Advertisement
E-Paper

কবির স্মরণানুষ্ঠান

‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের প্রথম শিল্পী বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশন করেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আধারে সুরারোপিত বহুশ্রুত ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ও ‘মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি’ গান দু’টি।

কাশীনাথ রায়

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০০:০১
মনোময় ভট্টাচার্য

মনোময় ভট্টাচার্য

বিদ্রোহী কবি এবং সঙ্গীতস্রষ্টা কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মদিন উপলক্ষে অগ্নিবীণা নজরুল চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত দশ দিন ব্যাপী স্মরণানুষ্ঠানের প্রারম্ভিক পর্ব রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, গোলপার্ক শাখার সহযোগিতায় তাঁরই জন্মদিনের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হল বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণানন্দ মহারাজ। তাঁর সংক্ষিপ্ত ও মনোজ্ঞ প্রারম্ভিক ভাষণের পরে বিশিষ্ট এবং তরুণ শিল্পীরা তাঁদের গানের মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের প্রথম শিল্পী বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশন করেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আধারে সুরারোপিত বহুশ্রুত ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ও ‘মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি’ গান দু’টি। পরবর্তী শিল্পী শুভেন্দু ঠাকুর কবি রচিত দু’টি শ্যামাসঙ্গীত অত্যন্ত নম্র ও সংযত ভাবে পরিবেশন করেন। সেই সূত্র ধরেই ‘সে হরি কেমন বল’ এবং ‘শ্যামা নামে লাগল আগুন’ কীর্তনাঙ্গে দু’টি গান পরিবেশন করেন অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশনা। শিল্পী নীতীশ দত্তরায়ের চয়নে ছিল তিনখানি গান। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও শিল্পীর কণ্ঠে গীত গানগুলি শ্রোতাদের মনকে গভীর ভাবে স্পর্শ করে। পরবর্তী শিল্পীদ্বয় রামানুজ দাশগুপ্ত ও মনোময় ভট্টাচার্য পরিবেশন-গুণে মুগ্ধ করেছেন। এই দু’জনের মধ্যে রামানুজ দাশগুপ্তের গান ছিল অত্যন্ত আন্তরিক। ওঁর গলায় স্বল্পশ্রুত ‘বাঁশি তার কোথায় বাজে’ এবং ‘সৃজন ছন্দে’ গান দু’টি বহু দিন মনে থাকবে শ্রোতাদের। এর পরে অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য পরিবেশন করেন ‘সতীহারা উদাসী ভৈরবী কাঁদে’, ‘মোর ঘুমঘোরে’, ‘রাধা তুলসী’ এবং ‘সংসারেরই দোলনাতে মা’। শিল্পীর পরিশীলিত কণ্ঠে পরিবেশিত এই সব ক’টি গানই উল্লেখযোগ্য হলেও, তারই মধ্যে ভাল লাগে ‘মোর ঘুমঘোরে’ এবং মুক্তছন্দে গীত ‘সংসারেরই দোলনাতে মা’ গান দু’টি। যন্ত্রসঙ্গীতে সহযোগিতা করেন টোটন মৈত্র (কি-বোর্ড), জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় (বাঁশি), নান্টু গঙ্গোপাধ্যায় (মন্দিরা) এবং প্রীতিময় গোস্বামী (তবলা)। অলোক রায় ঘটক সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে‌ন।

Kazi Nazrul Islam Vivekananda Auditorium
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy