গ্রেফতারের প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে মেরে ফেলার অভিযোগে এক মাস জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সেই ‘মৃত’ স্ত্রীকে অবশেষে তিনি খুঁজে পেলেন। সাত বছর পর, রবিবার পুলিশের সহায়তায় তিনি স্ত্রীকে পেলেন প্রেমিকের সঙ্গে।
ওড়িশার কেন্দ্রপদর চাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভয় সুতার। ২০১৩-র ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় সামাগোলা গ্রামের ইতিশ্রী মহারানার। কিন্তু বিয়ের দু’মাস পরই শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ইতিশ্রী। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ২০১৩-র ২০ এপ্রিল পাতকুরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভয়।
ইতিশ্রী নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা প্রহ্লাদ মহারানা মে মাসে অভিযোগ করেন পুলিশে। সেখানে পণের জন্য তাঁর মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলার কথা বলেন পুলিশকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অবয়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই গ্রেফতারির পর এক মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হন অভয়।
কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অভয়ের সন্দেহ হয়, কারও সঙ্গে পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। খোঁজ চালাতেও শুরু করেন তিনি। অবশেষে পিপলিতে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর থাকার খবর পান তিনি। সে কথা পুলিশকে জানান। তার পর পুলিশ পিপলিতে গিয়ে আটক করে ইতিশ্রী ও তাঁর প্রেমিককে। সোমবার তাঁদের দু’জনকে আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাতকুরা থানার এক অফিসার।
আরও পড়ুন: পানের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ‘গাঁজা চকোলেট’!
তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের দু’মাস পর প্রেমিক রাজীবের সঙ্গে গুজরাত পালিয়ে গিয়েছিলেন ইতিশ্রী। সেখানেই সাত বছর ছিলেন তাঁরা। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যাও রয়েছে। সম্প্রতি তাঁরা গুজরাত থেকে ওড়িশায় ফেরেন। স্ত্রীর কীর্তি ফাঁস হওয়ার পর অভয় বলেছেন, ‘‘যখন পুলিশ খুঁজে পেল না, তখন আমিই খোঁজ শুরু করি। বহু জায়গায় খোঁজ চালানোর পর পিপলিতে তাঁদের খোঁজ পাই। সাত বছর পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরে আমি খুশি।’’
আরও পড়ুন: গাড়ি চালানোর সময়ই ঘুমোচ্ছেন উবর চালক! তার পর কী ঘটল জানেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy