আর্থার কোনাল ডয়েল-এর কাহিনি অবলম্বনে এ বার ‘হোমসের দাদাগিরি’। উইলিয়ম শার্লক স্কট হোমস নিছকই কল্পনার চরিত্র। কিন্তু সেই চরিত্রের বিপুল জনপ্রিয়তার আড়ালে চাপা পড়ে গেছেন লেখক স্বয়ং। আবার দু’জনের চরিত্রে, জীবন-যাপনে এতটাই মিল যে মনে হয় দুই যমজ ছায়া। ড. জোসেফ বেল একবার ডয়েলকে বলেছিলেন ‘ইউ আর ইওরসেল্ফ শার্লক হোমস’।
এখানে মূল গল্পে (এ কেস অব আইডেন্টিটি) রয়েছে অর্থপিশাচ উইন্ডিব্যাঙ্ক শুধুমাত্র টাকার লোভেই বয়সে তার থেকে অনেক বড় লুসিকে বিয়ে করেন। তার আবার একটি মেয়েও আছে। সেই মেয়েটির নামে তার কাকা প্রচুর সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। মেয়েটির সৎ বাবা হওয়ার সুযোগে সেই সুদের টাকা ভোগ করা মি: উইন্ডিব্যাঙ্ক-এর পক্ষে খুব সহজ হয়ে গেল। কিন্তু মুশকিল হল মেরি বিয়ে করার জন্য মেতে উঠল। সৎ বাবা মহা সমস্যায় পড়লেন। ও বিয়ে করলে সুদের টাকাটা তো হাতছাড়া হয়ে যাবে। এমন তো হতে দেওয়া যায় না। মেরির মা ও সৎ বাবা ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন।
একেবারে শেষ দৃশ্যে নাটকীয় ভাবে সেই ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন শার্লক হোমস। তবে এই নাটকের বড় বৈচিত্র ঘটনা-ক্রমে ফেলুদা ও সত্যজিৎ রায়কেও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্দেশক আশিস চট্টোপাধ্যায় নিজেই বলছেন, ‘‘শার্লক হোমসকে ছুঁতে গিয়ে আমাকে বেশ কিছু কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে।’’ বহু দিন পরে নাট্যমঞ্চে শার্লক হোমসকে নিয়ে এমন নাটক বেশ উপভোগ্য ও রোমাঞ্চকর।
নাটকের প্রতিটি চরিত্রই মানানসই। গোবরডাঙা শিল্পায়নের ৩৬ তম জন্মদিনে এই প্রযোজনাটি উদ্বোধন করবেন ব্রাত্য বসু। বুধবার, অ্যাকাডেমিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy