প্রতীকী ছবি।
সামনে ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচন। তাকে ঘিরে রাজ্যের উগ্রপন্থীরা ফের তাদের কার্যকলাপ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি থানার রেশন দোকানগুলিতে ফোন করে উগ্রপন্থীরা চাঁদা চেয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এমনকি চাঁদা না দিলে, বা পুলিশে খবর দিলে তার পরিণতি খারাপ হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রইস্যাবাড়ি থানার ৮টি রেশন দোকানে এনএলএফটি উগ্রপন্থীরা ফোন করে বিক্রির ১০ শতাংশ হারে চাঁদা চেয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ওই দিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বারে বারে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, চাঁদা না-দিলে
পরিণতি খারাপ হবে। টাকা কার মাধ্যমে কী ভাবে দিতে হবে, তা পরে জানানো হবে বলে ফোনে রেশন দোকানের মালিকদের জানিয়েছে উগ্রপন্থীরা। এই কাজ এনএলএফটি-র বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারণ রইস্যাবাড়ীর ওপারে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, শম্ভুরাম পাড়া, নিউ শম্ভুরাম পাড়ায় এনএলএফটি-র ক্যাম্প রয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, একে সিরিজের রাইফেল ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অন্তত ১৮ জন উগ্রপন্থী সেই ক্যাম্পে রয়েছে বলে সূত্রের মাধ্যমে তাঁরা জেনেছেন। তারাই ফের সক্রিয় হয়েছে। গত জুলাই মাসেও এই এলাকায় এই ভাবে চাঁদা তুলেছে উগ্রপন্থীরা। সে সময় সোমেন ত্রিপুরা ওরফে হিরুর নাম প্রকাশ্যে আসে। তার পর ২২ জুলাই তার নামে মামলা করা হয়েছিল। টের পেয়ে সে তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। রইস্যাবাড়ী থেকে মাত্র চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে এই এলাকাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy