Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সুরের সুরলোক

সম্প্রতি শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল সুরলোক নিবেদিত ‘আমাদের যাত্রা হল শুরু’। প্রথমে রুমা সিংহের পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীত ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ’। পরে নন্দিনী ভট্টাচার্য রবীন্দ্রনাথের ‘কেন চেয়ে আছো গো মা’ শোনালেন এবং অলক রায়চৌধুরী শোনালেন ‘পৃথিবী আমারে চায়’। এর পরেই ছিলো নাট্য পাঠ, রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’।

পিনাকী চৌধুরি
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

সম্প্রতি শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল সুরলোক নিবেদিত ‘আমাদের যাত্রা হল শুরু’। প্রথমে রুমা সিংহের পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীত ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ’। পরে নন্দিনী ভট্টাচার্য রবীন্দ্রনাথের ‘কেন চেয়ে আছো গো মা’ শোনালেন এবং অলক রায়চৌধুরী শোনালেন ‘পৃথিবী আমারে চায়’। এর পরেই ছিলো নাট্য পাঠ, রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’। সন্দীপের ভূমিকায় জগন্নাথ বসু, বিমলার ভূমিকায় অপালা বসু এবং নিখিলের ভূমিকায় কাজল সুরের মর্মস্পর্শী পাঠ শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। সুমনা ঘোষের কবিতা পাঠে কিছুটা আন্তরিকতার অভাব ছিল। গানের অংশে সুছন্দা ঘোষের ‘ভেঙেছো দুয়ার, এসেছো জ্যোর্তিময়’ সুনির্বাচিত ও সুখশ্রাব্য। ভাল লাগে শর্মিষ্ঠা পালের কবিতা ‘পাথর প্রতিমা’, অনির্বাণ পালের পূজা পর্যায়ের গান ‘কবে আমি বাহির হলেম’ মন্দ নয়। তবলায় সঙ্গত করেন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু গান নয়

সম্প্রতি ‘কলকাতা উৎসব’-এর অনুষ্ঠানে নাচ-গান ও পাঠের প্রতিটি পর্বই ছিল মনোরম ও শ্রুতিনন্দন। প্রতি বছরেই এই সংস্থা এমন ধরনের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যেখানে গ্রাম-বাংলার শিল্পীরাও প্রাধান্য পেয়ে থাকেন। এদিন শুরুতেই কলকাতার বিশিষ্ট জনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্বরচিত কবিতা পাঠ করলেন মঞ্জুলা লাহিড়ী। নৃত্যে নজর কাড়লেন সূর্যকুমার বসু। আধুনিক গানে প্রাঞ্জল বক্সি নিজের সুনাম বজায় রাখেন। এ ছাড়াও গাইলেন অনুশীলা বসু, গার্গী দত্ত প্রমুখ। ভি বালসারার যন্ত্রসঙ্গীত যেন নতুন করে শোনা গেল। অপূর্ব পরিবেশনা। এ দিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাসন্তী ভুবন

সম্প্রতি বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের অনুষ্ঠানে ‘বাসন্তী ভুবন মোহিনী’র সূচনা হয় জয়িতা বিশ্বাস ও শিঞ্জিনী বিশ্বাসের পরিচালনায় অনবদ্য নাচ দিয়ে। পরে এই সংস্থার বিভিন্ন বয়সের শতাধিক শিল্পী নাচ, গান ও আবৃত্তিতে দর্শকদের অভিভূত করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাচ যেমন ‘টিয়া টিয়া’, ‘প্রতিধ্বনি শুনি’, ‘ওগো কাজল নয়না হরিণী’। শেষে সম্মান জানানো হয় সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও প্রণতি ঠাকুরকে। অনুষ্ঠানে শুভময় সেন- এর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আধুনিক গান শ্রোতাদের ভাল লাগে। ‘কা তব কান্তা’ স্তোত্রটি দিয়ে শুরু করেন। শেষ করলেন ‘আমি বাংলায়’ শুনিয়ে।

সংবিত্তির সাত

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল সপ্তম বর্ষ ‘গোবরাপুর সংবিত্তি রাজ্য নাট্যমেলা’। উৎসবের শুভ সূচনা করেন অভিনেত্রী দীপা ব্রক্ষ্ম। এই নাট্যমেলায় স্মরণ করা হয় প্রয়াত আলোক শিল্পী জয় সেনকে। চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আশিস গিরি। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন অভীক ভট্টাচার্য, আশিস চট্টোপাধ্যায়, অরুণ চক্রবর্তী ও মধুসূদন বিশ্বাস। উৎসবে নজরকাড়া প্রযোজনার মধ্যে ছিল ‘বোলান ফিরবে?’, ‘রেশন কার্ড’, ‘তিতলি’, ‘আদিম’, ‘বেওয়ারিশ’।

শান্তিনিকেতন ঘরানায়

লন্ডনপ্রবাসী শিখা চৌধুরী সস্প্রতি আইসিসিআর-এ রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করলেন। বিভিন্ন পর্যায়ের গান ছিল তাঁর নিবেদনে। ‘আমার মিলন লাগি’, ‘বসে আছি হে’, ‘স্বপন যদি ভাঙ্গিলে রজনী প্রভাতে’ প্রভৃতি গানগুলি হৃদয় স্পর্শ করে। তাঁর শান্তিনিকেতনি ঘরানা পরিণত গায়কিরই পরিচয় দেয়। তবলায় ছিলেন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাটির গানে

সম্প্রতি শিবানী কুণ্ডুর পরিচালনায় ‘মাটির গান’ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ-দ্বিজেন্দ্রলাল ও নজরুলের গান গাইলেন বিভিন্ন শিল্পী। এর মধ্যে কিছু অপ্রচলিত গানও ছিল। পরে বাঁকুড়া রানিবাঁধের শিল্পীদের সঙ্গে শিবানী কুণ্ডু পরিবেশন করলেন লাল মাটির গান ও ঝুমুর গান। এ ছাড়া রণপা ও ছৌনৃত্য দর্শকদের অভিভূত করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ananadabazar patrika pinaki chowdhury music
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE