Advertisement
E-Paper

সুপ্রিম কোর্টের কমিটি থেকে সরতে পারেন আরও এক সদস্য, কৃষকরা বললেন, ‘দালাল’ চাই না

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ রাকেশ টিকায়েত আগেই বলেছিলেন, কমিটিতে একজনও কৃষক নেই। যাঁরা আছেন, তাঁরা সবাই কৃষি আইনের সমর্থক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:২০
প্রতিবাদে কৃষকরা। ছবি: পিটিআই

প্রতিবাদে কৃষকরা। ছবি: পিটিআই

সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া ৪ সদস্যের কমিটি নিয়েই এ বার বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। ৪ সদস্যের মধ্যে এক জন ভূপিন্দর সিংহ মান ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন কমিটি থেকে। শোনা যাচ্ছে, আরও এক সদস্য কমিটি থেকে সরে আসতে পারেন। ৪ সদস্যের কমিটির মধ্যে যদি ২ সদস্য সরে আসেন, তা হলে সেই কমিটির বৈধতা থাকবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। এরই মধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ টিকায়ত বলেন, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত কমিটিতে যাচ্ছি না। আমরা যা বলার কেন্দ্রকেই বলব।’’ প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্ট যখন সব পক্ষের মত শোনার জন্য কমিটি গড়েছে, সেখানে যদি কৃষকরাই না যান, তা সেই কমিটি কী রিপোর্ট দেবে? কিংবা, সেই রিপোর্ট আদৌ কি গ্রাহ্য হবে সুপ্রিম কোর্টে?

শোনা যাচ্ছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ওই কমিটির সদস্যরা কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করবেন। কিন্তু শুক্রবারের বৈঠকের পর কিসান সংঘর্ষ সমিতির সদস্য সিবেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘কমিটির এক সদস্য ইতিমধ্যেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আরও একজন সরে যাবেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আমরা চাই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রকে চাপ দিক শীর্ষ আদালত।’’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের কমিটি নিয়ে কৃষক নেতারা বলছেন, তাঁরা কোনও ‘দালাল’ চান না, তাঁরা সরাসরি সরকারকেই বলছেন আইন প্রত্যাহার করতে।

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ রাকেশ টিকায়েত আগেই বলেছিলেন, কমিটিতে একজনও কৃষক নেই। যাঁরা আছেন, তাঁরা সবাই কৃষি আইনের সমর্থক। তাই এই কমিটির মানে হয় না। কেন্দ্রের সঙ্গে নবম বৈঠকের পরেও সেই অবস্থানেই অনড় রইলেন কৃষকরা। জানিয়ে দিলেন, কোনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তাঁরা সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন না। সরাসরি আলোচনা করতে হলে করবেন। একই সঙ্গে বলে দিলেন, দেশের শীর্ষ আদালত নির্ধারিত কমিটির কাছেও তাঁরা যাবেন না। সারা ভারত কিসান সভার পঞ্জাব শাখার নেতা বালকরণ সিং সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘সরকার উদ্ধত ভাব দেখিয়ে আইন বাতিলের কোনও কথা শুনতেই রাজি হচ্ছে না। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনে যে বদল করা হয়েছে, সেগুলি ফিরিয়ে নিতে। সরকার তাও রাজি হয়নি।’’ রাকেশ বললেন, ‘‘সরকারের উচিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা। পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে আইন করা। এর বাইরে আর কিছুই আন্দোলন থামাতে পারবে না।’’

আরও পড়ুন: নবম দফার বৈঠকও নিষ্ফলা, মোদীর হস্তক্ষেপ চান কৃষক নেতারা

আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং সরঞ্জাম কিনছে সেনা

Farmers Protest Delhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy