Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Science News

পেশাজনিত রোগ সারাতে হাতে হাত মেলাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

দেখানো হল, বিভিন্ন পেশার শ্রমিক, কর্মচারীদের পেশাজনিত রোগ বা শারীরিক দুর্বলতাগুলি দূর করতে কী ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে এসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

ছাত্রছাত্রীদের দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার। আইসিএমআর- আরওএইচসি-র প্রদর্শনীতে। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকে। -নিজস্ব চিত্র

ছাত্রছাত্রীদের দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার। আইসিএমআর- আরওএইচসি-র প্রদর্শনীতে। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকে। -নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৪৬
Share: Save:

সাধারণ মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে কী ভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে, আর কী ভাবে সেই সুযোগসুবিধা সুলভে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, তা প্রায় হাতেকলমে দেখানো, শেখানো হল সল্টলেকে। বৃহস্পতিবার। সমাজের সব স্তরের স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সেই সব জানাতে, বোঝাতে খুলে দেওয়া হল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারের ‘লৌহকপাট’। পূর্বাঞ্চলের আইসিএমআর-আঞ্চলিক পেশাগত স্বাস্থ্যকেন্দ্র (আরওএইচসি)-এর উদ্যোগে।

দেখানো হল, বিভিন্ন পেশার শ্রমিক, কর্মচারীদের পেশাজনিত রোগ বা শারীরিক দুর্বলতাগুলি দূর করতে কী ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে এসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

আইসিএমআর- আরওএইচসি-র অধিকর্তা চিকিৎসক অমিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পেশাগত কারণে যাঁদের ‘সিলিকা’ বা বালিকণার সংস্পর্শে আসতে হয় রোজই, তাঁদের বেশির ভাগই পরে আক্রান্ত হন ‘সিলিকোসিস’ রোগে। সেই রোগ প্রশমনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে চিকিৎসায়, তা ছাত্রছাত্রীদের দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে প্রশ্বাসের কার্যকারিতা, বায়ুদূষণ ও বায়ুমণ্ডলে ভারী পদার্থের পরিমাণ মাপার সর্বাধুনিক যন্ত্রগুলিও। দেখানো হয়েছে, কয়লাখনি ও পাটকল শ্রমিকদের পেশাজনিত রোগ প্রতিরোধে কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে।

দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার। আইসিএমআর- আরওএইচসি-র প্রদর্শনীতে। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকে। -নিজস্ব চিত্র

অমিত বলেছেন, ‘‘সংস্থার একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল, কম পরিশ্রমে কী ভাবে সাইকেল রিকশা চালাতে পারেন রিকশাচালকরা, সেই পদ্ধতির উদ্ভাবন। কর্মক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশে রোজ কাজ করলে যে সব শারীরিক সমস্যা হয়, তার থেকে শ্রমিক, কর্মচারীদের বাঁচাতে বিশেষ ধরনের পোশাকও সংস্থার একটি উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন। এই সবও দেখানো হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের।’’

আরও পড়ুন- বিজ্ঞানের যুগে বুজরুকির ঠাঁই নেই​

আরও পড়ুন- শেষমেশ এসে গেল স্বপ্নের কম্পিউটার

এই অনুষ্ঠানটি ছিল ‘ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব- ২০১৯ (আইআইএসএফ)’–এরই অংশ। আগামী ৫ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় হবে ওই উৎসব। যার আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে ভারত সরকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক, স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগ, এবং বিজ্ঞান ভারতী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE