দলীপ ট্রফিতে তিনি নির্বাচিত হন উত্তরাঞ্চল দলে। পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে ৫৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের নজর কাড়েন যোগিন্দর। এরপর ‘ভারত এ’ দলের হয়ে জাতীয় দলের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল তাক লাগানো। সেই ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং যুবরাজ সিংহের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের উইকেট তিনি নেন।
অলরাউন্ডার যোগিন্দর ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংও করতেন। ২০০৭-এ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সাক্ষী ছিল তাঁর জীবনের সেরা পারফরম্যান্সের। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভার বল করতে এসেছিলেন তিনি। ৬ বলে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দরকার এক উইকেট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের ওই ম্যাচই ছিল যেগিন্দরের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ। মাত্র চারটি ওয়ান ডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা যোগিন্দর রয়ে গেলেন ভারতের ক্রিকেটে ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার হয়েই। চারটি ওয়ান ডে-তে তাঁর মোট রান ৩৫। উইকেট পেয়েছেন একটি। পাশাপাশি কেরিয়ারের সব টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে তাঁর শিকার চারটি।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রসঙ্গ উঠলেই স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। তাঁর কথায়, “সেই স্মৃতি কি কখনও ভোলা যায়? যত দিন বেঁচে থাকব, সেই মুহূর্তই আমার জীবনের সেরা হয়ে থাকবে। সেই ওভারের আগে পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেললেও সমর্থকদের মনে জায়গা করতে পারিনি। কিন্তু মিসবাকে আউট করার পরে বুঝতে পেরেছিলাম, ক্রিকেট সমর্থকরা এর পরে আমাকে চিনতে আর ভুল করবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy