Advertisement
E-Paper

জুনে উল্কাবৃষ্টিতে তীব্র আলোর ঝলসানি, শোনা যাবে ভয়ঙ্কর শব্দ! দাবি বিজ্ঞানীদের

হ্যাঁ, তেমন সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো বলে জানিয়েছেন আমেরিকার লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলাফ ও অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার ব্রাউন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৩০
এমনই ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আগামী জুনে। ছবি- সংগৃহীত।

এমনই ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আগামী জুনে। ছবি- সংগৃহীত।

সেই সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার মতো কি আরও একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে আগামী বছরের জুনে? ঠিক যেমনটি হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে? আবার কি পৃথিবীর আকাশ ফাটিয়ে দেবে বহুতলের চেহারার কোনও একটি মহাজাগতিক বস্তুর বিস্ফোরণ? যার ঝলকানিতে ভরে যাবে ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার আকাশ?

হ্যাঁ, তেমন সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো বলে জানিয়েছেন আমেরিকার লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলাফ ও অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার ব্রাউন। জটিল অঙ্ক কষে তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী জুনে একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। তার পর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা ফাটবে ভয়ঙ্কর শব্দে। গবেষণাপত্রটি এই মাসে ওয়াশিংটনে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বৈঠকে পেশ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনে যে উল্কাবৃষ্টি হবে, তাতে তুঙ্গুস্কার ঘটনার মতোই কোনও দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু থাকবে নাকি তার আকার হবে তার চেয়েও বেশি, তা নিয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণ ও হিসাবনিকাশ এখনও চলছে।

ঠিক এমনটাই হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে। ১৯০৮-এর ৩০ জুন। ওই দিন সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার আকাশে আচমকাই একটি দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু ফেটেছিল ভয়ঙ্কর শব্দে। যার ঝলকানিতে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তুঙ্গুস্কা (নদীর নামে এলাকার নাম) আর তার আশপাশের ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার সব গাছপালা। থরথর করে কেঁপে উঠেছিল একটি বিশাল এলাকা। জনবসতিহীন এলাকায় ওই ঘটনায় অবশ্য কোনও প্রাণহানি হয়নি। জখমও হননি কেউ। তবে ওই বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি, কোনও ধূমকেতু নাকি কোনও গ্রহাণু এসে ঢুকে পড়েছিল সে দিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে, যার ফলে ঘটেছিল ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।

আরও পড়ুন- ভয়াল ভূমিকম্পের ভয় নিয়ে দাঁড়িয়ে পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক, রাজারহাট... বলছে আইআইটি-র রিপোর্ট​

আরও পড়ুন- গ্ল্যামার হারাচ্ছে 'হ্যান্ডসাম' শনি! দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে বলয়​

কেউ কেউ বলেছিলেন, সেটা আদতে ছিল খুব বড় ধরনের উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যার নাম ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বছরে দু’বার হয়। জুনের শেষে আর অক্টোবরের শেষাশেষি বা নভেম্বরের গোড়ার দিকে। এদের মধ্যে যে উল্কাবৃষ্টি হয় জুনের শেষে, তাকে বলা হয় ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। এগুলি রাতে হয় না। হয় দিনের আলোয়। যখন সূর্যের আলোয় অন্য নক্ষত্রদের আলো ঢাকা পড়ে যায়।

গবেষকদের ধারণা, আগামী জুনের উল্কাবৃষ্টির মধ্যে যতটা বড় চেহারার মহাজাগতিক বস্তু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর তত বড় চেহারার কোনও মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েনি। ’৭৫-এর সেই ঘটনার ফলে ভূকম্পন হয়েছিল, তা চাঁদে বসানো সাইসমোমিটারে ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ‘অ্যাপোলো’ মহাকাশযানের অভিযাত্রীরা।

Taurids Meteor Shower Mark Boslough উল্কাবৃষ্টি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy