—প্রতীকী ছবি
বিয়ের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আদালতে যাচ্ছিল যুগল। সঙ্গে ছিলেন ছেলে পক্ষের আত্মীয়েরাও। আদালতে পৌঁছনোর আগে কথাবার্তা বলার নাম করে ডেকে এনে রাস্তাতেই গুলি করে ওই যুগলকে হত্যা করল মেয়ের কাকা ও তার ছেলেরা। হরিয়ানার রোহতকের ঘটনা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ছেলেটির ভাইও।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ বছরের পূজার সঙ্গে ২৫ বছরের রোহিতের সম্পর্কে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কাকার। দু’জন জাঠ সম্প্রদায়ের হলেও আলাদা গ্রামে থাকতেন। অনাথ পূজা ছোট থেকেই কাকার কাছে মানুষ। গত কয়েক মাস যাবৎ রোহতকে এসে ছিলেন তিনি। সেই সময়েই রোহিতের সঙ্গে আলাপ হয় ও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোহিতের মা জানিয়েছেন, দুই পরিবারেই এই বিয়ে নিয়ে প্রথমে আপত্তি ছিল। অনেক বোঝানোর পরে রাজি হয় রোহিতের পরিবার। এবং প্রথমে আপত্তি থাকলেও পূজার কাকা কুলদীপ পরে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলে জানান। এবং ওই যুগলকে আশির্বাদ করে বিয়ে দিতে রাজি হন।
পূজার মা সন্তোষ পুলিশকে বলেছেন, ‘‘কথা বলার ছুতোতেই আদালতে যাওয়ার আগে বুধবার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে মেয়ের কাকা ও আত্মীয়েরা। এবং দিল্লি বাইপাস রোডের কাছে জনবহুল রাজারের মধ্যে গুলি চালিয়ে পালায়।’’
পুলিশ জানাচ্ছে, কুলদীপই রোহিতের আত্মীয়দের বিয়ের সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আদালতে ডেকেছিলেন। পরে বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলার জন্য তাঁদের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডেকে পাঠান। রোহিতের পরিবার সেখানে হাজির হলে তাঁর গাড়ি নিশানা করে গুলি চালায় কুলদীপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুগলের। পুলিশ জানিয়েছে, রোহিতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পূজার কাকা, তার ছেলে কপিল কুমার ও আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, পরিবারের সম্মান রক্ষার নামেই ওই যুগলকে খুন করে কুলদীপ। তবে এর পিছনে সম্পত্তি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের বিষয়ও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy