রিয়্যালিটি শো কতটা ‘রিয়্যাল’, চিত্রনাট্য মেনেই কি শুটিং হয় ‘বিগ বসের’?

২০১২ সালে ‘বিগ বস্’-এর ষষ্ঠ সিজ়নের প্রতিযোগী ছিলেন আশকা গোরাদিয়া। তাঁর মতে চিত্রনাট্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি না হলেও বেশি কাটছাঁট করার ফলে শোয়ের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের সম্পর্কে নির্ভুল বার্তা পৌঁছয় না।

আশকা এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার লিঙ্গপরিচয় ভুল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ‘বিগ বস্’-এ। এক প্রতিযোগীর অ্যালার্জি হওয়ায় আমি তাঁর গায়ে মলম লাগিয়ে দিচ্ছিলাম। চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন তিনি। ওঁর শরীরে অ্যালার্জির ফলে যে চাকা চাকা দাগ বেরিয়েছিল সেগুলি যেন টিভির পর্দায় ধরা না পড়ে তাই আমি চাদরের তলায় হাত দিয়ে মলম লাগাচ্ছিলাম। ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলেও তার ফল ভাল হল না।’’

‘বিগ বস্’-এর চতুর্দশ সিজ়নে বিজয়ী হয়েছিলেন টেলি অভিনেত্রী রুবিনা দিলাইক। বিজয়ী হওয়ার পর তিনি এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে চিত্রনাট্য মেনেই এই শোয়ের শুটিং হয়।

রুবিনা বলেছিলেন, ‘‘আপনি যদি চ্যানেল সংস্থার মুখ হন তা হলে চ্যানেল সংস্থার প্রিয় পাত্রও হয়ে পড়বেন। আপনার জন্য সব কিছুই তৈরি থাকবে। সবই পূর্বপরিকল্পিত। সমস্তটাই চিত্রনাট্যের উপর ভিত্তি করা।’’

‘বিগ বস্’-এর সপ্তম সিজ়নে প্রতিযোগী ছিলেন অপূর্ব অগ্নিহোত্রী। নিজের ইউটিউব ভ্লগে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘কোন প্রতিযোগী কেমন প্রতিক্রিয়া দেবেন তা আগে থেকেই জানেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী সকলের পদক্ষেপ আগে থেকেই অনুমান করে ফেলেন তাঁরা। এমনকি শেষ মুহূর্তে বিজয়ীও বদলে ফেলতে পারেন তাঁরা।’’

নানা রকম মন্তব্য এবং অভিযোগের মধ্যে মুখ খোলেন ‘বিগ বস্‌’ শোয়ের সঞ্চালক সলমন খান। সব অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই শোয়ের চিত্রনাট্য রচনা করার সাধ্য এখনও পর্যন্ত সারা দুনিয়ায় কারও হয়নি। তাই এই ধরনের প্রশ্ন না তুললেই ভাল।’’