গোল, ফুলকো, সাদা রুটি। তার সঙ্গে হালকা সাদা আলুর চচ্চড়ি বা কষা মাংস। ভাবলেই খিদে পেয়ে যায়। কিন্তু খেতে বসে এ রকম স্বপ্নের মতো রুটি হাতে আসে না। বরং টেনে ছিঁড়ে মুখে পুরে জাবর কাটতে কাটতে রুটি খাওয়ার মজাই নষ্ট হয়ে যায়। সাধের রুটি পেতে কয়েকটি কথা মাথায় রাখলেই চলবে। রুটি বানানোর চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে খেলেও রুটি একই রকম নরম থাকবে কী করে, রইল সেই টিপ্স।
• রুটি মাখার আগে আটায় অল্প নুন দিয়ে মাখুন।
• আটার মণ্ড বানানোর সময়ে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন।
• আটা মাখা হয়ে গেলে ভিজে পাতলা কাপড় দিয়ে তা এক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন।
• রুটি করার আগে আর এক বার ভাল করে ঠেসে ঠেসে মেখে নিন এই আটার মণ্ড।
• লেচি কাটার আগে দেখুন, তা নরম আছে কি না! আটা বা ময়দা বেশি টাইট মাখলে কিন্তু রুটি ফুলবেও না, নরমও থাকবে না। তাই মণ্ডটা একটু নরম আছে কি না দেখে নিন। প্রয়োজনে একটু জল মিশিয়ে নিতে পারেন।
• বেলন চাকির উপরে ভাল করে আটা ছড়িয়ে লেচি বেলে রুটির আকার দিন। বেলার সময়ে রুটি ঘুরছে কি না খেয়াল রাখুন। যতটা সম্ভব পাতলা করে রুটি বেলবেন।
• চাটুতে সেঁকে সঙ্গে সঙ্গে আগুনের উপরে রুটি দিয়ে ফুলিয়ে নিন। রুটির এক একটা দিক আগুনের উপরে ১৫-২০ সেকেন্ডের েবশি রাখবেন না। এতে রুটি পুড়েও যাবে, শক্তও হয়ে যাবে।
• রুটি নামিয়ে তার এক দিক হালকা হাতে জলের উপরে বুলিয়ে নিন। তার পরে ক্যাসারোলে ভরে রাখুন। এ ভাবে রুটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত নরম থাকে।
• তন্দুরি রুটি দোকান থেকে কিনে এনে কয়েক ঘণ্টা পরে খেলে তা শক্ত হয়ে যায়। তন্দুরি গরম করতে একটা পাত্রে গরম জল নিয়ে তার উপরে জালি রেখে তন্দুরিতে একটু স্টিম দিয়ে নিতে হবে। এতে তন্দুরি রুটি গরম ও নরম হবে।
এই পদ্ধতিতে রুমালি বা অন্য রুটিও গরম ও নরম করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy