Advertisement
E-Paper

রাফাল নিয়ে আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে সরকার, অভিযোগ বিরোধীদের

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর রাফাল প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গতকাল চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিজেপি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৪
এই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ।—ফাইল চিত্র।

এই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ।—ফাইল চিত্র।

রাফাল নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও নিজেদের পুরনো অবস্থানে অনড় কংগ্রেসও। তাদের দাবি, রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে এবং পুরোটাই ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্রয়ে। পাশাপাশি তারা অভিযোগ তুলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর রাফাল প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গতকাল চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিজেপি। আদালতের তরফে তাদের ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেয় তারা। তাই আদালত রায় দেওয়ার পরেই দফায় দফায় দলীয় নেতাদের বিবৃতি দিতে দেখা যায়। এত দিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাফাল বিমানের দাম জানতে চাওয়ায় রাহুল গাঁধীকে তীব্র আক্রমণ করেন তাঁরা। জবাবে রাহুলও সাংবাদিক বৈঠক করেন। ২৯ পাতার রায়ে মূল ‘গলদ’টাকেই তুলে ধরেন তিনি।

রাহুলের মতে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কেনাকাটার হিসাব দেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-কে (সিএজি) দিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে থাকা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি-র(পিএসি) হাতে সেই রিপোর্টের একটি কপি এসে পৌঁছয়। যাতে কোন খাতে কত খরচ করছে সরকার, তার হিসাব থাকে বিরোধীদের কাছেও। রাহুলের অভিযোগ, রাফালের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আদালতে জমা দেওয়া নথিতে তা মানা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। যে কারণে বিভ্রান্ত হয়ে দাম নিয়ে সন্দেহ থাকার কারণ নেই বলে জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: সন্দেহ নেই রাফালে, বলল সুপ্রিম কোর্ট

আরও পড়ুন: ‘প্রমাণ করেই ছাড়ব চৌকিদার চোর!’, হুঙ্কার রাহুলের​

রাহুলের দাবিতে সমর্থন জানান পিএসি-র চেয়ারম্যান ও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘‘সিএজি-র প্রত্যেকটি রিপোর্টে আমি সই করি। রাফাল সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টই হাতে পাইনি আমি। সইও করিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা তো দূর। সুপ্রিম কোর্টকে মিথ্যা বুঝিয়েছে কেন্দ্র। দিয়ে থাকলে কোথায় গেল সেই রিপোর্ট? কেউ কি তা চোখে দেখেছে?’’

সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে রায় নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও, যৌথ সংসদীয় কমিটির হাতেই রাফাল দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত বলে জানান খাড়গে। রাহুল গাঁধী তো বটেই, গত কাল সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। রিপোর্ট জমা না দেওয়া সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা দাবি করা হল কেন, তা জানতে সরকারি আইনজীবীকে তলব করা হবে বলে জানিয়েছেন খাড়গে। তবে শুধুমাত্র কংগ্রেসই নয়, ভুল তথ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান শরদ পওয়ারও। তিনি বলেন, ‘‘সরকার যে নথিপত্র জমা দিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই রায় শুনিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু সিএজি এবং পিএসি ওই ধরনের কোনও রিপোর্ট পায়নি।’’

এ দিকে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত দেওয়ায় তাদের কোনও হাত ছিল না বলে যে দাবি করেছে সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে সংস্থার যুদ্ধবিমান তৈরির কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, সরকারি অনুমোদন ছাড়া তাদের হাতে এত বড় চুক্তি পৌঁছল কী ভাবে, তার সদুত্তর মেলেনি এখনও পর্যন্ত। সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে মোদী সরকার। সেখানে জবাব পাওয়া যাবে কি? অপেক্ষায় বিরোধীরা।

Rafale fighter jet Scam Modi Government Congress Supreme Court CAG BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy