশের দলের তুলনার সহযোগী বিজেপি অনেকগুলি বেশি আসনে জেতায় মুখ্যমন্ত্রী পদ ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতা সরাসরি দাবি তুলেছিলেন, এ বার মুখ্যমন্ত্রী পদ বিজেপি-র প্রাপ্য। কিন্তু বুধবার সুশীল সেই জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দেন, নীতীশই ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বিহার বিজেপি-র সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালও বলেন, ‘‘বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভোটের আগেই এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতীশজির নাম ঘোষণা করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর করা হবে।’’

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় এ বার এনডিএ জোটের ৪ শরিকদল মিলে ১২৫টি আসনে জিতেছে। এর মধ্যে বিজেপি একাই ৭৪টি আসনে। নীতীশের দলের ঝুলিতে গিয়েছে ৪৩টি। এনডিএ জোটের অন্য দুই শরিক দল, হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা (হাম) এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) ৪টি করে আসন জিতেছে। নয়া মন্ত্রিসভায় ওই দুই দলেরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বুধবার রাতে ‘হাম’ সভাপতি জিতনরাম মাঁঝির বাংলোয় গিয়ে বৈঠক করেন সঞ্জয়।

আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর

এই নিয়ে সপ্তম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নীতীশ। ২০০০ সালে সমতা পার্টির নেতা হিসেবে প্রথম বিজেপির সমর্থনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে ৭ দিনের মাথায় ইস্তফা দেন। দ্বিতীয় দফায় ২০০৫-’১০ এবং তৃতীয় দফায় ২০১০-’১৪ মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে জেডি(ইউ)-র ভরাডুবির পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে নীতীশ তাঁর ঘনিষ্ঠ জিতনরামকে পটনার কুর্সিতে বসিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দু’জনের মতবিরোধ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: প্যাংগংয়ে শান্তি ফেরাতে ঐকমত্যে ভারত-চিন, সেনা পিছনোর যৌথ নজরদারি আকাশপথে

২০১৫-র ফেব্রুয়ারিকে জিতনরামকে সরিয়ে চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। সে বছর নভেম্বরে বিধানসভা ভোটে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়ে ভোটে জিতে পঞ্চম বারের জন্য তাঁর শপথগ্রহণ। কিন্তু আরজেডি-র সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তিনি ‘মহাগঠবন্ধন’ ছাড়েন ২০১৭-র জুলাইয়ে। ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এনডিএ-তে সামিল হয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে সুশীলকে সঙ্গী করে ষষ্ঠ বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE