প্রতীকী ছবি
বলাইবাবু পাড়ায় বিত্তশালী বলেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর নানান সমস্যা ছিল। যাকে সাধারণ ভাবে কথ্য বাংলায় এক সময়ে বাই বলা হত। আর এর মধ্যে অন্যতম ছিল বিমা করার অনীহা। শহর জুড়ে একাধিক ফ্ল্যাট, সোনা এবং শেয়ার। কিন্তু সম্পদের বেশিটাই ছিল স্থায়ী চরিত্রের। চট করে ভাঙানোর উপায় ছিল না। তাঁর বড় গর্ব যে জীবনে খুব সামান্য অবস্থা থেকে বড় হওয়া সত্ত্বেও কখনও কোথাও তাঁকে হাত পাততে হয়নি।
কিন্তু কথায় আছে ভাগ্যের মার। তাঁর স্ত্রীর হল চলতি কথায় আমরা যাকে বলি ভারি অসুখ। হাসপাতালে কয়েকদিনেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ। হাতে নগদ নেই। বিত্তশালী হয়েও নগদহীন বলাইবাবুকে সেই হাত পাততেই হল।করতে হল ঋণ এবং সারা জীবনের গর্ব এক লহমায় মাটিতে মিশে গেল।
আর এই পরিস্থিতিতে যাতে পড়তে না হয় সেই জন্যই সঞ্চয় উপদেষ্টারা আপনার লগ্নিকে নানান বিনিয়োগে ভাগ করে দেন। সময়ের মেয়াদে এবং লগ্নির অন্যান্য চরিত্রে। যাতে ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে। এবং সামঞ্জস্য থাকে আপনার নানান সময়ের চাহিদার মধ্যেও। যার মধ্যে রয়েছে আপনার আপতকালীন চাহিদাও।
ফেরা যাক বলাইবাবুর বৃত্তান্তে। বলাইবাবুর যা সম্পদ তাতে হয়ত বিমা করার প্রয়োজন ছিল না। অন্তত তিনি তাঁর ইচ্ছা মতো এগোতেই পারতেন। কিন্তু বিধি বাম বলাটা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অজ্ঞানতা শব্দটা ব্যবহার করাটাই উচিত এই ক্ষেত্রে।
বলাইবাবুর উচিত ছিল লগ্নি করার সময় শুধু চটজলদি ভাঙানোর অনুপাতে চোখ রাখা। তিনি যদি তাঁর চটজলদি ভাঙানো যায় সেই সম্পদকে মোট সম্পদ দিয়ে ভাগ করে দেখে নিতেন তা ২০ শতাংশের আশেপাশে আছে কিনা তাহলেই হয়ত এই সমস্যা হত না। কিন্তু তিনি তা না করে শুধুই মন দিয়েছিলেন এমন সম্পদে যা স্থায়ী আর তার ফল তাঁকে ভুগতেই হয়েছে। এই ভুল আপনি করবেন না।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy