The much-awaited wedding of Balika Vadhu fame with his fiance at Pati Patni Aur Panga dgtl
Avika gore
‘বাবার বয়সি’ সহ-অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক ও সন্তানের গুঞ্জন ১৫ বছরের নায়িকার! অনুষ্ঠানের মঞ্চে সাত পাক ঘুরবেন টেলি তারকা
পর্দার সেই ছোট্ট বালিকা আজ ২৭-এর পূর্ণ যুবতী। বাগ্দত্ত মিলিন্দ চন্দবানীর সঙ্গে টিভির অনুষ্ঠান ‘পতি, পত্নী অউর পাঙ্গা’তে সম্প্রতি জুটি বেঁধেছেন টেলি-তারকা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ছোটপর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। বয়স তখন মাত্র ১১ বছর। তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছিল ধারাবাহিকের গল্প। গল্প, চিত্রনাট্যের সঙ্গে খুদে শিল্পীর অভিনয়ই সেই ধারাবাহিককে অল্প দিনের মধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যায়। টিআরপি তালিকায় ‘বালিকা বধূ’ পিছনে ফেলে দেয় তাবড় সব ধারাবাহিককে।
০২১৫
জোড়া ভ্রু, এক গা গয়না, জমকালো ঘাগরা পরা আনন্দীর ভূমিকায় দর্শকমনে পাকাপাকি ঠাঁই করে নেন অবিকা গৌর। ২০০৮ থেকে ২০১০ অবধি ধারাবাহিকে আনন্দীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অবিকা। ধারাবাহিকটি দু’বছর সম্প্রচারিত হওয়ার পরে গল্পের আনন্দী বড় হয়ে যায়। পরে আরও একটি ধারাবাহিক ‘সসুরাল সিমর কা’-এ রোলি নামের একটি ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী।
০৩১৫
পর্দার সেই ছোট্ট বালিকা আজ ২৭-এর পূর্ণ যুবতী। বাগ্দত্ত মিলিন্দ চন্দবানীর সঙ্গে টিভির অনুষ্ঠান ‘পতি, পত্নী অউর পাঙ্গা’তে সম্প্রতি জুটি বেঁধেছেন অবিকা। বলিউড সূত্রে খবর, বাগ্দত্তের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অবিকা ও মিলিন্দ।
০৪১৫
বিয়ের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাধে মা এবং গায়িকা নেহা কক্কর এই বিয়ের অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
০৫১৫
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে অবিকা ও তাঁর প্রেমিক বাগ্দান সম্পন্ন করেছিলেন জুন মাসে। পাঁচ বছরের প্রেম পর্বের পর অনুষ্ঠানের ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছিলেন অবিকা। প্রেমিক মিলিন্দের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, “প্রার্থনার ফল মিলেছে। আমার জীবনের ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেয়েছি! আমি খুবই নাটকীয়। মনে করি ঠিক সিনেমার মতো হাওয়ায় শাড়ি উড়বে। এমনই স্বপ্নের জগতে আমি ভেসে বেড়াই। আর ও আমার সব স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করে।”
০৬১৫
মিলিন্দের সঙ্গে প্রেমে সিলমোহর পড়ার আগে অবিকার নাম জড়িয়েছিল ‘সসুরাল সিমর কা’র অভিনেতা মণীশ রায়সিংহানিয়ার সঙ্গে। বলিপাড়ার বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছিল ধারাবাহিকে কাজ করার সময় ১৮ বছরের বড় সহ-অভিনেতা মণীশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অবিকা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ধারাবাহিকে এক অষ্টাদশীর চরিত্রে অভিনয় করেন অবিকা।
০৭১৫
দু’জনকে নানা জায়গায় একসঙ্গে দেখা গেলেও নিজেরা অবশ্য ‘ভাল বন্ধু’ বলেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সেই সময়। মণীশের সঙ্গে ‘আনকাহি বাতেঁ’ নামের আর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন অবিকা। ৬৯তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের সেই ছবির পোস্টারের প্রথম প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়। তার পর থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো ছড়ায়।
০৮১৫
পর্দার হিট জুট অবিকা-মণীশের সম্পর্ক নিয়ে এমনও দাবি উঠেছিল যে তাঁরা গোপনে বিয়ে সেরে ফেলেছেন। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। তাঁরা দু’জনেই নাকি সযত্নে সেই সন্তানের অস্তিত্ব গোপন করে রেখেছেন। সেই রটনা স্বাভাবিক ভাবেই অস্বীকার করেছিলেন দু’জনেই। সম্পর্ককে সকলের সামনে বন্ধুত্বের মোড়কে উপস্থাপিত করেছিলেন তাঁরা।
০৯১৫
মণীশ জানিয়েছিলেন, বয়সে ১৮ বছরের ছোট অবিকার সঙ্গে তাঁর কোনও দিনই প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। খোলা গলায় মণীশ স্বীকার করেছেন, অবিকা তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড। জানিয়েছেন, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের পার্থক্যটা কোনও ব্যাপারই নয়। তারকা টেলি-অভিনেত্রীর বক্তব্য, মণীশ তাঁর বাবার চেয়ে সামান্যই ছোট। না জেনেই নিন্দকেরা এই ধরনের অযৌক্তিক মন্তব্য করছেন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে এমন কোনও সম্পর্কের অস্তিত্বই নেই।
১০১৫
এ সব গুজব যখন থেকে শুরু হয়, তখন তাঁর বয়স মোটে ১৩, আর মণীশের ৩২। সুতরাং এত বয়সের ফারাকে কোনও সম্পর্ক তৈরিতে তাঁরা কেউই আগ্রহী নন বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন অবিকা। সংবাদমাধ্যমে তাঁদের দু’জনকে নিয়ে মুচমুচে রসালো প্রতিবেদন দেখলে নিছক মজা অনুভব করতেন বলে জানিয়েছেন অবিকা।
১১১৫
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটে তখন, যখন ২০২০ সালে অবিকার জন্মদিনেই প্রেমিকা সঙ্গীতা চহ্বানকে বিয়ে করে নেন মণীশ। দু’বছর ধরে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর চার হাত এক হয় মণীশ-সঙ্গীতার। তার কয়েক দিন পরই অবিকাও মিলিন্দের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন। অবিকা এবং মিলিন্দের বয়সের পার্থক্য ছ’বছরের।
১২১৫
রুপোলি পর্দার সঙ্গে যুক্ত না হলেও রোডিজ়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মিলিন্দকে। ২০১৯ সালে এমটিভি রোডিজ়ে যোগ দেন এবং অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার দলের হয়ে প্রতিযোগিতায় খেলেছিলেন মিলিন্দ। অবিকার বাগ্দত্ত আইআইএম অহমদাবাদ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইনফোসিসে সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন মিলিন্দ। একটি অসরকারি সংস্থাও চালান তিনি।
১৩১৫
মিলিন্দের মতো অবিকাও যুক্ত সমাজসেবার সঙ্গে। অবিকার পশুপ্রেমের কথা অজানা নেই ঘনিষ্ঠমহলে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা সংক্রান্ত কর্মসূচিতেও অংশীদার পর্দার ‘বালিকা বধূ’। তাঁকে নাবালিকা বিবাহ রোধের প্রধান মুখ করে প্রচার করা হয়। সরকারি সেই প্রচারেও অবিকার গ্রহণযোগ্যতা ছিল চোখে পড়ার মতো। গুজরাতি পরিবারে বেড়ে ওঠা অবিকা আপাতত পর্দার কাজ ছেড়ে ক্যামেরার পিছনের খুঁটিনাটি কাজকর্ম শিখছেন।
১৪১৫
অভিনয়ের চেয়ে বেশি করে পরিচালনার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অবিকা। দেশ-বিদেশের নানা ছবি দেখে ছবি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করার হাতেখড়িও শুরু হয়। প্রায় দেড় দশক টেলি দুনিয়ায় কেরিয়ারের পর ৩০ কোটি টাকার মালিক অবিকা।
১৫১৫
আপাতত টিভিতে ফিরতে উৎসাহী নন এই অভিনেত্রী। ক্যামেরার সামনে কাজ করার চেয়ে ক্যামেরার পিছনে কাজ করাকেই প্রাধান্য দিতে চান তিনি। তাই ফিল্মমেকিং ও সেই সংক্রান্ত পড়াশোনা নিয়েই আপাতত ব্যস্ত থাকতে চান। সঙ্গে হাতেকলমে কিছু ছবি তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থাকতে চান অবিকা।