Advertisement
E-Paper

মার্গ সংগীতের মূর্ছনা

অনুষ্ঠান সূচিত হল নমামি কর্মকারের তত্ত্বাবধানে শিশুশিল্পীদের যৌথ খেয়াল দিয়ে। মারুবেহাগে তিনতালের একটি সুন্দর কম্পোজিশন শোনাল তারা।

চিত্রিতা চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০১

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী এ কানন এবং মালবিকা কাননের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করল কলকাতার ‘সুরমূর্ছনা’, উত্তম মঞ্চে। সুরমূর্ছনা-র প্রতিষ্ঠাতা মালবিকা কানন স্বয়ং।

অনুষ্ঠান সূচিত হল নমামি কর্মকারের তত্ত্বাবধানে শিশুশিল্পীদের যৌথ খেয়াল দিয়ে। মারুবেহাগে তিনতালের একটি সুন্দর কম্পোজিশন শোনাল তারা। পরে একটি ভজন গেয়ে খুদে শিল্পীরা তাদের অনুষ্ঠান শেষ করে। তবলায় সহযোগিতা করেছেন রূপক মিত্র। সরগম-তান-বিস্তারে গাঁথা তাদের যৌথ উপস্থাপনা শ্রোতাদের মন ভরিয়েছে।

অনুশীলিত গায়নশৈলী এবং উদাত্ত কণ্ঠের যথার্থ সমন্বয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অন্য মাত্রা জুড়ে দিতে পারে। বর্তমান প্রজন্মের উদীয়মান কণ্ঠসঙ্গীতশিল্পী ওমকার দাদরকরের উপস্থাপনায় সেই সমন্বয় সাধিত হল। তিনি শোনালেন গাওতি রাগ। রূপক তালে বিলম্বিতের পরে তিনতাল এবং একতালে দু’টি দ্রুত বন্দিশ শোনালেন তিনি। রাগবিস্তারে গাওতির চলন সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পী। তারসপ্তকে ওমকারের নিয়ন্ত্রণ চমৎকার। তানকারিতেও তাঁর মুনশিয়ানার পরিচয় পাওয়া গেল। শিল্পীকে তবলায় যথাযোগ্য সঙ্গত করেছেন হিন্দোল মজুমদার, হারমোনিয়ামে অনির্বাণ চক্রবর্তী।

সঙ্গীতসন্ধ্যার শেষ শিল্পী ছিলেন দেবাশিস ভট্টাচার্য। হাওয়াইয়ান গিটারের রূপান্তরিত সংস্করণ ‘চতুরঙ্গী’ বাজিয়ে শোনালেন তিনি। বেহাগ রাগে দীর্ঘ আলাপে প্রয়াত দুই সঙ্গীতশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানালেন। এই বাদ্যযন্ত্রের পরিমার্জিত রূপটি বেশ শ্রুতিমধুর হয়ে উঠেছিল দেবাশিসের বাদনে। ঝাঁপতাল এবং তিনতালে বাঁধা দু’টি গৎ খুব ভাল বাজিয়েছেন। দ্রুতগতি সঞ্চারেও তাঁর গিটারের মাধুর্য কমে যায়নি। তবলায় তাঁকে সহযোগিতা করেছেন সমীর চট্টোপাধ্যায়।

মনোজ্ঞ সন্ধ্যা
পলি গুহ

ডিভাইন ইনস্পিরেশন আয়োজিত ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বিড়লা অ্যাকাডেমিতে। অনুষ্ঠানের কর্ণধার নৃত্যশিল্পী কাবেরী সেন, সেতারশিল্পী অঞ্জন সাহা। সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা। ওডিশি নৃত্য জগন্নাথবন্দনা ও শুদ্ধ নৃত্য হংসিনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

কাবেরী সেনের দক্ষ পরিচালনায় নৃত্যে দর্শকদের মুগ্ধ করেন সঙ্গীতা, রায়া, শ্রয়ণা, ঋতদ্ধা, মঞ্জিমা, ইন্দ্রাণী, রীতিনিষ্ঠা এবং সানন্দী। পরবর্তী অনুষ্ঠান মঞ্জু মেহতার সেতারবাদন। শিল্পীকে তবলায় সঙ্গত করেন হিন্দোল মজুমদার। অনুষ্ঠানের শেষ নিবেদন অনুজ মিশ্রের কত্থক নৃত্য পরিবেশনা। সুন্দর অনুষ্ঠানটি পরিবেশনের জন্য সাধুবাদ প্রাপ্য।

অনুষ্ঠান

সম্প্রতি অবন মহলে অনুষ্ঠিত হল ‘তাসের দেশ’। উপস্থাপনা করেছিল সোহিনী। এ দিনের অনুষ্ঠানে অভিনয় করেছেন দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌম্যদীপ বসু, শর্মিলা রায় প্রমুখ। কণ্ঠে মালা গুহ, চন্দ্রা দত্ত, মিতা গঙ্গোপাধ্যায়, বাসবী রায়, দেবলীনা রক্ষিত, শুভাশিস মৈত্র, অনুরাধা ভট্টাচার্য, নীলিম চৌধুরী প্রমুখ। গীত নির্দেশনা করেন সত্যকাম সেন। নৃত্য সঞ্চালনায় ছিলেন শর্মিলা রায়। যন্ত্রসহযোগে উত্তম গঙ্গোপাধ্যায়, কুমার পৃথ্বীরাজ এবং অলোক রায়চৌধুরী। নাট্য পরিচালনা করেন অগ্নিমিত্র ঘোষ।

মোহিত মৈত্র মঞ্চে সুর ও ছন্দ আয়োজন করেছিল বার্ষিক অনুষ্ঠানের। নাচ, গান, সিন্থেসাইজার, গিটারবাদন ছাড়াও ছিল যোগব্যায়ামের প্রদর্শন। সঞ্জনা বায়েন, জিনিয়া গুপ্ত, ঋত্বিকা চৌধুরী, সমরজিতা গুপ্ত, শর্মিষ্ঠা গুপ্ত প্রমুখ নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন। গান পরিবেশন করেছিলেন অনুষ্কা তালুকদার, রূপকথা ভট্টাচার্য, সৌমিতা সরকার প্রমুখ। সিন্থেসাইজার এবং গিটারবাদনে ছিলেন সারিন সান্যাল, ময়ঙ্ক ঘোষ, চন্দ্রিমা সাহা, কার্তিকচন্দ্র সরকার, প্রসেনজিৎ মজুমদার, মাধবী রায় প্রমুখ।

Music Dance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy