প্রায় চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বেঙ্গালুরুর এক আয়কর আধিকারিকের ছেলে। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় শহরের বাইরের এক জলাশয় থেকে।
কেনগেরিতে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে যান আয়কর আধিকারিক নিরঞ্জন কুমারের উনিশ বছরের ছেলে শরথ। তার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না।
বাড়ি থেকে বার বার ফোন করা হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু কিছুতেই তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
কিছু ক্ষণ পর শরথের বাবার ফোনে একটা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিয়ো ম্যাসেজ আসে। সেই ভিডিয়োয় শরথের মুখ দিয়েই ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ানো হয়।
মুক্তিপণ না দিলে তাঁকে খুন করা হবে বলে সেই ভিডিয়ো বার্তায় জানায় শরথ।
সে আরও জানায়, অপহরণকারীদের দেখতে কতকটা সন্ত্রাসবাদীদের মতো। শুধু তা-ই নয়, টাকা না দিলে তাঁর বোনেরও ক্ষতি করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা।
অপহরণের চার দিন পর তাঁর দেহ শহরের বাইরে রামোতল্লি লেকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
প্রথম দিকে শরথের বাড়ির লোকরা পুলিশে খবর দিতে চাননি। পরে লেকের কাছ থেকে দেহ উদ্ধার হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্পষ্ট হয়, কারা খুন করেছিল তাঁকে।
অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শরথের বন্ধু বিশাল-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্পষ্ট হয় কেন খুন করা হয়েছিল তাঁকে।
মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শরথকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে বিক্রম ও তাঁর সঙ্গীরা।
তারাই শরথকে দিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করে তাঁর বাবার কাছে পাঠায়। কিন্তু কেন খুন করা হয় তাঁকে?
জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই রহস্যের সমাধান করছে পুলিশ। বিক্রমই পুলিশকে জানায়, কেন শরথকে খুন করা হয়েছিল।
জীবিত অবস্থায় শরথকে ছাড়লে তাঁদের ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কায় খুন করা হয় শরথকে।
জিজ্ঞাসাবাদে বিক্রম জানায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় শরথকে। তাঁর দেহটি গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে রামোতল্লি লেকের কাছে ফেলে দিয়ে আসে।
প্রথমে হ্রদের জলে দেহটি ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু না পেরে দেহটিকে হ্রদের ধারে ফেলে আসে তারা।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তদন্তে নেমে ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অপহরণকারীদের ব্যবহার করা গাড়িটিও।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy