অজিত ডোভাল। —ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাস প্রশ্নে ফের পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আজ সিআরপিএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘দেশ কখনও পুলওয়ামা হামলার কথা ভুলবে না।’’
সম্প্রতি সিআইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে সন্ত্রাস-প্রশ্নে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ পুলওয়ামা হামলার পরে সিআরপিএফের প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ডোভাল।
প্রথমেই পুলওয়ামা হামলায় নিহত জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ডোভাল। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘ওই হামলার কথা দেশ কখনও ভুলবে না। জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ করা হবে। কখন, কোথায় সেই পদক্ষেপ করা হবে তা দেশের নেতৃত্ব স্থির করবেন। আমাদের নেতৃত্ব সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিআরপিএফের প্রশংসা করে ডোভাল বলেন, ‘‘এই বাহিনী খুব দ্রুত এক রণক্ষেত্র থেকে অন্য রণক্ষেত্রে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারে। দেশের কোথাও গোলমাল হলেই তা সামলাতে সিআরপিএফকে পাঠানো হয়।’’ ডোভালের বক্তব্য, ‘‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে অন্তত ২৮টি দেশ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দুর্বলতার জন্য সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যাতে সঙ্কটের মুখে না পড়ে সে জন্য সিআরপিএফকে আরও পেশাদার হতে হবে।’’
ঘটনাচক্রে এ দিনই সন্ত্রাসে মদত নিয়ে ইমরান খান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল ভুট্টো। সম্প্রতি সিন্ধুপ্রদেশে এক সভায় বিলাবল দাবি করেন, ইমরান মন্ত্রিসভার তিন জন সদস্যের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। তাদের সাহায্যেই ওই তিন জন ভোটে জিতেছেন। ওই তিন মন্ত্রীকে সরানোর দাবি তোলেন তিনি। জবাবে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ দাবি করে, বিলাবল পাকিস্তানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। তিনি কার মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন তা স্পষ্ট হওয়া উচিত। আজ বিলাবল বলেন, ‘‘ওই তিন মন্ত্রীকে সরানোর দাবির জন্য আমাকে দেশ-বিরোধী তকমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দমানো যাবে না। সরকারের উচিত যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি করে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy