Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

গাছের ডায়েট

বাড়ি সাজাতে বাহারি ফুলগাছ আর সবুজ পাতার চেয়ে সুন্দর অলংকার আর কি কিছু আছে? কিন্তু দেখভাল ঠিক মতো না হলে সে মূর্ছা যাবেবাড়ি সাজাতে বাহারি ফুলগাছ আর সবুজ পাতার চেয়ে সুন্দর অলংকার আর কি কিছু আছে? কিন্তু দেখভাল ঠিক মতো না হলে সে মূর্ছা যাবে

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

গোলাপ, গাঁদা, জবা, বেল, জুঁই বা জারবেরার মিষ্টি সৌন্দর্যে সারা বছরই আপনার আবাসে আলোকের ঝরনাধারা। সবুজ, সাদা, গোলাপি, হলুদ, সবুজ হরেক রঙের জোয়ারে সেখানে নেতিবাচক কোনও কিছুর স্থান নেই। উপরে যে ক’টি ফুলগাছের কথা বললাম, তারা সারা বছর আপনার সঙ্গী হতে পারে। এ ছাড়া শীতকালের অসংখ্য জানা-অজানা ফুলগাছ তো রয়েছেই। তবে গাছ লাগালেই তো হল না, ভয়ও আছে।

গাছগুলোতে যে কোনও মুহূর্তে পোকা লাগতে পারে। তাই প্রথম থেকে মেপে জল দিন। জল বেশি হলে বা কম হলে পাতা নষ্ট হয়ে যাবে। টবের গাছে একবার পাতা নষ্ট হয়ে গেলে, গাছ ভাল করা খুব মুশকিল হয়। গাছের গ্রোথের জন্য দিনে অন্তত দু’বার ঠান্ডা জলের স্প্রে করা হলে গাছের পক্ষে খুব ভাল। কিন্তু গাছে যখন ফুল থাকবে, তখন স্প্রে করা যাবে না। গাছে পোকা লাগলে নিমপাতা জলে ফুটিয়ে, জল ঠান্ডা করতে হবে। পাতাগুলো নীচে থিতিয়ে পড়লে উপর থেকে জল তুলে নিয়ে, তা স্প্রে করলে পোকা চলে যাবে। এ ছাড়াও খৈনির ডাঁটা, জলে চব্বিশ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে, সেই জল ছেঁকে, তা স্প্রে করলেও পোকা চলে যাবে।

জারবেরার মতো গাছের ক্ষেত্রে ঠান্ডা জলের স্প্রে দিতে হবে সারাবছর, বিশেষ করে গরমকালে। এই গাছগুলোয় পোকা কম ধরে, কিন্তু এগুলো খুব সুখী গাছ। অতিরিক্ত গরমে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই প্রতিদিন যদি তিনবার করে স্প্রে করা হয়, গাছ ভাল থাকে। এর জন্য সার হিসেবে শুধু খোল দিলেই চলে।

সার দেওয়ার জন্য চা পাতা, নানা সবজির খোসা গোবর সার একসঙ্গে মিশিয়ে মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে, পচাতে হবে। ভাল করে শুকিয়ে গেলে, ওই মাটি শুকিয়ে ঝুরঝুরে করে গাছের গোড়ায় দিন। খোলের জল পাতলা করে সপ্তাহে দু’দিন দিলে খুব ভাল।

এই ভেষজ সার দিয়ে কিন্তু লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, ভেন্ডি বা ফলগাছ যেমন, মুসুম্বিও ফলানো যায়। গাছে পোকা ধরলে নিমপাতার স্প্রে ছাড়াও ক্ষার কম এমন শ্যাম্পু জলে পাতলা করে গুলে স্প্রে করলেও পোকা মরে যায়।

পোকা ছাড়াও গাছের আর একটা সমস্যা হল, অনেক সময় গাছের গোড়া ভেজা থাকে, উপর থেকে বোঝা যায় না, তাই জল দেওয়া হয়। এতে গাছ পচে যাওয়ার ভয় থাকে।

গাছে জল বেশি হচ্ছে কি না, সেটা বোঝা যায় পাতার রং ফ্যাকাশে হতে দেখে। তখন জলের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন। যদি জলের পরিমাণ কমানোর পরও দেখা যায়, পাতার রং ফিরছে না এবং সাতদিন, দশদিন বা একমাস পরপর পাতাগুলোর রং ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে মাটিতে অ্যাসিড বেশি হয়ে গিয়েছে। যেমন বেশি খেলে আমাদের অ্যাসিড হয়, তেমনই। তখন জলের মধ্যে অল্প নুন ভাল করে গুলে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। নুন থিতিয়ে গেলে, ওই জল তুলে নিয়ে গাছের গোড়ায় দিলে অ্যাসিড নষ্ট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trees Diet
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE