Advertisement
E-Paper

বাজেটে কিসের দাম বাড়ল? কমল কিসের?

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চিকিৎসার বেশির ভাগ আধুনিক যন্ত্রপাতিই এখন বিদেশ থেকে আনতে হয়। তার ফলে, সেই সব যন্ত্রপাতি আনার খরচ বাড়বে। যার বোঝাটা চাপবে সাধারণ মানুষের কাঁধেই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:২৪
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

হাল্কা হওয়া তো দূরের কথা, শনিবারের কেন্দ্রীয় বাজেট-প্রস্তাবে মধ্যবিত্তের কাঁধের বোঝাটা বরং আরও ভারী হল। প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেকগুলিরই দাম বাড়ল। আর দাম কমল হাতেগোনা কয়েকটি পণ্যের।

প্রত্যাশিত ভাবেই এ বারের বাজেটে আরও বাড়ছে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের দাম। তবে যেটা মধ্যবিত্তের উদ্বেগ বাড়িয়েছে, তা হল বিদেশ থেকে আনা চিকিৎসার যন্ত্রপাতির দাম বাড়ছে। কারণ, ওই সব যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তাঁর এ দিনের বাজেট-প্রস্তাবে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চিকিৎসার বেশির ভাগ আধুনিক যন্ত্রপাতিই এখন বিদেশ থেকে আনতে হয়। তার ফলে, সেই সব যন্ত্রপাতি আনার খরচ বাড়বে। যার বোঝাটা চাপবে সাধারণ মানুষের কাঁধেই।

একই সঙ্গে বাড়ছে বিদেশি চটি, বিদেশি আসবাবপত্র, টেবিল ক্লথের দাম। বাড়ছে চিনা সেরামিক বা পোর্সেলেন দিয়ে বানানো কিচেন ওয়্যারের দামও। বাড়ছে ক্লে আয়রন, ইস্পাত, তামা, ক্যাটালাইটিক কনভার্টার ও যানবাহনের যন্ত্রাংশের (বৈদ্যুতিক গাড়ি বাদে) দামও।

যানবাহনের যন্ত্রাংশের দাম বাড়ার জন্য মধ্যবিত্তের কাঁধের বোঝা আরও ভারী হবে। কারণ, ভাড়া বাড়বে যানবাহনের, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

যে হাতেগোনা কয়েকটি পণ্যের দাম কমছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমদানি করা নিউজপ্রিন্ট, হাল্কা কাগজ, পরিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক অ্যাসিড, স্কিম্ড দুধ, সয়া তন্তু, সয়া প্রোটিন, পশুখামারের দ্রব্যাদি ও কয়েক ধরনের মদ। যেগুলির বেশির ভাগই মধ্যবিত্তের রোজকার জীবনে লাগে না।

আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক লাটে উঠলেও আপনার ৫ লক্ষ টাকা ফেরত নিশ্চিত​

আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের হাতে রইল পেনসিল? দেখে নিন কী কী বললেন নির্মলা​

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা যতটা আশা করেছিলেন, আয়করে সেই বাড়তি ছাড় তেমন ভাবে মিলল না। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ল। ফলে, মধ্যবিত্তের সঞ্চয় করার সুযোগ আরও কমল। এতে দেশের ক্রেতাবাজার আগামী দিনে কতটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে, সেই সংশয় বাড়ল বই কমল না। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য যা খুব জরুরি ছিল।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy