গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
ইচ্ছে ছিল যদি মেলে মনের মতো কেউ তবে তৃতীয় বিয়েটাও সেরে ফেলবেন। তাই ম্যাট্রিমনি সাইটে ফের প্রোফাইল খুলে বসেছিলেন, আরও একবার ছাতনাতলায় যেতে চান। কিন্তু বর-মালার বদলে কপালে জুটল দুই স্ত্রীর জুতোপেটা। সঙ্গে প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে গণধোলাই।
তামিলনাড়ুতে সুলুরের কাছে নেহরুনগরের বাসিন্দা এস অরঙ্গন ওরফে দীনেশ। তিরুপুর জেলার গণপতিপালায়মের প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে মারধর করতেন দীনেশ। বাধ্য হয়ে প্রিয়দর্শিনী তাঁর বাবা মায়ের কাছে ফিরে যান।
প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ফের পাত্রী খুঁজতে শুরু করেন দীনেশ। অবশেষে এই বছর ১০ এপ্রিল কারুর জেলার পশুপতিপালায়ামের অনুপ্রিয়ার (২৩) সঙ্গে বিয়ে হয় দীনেশের। অনুপ্রিয়া বিবাহবিচ্ছিন্না। তাঁর বছর দুয়েকের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু অনুপ্রিয়ার সঙ্গে বিয়ের পরেও সেই একই কাহিনী। আরও পণের জন্য চাপ দিতে থাকেন দীনেশ। টাকা না মেলায় মারধর শুরু হয়। বাধ্য হয়ে অনুপ্রিয়াও তাঁর বাবা মায়ের কাছে ফিরে যান।
আরও পড়ুন : ওভার লোডিংয়ের জরিমানা ১ লক্ষ ৪১ হাজার!
দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ের ইচ্ছে জাগে দীনেশের। আবার ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দেন। এবার সেই খবর জানতে পারেন প্রিয়দর্শিনী ও অনুপ্রিয়া। তারপরই দীনেশের কর্মস্থল রাসিপালায়ামে হাজির হন দু’জনে। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন দীনেশ। সোমবার অফিসের ভেতরে ঢুকতে চাইলে প্রিয়দর্শিনী ও অনুপ্রিয়াকে বাধা দেন সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীরা। তাঁরা বাইরেই ধর্না দিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন : সমুদ্রের তলা থেকে উধাও গবেষণার বিশাল যন্ত্র! এলিয়নের কাজ বলে দাবি নেটিজেনদের
এক সময় বাইরে বেরিয়ে আসেন দীনেশ। হাতের সামনে পেয়ে আর দেরি করেননি প্রিয়দর্শিনী ও অনুপ্রিয়া। চটি খুলে মারতে শুরু করেন দীনেশকে। গণধোলাইয়ে যোগ দেন দীনেশের প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই ‘জামাই আদর’। অবশেষে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন পরিস্থিতি সামল দেন। উদ্ধার করা হয় দিনেশকে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ ও মহিলা পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy