ধর্মযাজক জন হার্ভার্ডের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়। এটি আমেরিকার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ও বটে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে হার্ভার্ডের। বিশ্বের বহু নোবেল প্রাপক গবেষণা করেছেন হার্ভার্ড থেকে। শিক্ষার মান, সুনাম এবং প্রভাবের কারণে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়েরও তকমা পেয়েছে হার্ভার্ড।
চিকিৎসা, ব্যবসা, বিজ্ঞান, আইন, সমাজকল্যাণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজ চলে হার্ভার্ডে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এ বার ট্রাম্প প্রশাসনের কোপে। পশ্চিম এশিয়ায় হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহে আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে দেখেনি ট্রাম্প সরকার।
শর্তাবলির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ এবং পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রেও সরকারি ভাবনাকে গ্রহণ করতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এই শর্তগুলির মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কী পড়াবে, কাকে ভর্তি করবে, কাকে নিয়োগ করবে, তাঁরা কী বিষয়ে পড়বেন বা গবেষণা করবেন— সেগুলির উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন অ্যালেন।
সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। কয়েক জন বিজ্ঞানী এবং গবেষককেও ইতিমধ্যে গবেষণা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কিছু গবেষণা ও প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে গিয়েছে বলে খবর।
হার্ভার্ডের প্রাক্তনীরাও আমেরিকার সরকারের ওই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন নোবেল প্রাপকেরাও। উল্লেখ্য, এর আগে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলেও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালেস্টাইনের সমর্থন এবং ইজ়রায়েলের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। বিক্ষোভ শান্ত করতে পদক্ষেপ করে প্রশাসন। কিন্তু অনুদান বন্ধ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy