All need to know about Agastya Goel, Indian-Origin teen photographed with Donald Trump for his Olympiad win dgtl
Agastya Goel
বাবা আইআইটির ছাত্র, গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় পদকের ছড়াছড়ি পুত্রের! ট্রাম্পের সঙ্গে ছবি তোলা অগস্ত্য কে?
অগস্ত্যের লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরের ১১টি বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলএলএম, পদার্থবিদ্যা, গণিত, ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট, জাভা, সি++ এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াড জিতেছে আমেরিকার দল। সেই জয়কে ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন আমেরিকার রাজনীতিবিদদের অনেকে। ইতিমধ্যেই বিজয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
০২১৮
পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াড জেতা দলের সঙ্গে ট্রাম্পের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রেসিডেন্টের সহকারী মাইকেল ক্র্যাটসিওস। লিখেছেন, “২০২৫ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মার্কিন পদার্থবিদ্যা দলকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানাতে পেরে গর্বিত। এই অবিশ্বাস্য প্রতিভারা জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াড জিতে রেকর্ড পাঁচটি স্বর্ণপদক ঘরে এনেছে— যা আমেরিকার দলের এখনও পর্যন্ত সেরা কৃতিত্ব।’’
০৩১৮
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর পিছনে এক সারিতে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডের বিজয়ীরা। পাঁচ কিশোরের ওই দলে ছিল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরও। নাম, অগস্ত্য গোয়েল। ট্রাম্পের ছবিতে বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
০৪১৮
সতীর্থ অ্যালেন লি, জোশুয়া ওয়াং, ফিয়োদর ইয়েভতুশেঙ্কো এবং ব্রায়ান ঝাং-এর সঙ্গে মিলে আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জিতেছে অগস্ত্যও।
০৫১৮
তার পর থেকেই অগস্ত্যকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কে এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোর?
০৬১৮
অগস্ত্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক আশিস গোয়েলের পুত্র। ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোর হেনরি এম গান হাই স্কুলের ছাত্র।
০৭১৮
স্ট্যানফোর্ড অনলাইন হাই স্কুলে আধুনিক পদার্থবিদ্যা এবং মাল্টিভার্স ক্যালকুলাস নিয়ে পড়াশোনা করছে অগস্ত্য। স্পেনীয় ভাষাও শিখছে পড়াশোনার পাশাপাশি। পারে হিন্দি বলতেও।
০৮১৮
এর আগেও ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স’ (আইওআই)-এ দু’টি স্বর্ণপদক জিতেছিল অগস্ত্য। ৬০০-র মধ্যে ৪৩৮.৯৭ পেয়ে ২০২৪ সালের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাতেও স্বর্ণপদক জিতেছিল সে।
০৯১৮
অগস্ত্যের লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরের ১১টি বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলএলএম, পদার্থবিদ্যা, গণিত, ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট, জাভা, সি++ এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম।
১০১৮
অগস্ত্যের লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকেই জানা গিয়েছে, টেনিস খেলতে এবং হাইকিং করতে ভালবাসে সে। পছন্দের জায়গা সঙ্গীতও। গিটার এবং পিয়ানো— উভয়ই বাজাতে পারে সে।
১১১৮
পাশাপাশি সংবাদ, অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান নিয়ে বিভিন্ন পডকাস্ট শুনতেও ভালবাসে অগস্ত্য। ভালবাসে বন্ধুদের সঙ্গে ফ্রিসবি এবং বোর্ড গেম খেলে সময় কাটাতেও।
১২১৮
স্কুলে গেম ক্লাব, প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং ক্লাব, টেনিস দল এবং সঙ্গীত দলেও সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করে অগস্ত্য। তেমনটাই জানা গিয়েছে তার লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে।
১৩১৮
অগস্ত্যের অন্যান্য স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা কম্পিউটিং অলিম্পিয়াড’-এর ফাইনালিস্ট হওয়া। আমেরিকার পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডেও ২০২৩ সালে রৌপ্যপদক জিতেছিল সে।
১৪১৮
২০২২ সালেও আমেরিকার পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছিল অগস্ত্যকে। ২০২৩ সালে গণিত অলিম্পিয়াড প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করেছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোর।
১৫১৮
২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পালো আল্টোর অয়লার সার্কেলে গবেষক হিসাবে কাজ করেছিল অগস্ত্য। ‘দ্য অস্ট্রেলাসিয়ান জার্নাল অফ কম্বিনেটরিকস’-এ গণিত নিয়ে তার গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে।
১৬১৮
কিশোর অগস্ত্যের এ-হেন প্রতিভা ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে হইচই ফেলেছে। ছেলের সাফল্যের নেপথ্যে হাত রয়েছে বাবারও।
১৭১৮
অগস্ত্যের বাবা আশিস গোয়েলের জন্ম উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, আইআইটি-জেইই পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জন করেন তিনি। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারং পাশ করেন আইআইটি কানপুর থেকে। পরে স্ট্যানফোর্ড থেকে পিএইচডি করেন।
১৮১৮
বর্তমানে স্ট্যানফোর্ডেই অধ্যাপনা করছেন আশিস। আশিসের গবেষণার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, কম্পিউটেশনাল সোশ্যাল সায়েন্স, অ্যালগরিদমিক গেম থিওরি-সহ আরও অনেক তত্ত্ব। আশিসের হাত ধরেই বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয় অগস্ত্যের।