২০২১ সালে এই ধরনের আটটি অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিচালনকারী সংস্থা পুলিশের নজরে এসেছিল। সম্প্রতি আরও কিছু সংস্থা তাঁদের নজরে আসে। কোঝিকোড়-ভিত্তিক র্যাকেটের কার্যকলাপের তদন্তের সময় পুলিশ এই সংস্থাগুলির খোঁজ পায়। এই অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলির নেপথ্যে রয়েছে ‘প্যান-ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক’-এর ভূমিকা। বেশির ভাগ সংস্থা কেরলের কোঝিকোড়েই রয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, দেশের চোরাকারবারি এবং সন্ত্রাসবাদীরা যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে তথ্য চালান করতে পারে, তাই বিদেশের সার্ভার কেনা হয়েছিল। বিএসএনএল সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল জেনারেল ম্যানেজার জি মুরলীধরন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক ফোনকল আদান-প্রদানের পদ্ধতিকে এড়িয়ে চলার জন্য অনৈতিক ভাবে এই ধরনের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ব্যবহার ক্রমবর্ধমান এবং এর ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতিও হচ্ছে।
কোঝিকোড় সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চের সহকারী কমিশনার অনিল শ্রীনিবাসন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, নজরদারি এড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয় ‘ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল’ (ভিওআইপি)। এক সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, কোঝিকোডে অবৈধ এক্সচেঞ্জের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তরা ভিওআইপি পদ্ধতিতে কল করার জন্য একটি সংস্থার নামে বিদেশি সার্ভার ব্যবহার করছে। যাঁরা এই সার্ভারটি কিনেছেন, তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই সব সংস্থা বৈধ টেলিকম বিভাগের অপারেটরদের ব্যবসার ক্ষতি করে। এর ফলে সরকারও বড় অঙ্কের কর থেকে বঞ্চিত হয়। এফটিআই কনসাল্টিং স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন সংস্থার কর্মী প্রশান্ত কে রায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আরব থেকে কেরলে একটি কল পিছু প্রতি মিনিটে ৮ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত ধার্য করা হয়। কিন্তু অবৈধ পদ্ধতিতে তার চেয়েও খরচের পরিমাণ কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy