E-Paper

এঁরা স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন সমাজ থেকে দূরে নির্জন অরণ্যে বাস

কখনও একাকিত্ব, কখনও সামাজিক জীবনের প্রতি বিরূপতা। কখনও প্রকৃতির সান্নিধ্য প্রাপ্তি, কখনও বা উন্নয়নকামীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কখনও আবার রাষ্ট্রের নিষেধের বিরুদ্ধে নিজস্ব ধর্ম প্রতিপালন। নানা সময়ে বিভিন্ন কারণে মানুষ বেছে নিয়েছেন বনবাস। সমাজবদ্ধ নিশ্চিন্ত গতানুগতিক জীবনের বিপরীতে ব্যতিক্রমী জীবনের এই অভিমুখ যেমন বিরল, তেমনই বিস্ময়কর।

সুদীপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ০৯:৩৫
অরণ্যচারী: জঙ্গলে নিজের তৈরি করা কাঠের কেবিনে রিচার্ড প্রনেকে।

অরণ্যচারী: জঙ্গলে নিজের তৈরি করা কাঠের কেবিনে রিচার্ড প্রনেকে।

সমাজ ও সামাজিক জীবন বাদ দিয়ে মানুষকে কল্পনা করা যায় না। শুধু মানুষ নয়, বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণী দল বেঁধে থাকতে ভালবাসে। পরিচিত হোক অথবা অপরিচিত, কয়েক জন মানুষের সংস্পর্শে থাকলে আমরা মানসিক স্বস্তি অনুভব করি। এই স্বস্তি কেবল নিরাপত্তাবোধের জন্য নয়। এই অনুভূতি আসলে আমাদের সান্ত্বনা দেয়, ভরসা দেয়। আমাদের জানায় যে এই মহাবিশ্বে, এই পৃথিবীতে, এই অনিশ্চিত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমার আশপাশে আরও অনেক মানুষ আছে, তারাও ঠিক আমারই মতো।

তবু, মাঝেমধ্যে এ রকম ঘটনাও ঘটেছে, যখন মানুষ নিজে থেকেই পরিচিত সমাজ ছেড়ে একাকিত্বের দিকে অগ্রসর হয়েছে। কখনও বা বিপাকে পড়ে, কখনও স্বেচ্ছায়। এমনও কিছু কিছু মানুষ আছেন, তাঁরা পরিস্থিতির বশবর্তী হয়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

মার্কোস রদরিগেজ় পেন্তোহা যেমন। ১৯৪৬ সালে স্পেনে জন্মেছিলেন তিনি। সাত বছর বয়সে তাঁকে এক সন্ন্যাসী ধরনের ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তিনি বনে-জঙ্গলে ছাগলের পাল নিয়ে ঘুরতেন। মার্কোসের যখন সাত বছর বয়স, তখন তাঁর পালক পিতা মারা যান। পরবর্তী বারো বছর ধরে মার্কোস সিয়েরা মোরেনা পর্বতমালায় নেকড়ের দলের সঙ্গে থেকেছেন। নেকড়েদের দেখে দেখে শিকার করতে শিখেছেন, খাদ্যসংগ্রহ করতে শিখেছেন, শিখেছেন আত্মরক্ষা করতে। উনিশ বছর বয়সে যখন মনুষ্যসমাজে ফিরে আসেন, তখন তাঁর এই জগৎটা ফাঁপা, সাজানো বলে মনে হয়েছিল। এই দুনিয়াটার সঙ্গে কিছুতেই তিনি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। তিনি বার বার তাঁর অরণ্যজীবনে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতেন।

এ ধরনের নেকড়ে-বালকের কথা অবশ্য একাধিক বার শোনা গেছে। ভারতেও ১৮৬৭ সালে শিকারিরা নেকড়ের গুহা থেকে একটা মানুষকে উদ্ধার করে আনেন। দিনা শনিচর বলে সেই মানুষটিকে নিয়ে সত্যি-মিথ্যে মিশিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়েছে।

কিন্তু শুধু পরিস্থিতির বশবর্তী হয়ে নয়, অনেক মানুষ স্বেচ্ছায় পরিচিত সমাজ পরিত্যাগ করেও একাকিত্বের অভয়ারণ্যে আশ্রয় নেন। অর্থাৎ, তাঁরা মানুষের সংস্পর্শ এবং সামাজিকতার বদলে অরণ্যের নির্জনতা বেছে নিতে বেশি আগ্রহী হন। আমেরিকার প্রকৃতিবিদ ও সংরক্ষণবিজ্ঞানী রিচার্ড লুই প্রনেকে প্রায় তিরিশ বছর ধরে (১৯৬৮-১৯৯৮) আলাস্কার টুইন লেক অঞ্চলের একটি লগ কেবিনে একা থেকেছেন। একান্ন বছর বয়সে তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রকৃতির মাঝে চলে যান। তিনি মানবসভ্যতাকে প্রত্যাখ্যান করেননি, কিন্তু সমাজে তাঁর কোনও পিছুটান ছিল না। এই দীর্ঘ সময় ধরে তিনি নিয়মিত জার্নালিং করেছেন, মাটি ও উদ্ভিদের নমুনা সংগ্ৰহ করেছেন, সিনেমা বানিয়েছেন। মূলত মাছ ধরে, শিকার করে খাওয়াদাওয়া করতেন তিনি, তাঁর থাকার লগ কেবিনটাও নিজে হাতে কাঠ কেটে তৈরি করেছিলেন।

একই ভাবে আমেরিকার মেইন অঞ্চলে ক্রিস্টোফার টমাস নাইট কুড়ি বছর বয়সে শহর ছেড়ে নর্থ পন্ড-এর জলাভূমি অঞ্চলে ঢুকে যান, পরবর্তী সাতাশ বছর ধরে তিনি কোনও মানুষের সঙ্গে কথা বলেননি। সদ্য যৌবনে পা দিয়েই এ রকম একটা সিদ্ধান্ত তিনি কেন নিয়েছিলেন, কেউ জানে না। তিনি কাউকে কিচ্ছু জানাননি। রিচার্ডের মতো পরিবেশবিজ্ঞানী ছিলেন না ক্রিস্টোফার, তাঁর কোনও ঘোষিত আদর্শ ছিল না। তবু নীরবে অরণ্যের পথ বেছে নিয়েছিলেন এই তরুণ। অথচ তিনি জনবসতির কাছাকাছি প্রায়ই আসতেন, গৃহস্থের বাড়ি থেকে খাবারদাবার চুরি করে ক্যানোয় করে জলাভূমির ভিতর তাঁর আস্তানায় নিয়ে যেতেন, কিন্তু মানুষের সঙ্গে সংস্পর্শ রাখার ইচ্ছে তাঁর ছিল না। প্রকৃতির সান্নিধ্যেই তিনি তাঁর জীবনের প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন।

কিন্তু প্রকৃতিতে একা থাকলেই যে শান্তি পাওয়া যাবে, অথবা কেউ শান্ত জীবন বেছে নেবেন বলেই যে এমন নির্বাসন গ্রহণ করেছেন, তা কিন্তু নয়। কখনও কখনও প্রকৃতি একা মানুষকে অশান্ত করে তোলে, হিংস্র করে তোলে।

থিয়োডোর জন কাজ়ানস্কিকে নিয়ে এক সময় আমেরিকার শিক্ষিত মহলে হইচই পড়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন গণিত-বিস্ময়, গণিতশাস্ত্রের দুনিয়ায় তাঁর সমকক্ষ তেমন কেউ ছিল না। কিন্তু ১৯৬৯ সালে, মাত্র সাতাশ বছর বয়সে তিনি তাঁর কেরিয়ার ত্যাগ করে পথে বেরিয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালে তিনি সামাজিক জীবন থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন করে মন্টানার এক প্রত্যন্ত অরণ্যে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। আদিম জীবনশৈলী আয়ত্ত করে জীবনধারণের জন্য তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু শান্তির খোঁজ করা সম্ভবত তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, শিল্পায়নের ফলে প্রকৃতির সর্বনাশ নিশ্চিত। তাই মনে মনে সঙ্কল্প করেছিলেন, আগে ‘ইন্ডাস্ট্রি’কে ধ্বংস করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত ভাবে চিঠির মধ্যে বোমা ভরে সেই সমস্ত মানুষকে পাঠাচ্ছিলেন, যাঁরা শিল্পায়নকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন বলে তাঁর বিশ্বাস ছিল। এই মেল-বম্বিং ক্যাম্পেনের ফলে তিন জন প্রাণ হারায়, তেইশ জন গুরুতর আহত হয়। আড়ালে থাকা আততায়ীকে ধরতে এফবিআই-এর কর্তাদের কালঘাম ছুটে যায়। চিঠিতে কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকত না, কোনও ডিএনএ স্যাম্পল থাকত না, কিন্তু কাজ়ানস্কি তাঁর সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, তাঁর বিশ্বাস ছিল, সাংস্কৃতিক প্রতিরোধবাদ ফিরিয়ে আনতে হলে, প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হলে, একমাত্র এটিই হল সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। পরবর্তী সময়ে অনেক চেষ্টাচরিত্র করে কাজ়ানস্কিকে খুঁজে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বহু বছর ধরে প্রকৃতির মাঝে একা বাস করার পরেও তাঁর ক্রোধ কমেনি, তিনি শান্তিও পাননি।

সকলেই অবশ্য ইচ্ছাকৃত ভাবে এই একাকিত্ব বেছে নেয় না। ব্রাজিলের রোদ্যানিয়া অঞ্চলে আমাজ়নের গভীর জঙ্গলের মধ্যে তানারু জনজাতির মানুষেরা বসবাস করত। নগরবাসী মানুষের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ ছিল না। সত্তর দশকে বেআইনি ‘সেটলার্স’ বা বসতি স্থাপনকারী মানুষদের হাতে তানারু আদিবাসীদের বেঘোরে প্রাণ খোয়াতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এ রকম ঘটনা নতুন কিছু নয়, গত চারশো বছর ধরে সভ্য মানুষের হাতে আমাজনের শত শত গোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এই গণসংহারের কোনও বিচার হয়নি। এমনকি বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতেও বেআইনি খনন আর অরণ্যনাশের কারণে আমাজ়নের আদিবাসীদের মরতে হয়েছে, মরতে হচ্ছে। তানারুর মতো ‘আকুন্তসু’ আর ‘ক্যানোয়ে’ প্রজাতির বহু মানুষকেও প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু রোদ্যানিয়ার তানারু গোষ্ঠী সম্পূর্ণ ভাবে উচ্ছেদ হলেও তাদের মধ্যে এক জন বেঁচে যায়। তখন সে একদম একা। নিজের ছোট্ট গোষ্ঠীর বাইরে সে কাউকেই চেনে না, অরণ্যের বাইরে তার কোনও পৃথিবী নেই। সেই মানুষটি মরেনি। ‘ম্যান অব দ্য হোল’ বলে বিখ্যাত এই ব্যক্তি তাঁর গোষ্ঠীর শেষ জীবিত মানুষ হিসেবে কয়েক দশক ধরে বেঁচে থেকেছেন। আমাজ়নের গভীর জঙ্গলের মধ্যে, এবং সম্পূর্ণ একা। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত তিনি অরণ্যকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন।

একা মানুষ বা ‘সোল সারভাইভার’ হলেই যে কেউ সমাজবিচ্ছিন্ন জীবনের দিকে আকৃষ্ট হবেন, তা কিন্তু জরুরি নয় সব সময়। ১৯৭৬ সালে সাইবেরিয়ার উপর দিয়ে হেলিকপ্টার ওড়ানোর সময় এক জন পাইলট লক্ষ করেন, পাহাড়ের ঢালু অঞ্চলের একাংশে বনজঙ্গল বিশেষ নেই, যেন কেউ যত্ন নিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করেছে। সাইবেরিয়ান তাইগার আবাকান রেঞ্জ এমনিতেই অসম্ভব দুর্গম অঞ্চল, সেখানে একশো পঞ্চাশ মাইলের মধ্যে কোথাও মানববসতি নেই। তদুপরি, তৎকালীন সোভিয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘোর অরণ্যে কোথাও মানুষের বসবাসের কোনও রেকর্ডওছিল না।

হেলিকপ্টারটা আসলে পাঠানো হয়েছিল ভূতাত্ত্বিকদের একটা দলকে এই অঞ্চলে ল্যান্ডিং করানোর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে। পরিকল্পনা ছিল, ভূবিজ্ঞানীরা সেখানে বেশ কয়েক দিন ধরে ‘প্রস্পেক্টিং’ করে লোহার আকরিক খুঁজবেন। কিন্তু পাইলটের কাছে এই ঘটনা শুনে তাঁরা মনস্থির করেন, আগে ওই জায়গাটায় গিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে।

সেখানে গিয়ে ভূবিজ্ঞানীরা একটা জলপ্রপাতের পাশে একটা কাঠের কেবিন আবিষ্কার করেন। একটাই ঘর। গুমোট, ময়লা, উত্তাপের কোনও ব্যবস্থা নেই। মেঝের ওপর ডাঁই করে রাখা পাইন নাট আর আলুর খোসা। সেখানে কোনও মানুষ থাকতে পারে বলে মনে হয় না। কিন্তু সেই ছোট্ট কেবিনে যে কয়েক জন মানুষের সাক্ষাৎ মেলে, তাতে একটা অপ্রত্যাশিত ও অসামান্য ঘটনার কথা জানা যায়।

তিনের দশকে যখন স্টালিনের সৈন্যবাহিনী যে কোনও রকম ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করছে, আর গোঁড়া ধর্মবিশ্বাসীদের উপর অত্যাচার করছে, তখন রাশিয়ান অর্থোডক্স গির্জার মধ্যে একটি বিশেষ রক্ষণশীল ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী বজায় ছিল। লাইকোভ-রা এই গোষ্ঠীর এক পরিবার। গত চল্লিশ বছর ধরে নিজেদের ধর্মবিশ্বাস আঁকড়ে লাইকোভ পরিবার এই দুর্গম অরণ্যে বসবাস করছেন। বাবা কার্প, দুইছেলে সাভিন আর দিমিত্রি এবং দুই মেয়েনাতালিয়া আর আগাফিয়া। আগাফিয়া সেই জঙ্গলেই জন্মেছেন। তাঁদের কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র নেই, বিদ্যুৎ নেই, যন্ত্রপাতিও নেই। আদিম উপায়ে চাষবাস করে, গাছের ছাল আর বারল্যাপ দিয়ে পোশাক তৈরি করে, পাথর ঘষে ধারালো অস্ত্র বানিয়ে শিকার করেই তাঁরা চার দশক ধরে বেঁচেবর্তে আছেন।

ধর্মের জন্য স্বেচ্ছা-নির্বাসিত লাইকোভ পরিবারের সদস্যরা।

ধর্মের জন্য স্বেচ্ছা-নির্বাসিত লাইকোভ পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনাটা জানতে পেরে সোভিয়েট রাশিয়ায় হইচই পড়ে যায়। কতটা আধ্যাত্মিক দৃঢ়তা থাকলে কোনও পরিবার ধর্মবিশ্বাস রক্ষার জন্য এমন একটা জীবন বেছে নিতে পারে? সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের শহরে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তাঁরা অস্বীকার করেন। লাইকোভ পরিবার মৃত্যু পর্যন্ত সেই বন্য প্রান্তরে বসবাস করে গিয়েছে, যদিও আগাফিয়া ছাড়া কেউই একবিংশ শতকে পা রাখতে পারেননি।

মানুষের একাকিত্বের প্রয়োজন আছে। আর নিঃসন্দেহে, প্রকৃতি সেই প্রয়োজন মেটাতেও পারে। কিন্তু এক জন মানুষ যখন সমাজ ত্যাগ করে একা প্রকৃতির মধ্যে আশ্রয় নেয়, সে কি সত্যিই প্রকৃতির কোলে নিরাপত্তা খুঁজছে, শান্তি খুঁজছে? না, এই নীরবতার অনুসন্ধান একান্তই স্বার্থপর? অথবা এই তাগিদ সমাজের উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নয়। কিন্তু এটুকু বলা যায়, সব উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনও হয়তো নেই। কখনও হয়তো নীরবতার মধ্যেই সমস্ত উত্তর লুকিয়ে থাকে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

loneliness Psychology

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy