করাচির বাসিন্দা বানো বেগম উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলায় ৩৫ বছর আগে এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন। প্রতীকী চিত্র।
ভিসায় ভারতে থেকেও উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলার একটি পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে বসেছেন পাকিস্তানের বাসিন্দা বানো বেগম। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অবাক হয়ে গিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। জানাজানি হওয়ার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী করে বানো ভিসায় থাকার পরেও ভারতের আধার ও ভোটার কার্ড পেলেন, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশে।
করাচির বাসিন্দা বানো বেগম উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলায় ৩৫ বছর আগে এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর স্থানীয় আখতার আলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই দীর্ঘকালীন ভিসা নিয়ে তিনি ভারতেই রয়ে গিয়েছেন। ভারতের নাগরিকত্ব পেতে তিনি একাধিকবার আবেদনও করেছেন।
২০১৫ সালের পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচনে গুয়াদাউ পঞ্চায়েতে জয় পান তিনি। পাঁচ বছর পর, ২০২০ সালের গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান শেহনাওয়ার বেগমের মৃত্যু হয়। তার কয়েকদিন পর বানো অন্তবর্তিকালীন পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে কাজ শুরু করেন। পঞ্চায়েতই তাঁকে নির্বাচিত করে প্রধান হিসাবে।
বেশ কয়েকদিন দায়িত্ব সামলানোর পর এক গ্রামবাসী বানোর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বাসিন্দা হয়ে বেআইনি ভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান পদে বসেছেন বানো। তারপরেই পদ থেকে ইস্তফা দেন বানো। স্থানীয় পঞ্চায়েতি-রাজ অফিসার এটাহর জেলাশাসকের অফিসে এই নিয়ে অভিযোগ করলে জেলাশাসক পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দেন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। কী ভাবে ওই অভিযুক্ত মহিলা আধার কার্ড, ভোটার কার্ড পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেআইনি ভাবে কেউ যদি সাহায্য করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ২ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকার মহড়া সব রাজ্যে, বলছে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: ‘দাওয়াই ভি, কঢ়াই ভি’: টিকার পরেও সতর্ক থাকার বার্তা মোদীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy