E-Paper

কেয়ার গন্ধ

ফাইভ স্টারের স্যুটে দেবলকে তৃপ্ত করে পল্লবী রাস্তায় নামল। দেবলের গাড়ি পল্লবীকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দিল।

অভিজিৎ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৮
ছবি: সৌমেন দাস।

ছবি: সৌমেন দাস।

পূর্বানুবৃত্তি: দুপুরটা সৎমায়ের কাছেই রয়ে গেলেন দীপঙ্কর। খেলেন, বিশ্রাম করলেন। বিকেলে জ্যোৎস্নাদেবীর সঙ্গে গেলেন চিৎপুরে। দেখলেন, এই বয়সেও পার্ট পাওয়ার জন্য কী ভাবে অপেরায়-অপেরায় ঘুরতে হয় তাঁকে। পুরনোরা এখনও সম্মান করলেও নতুনদের থেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যই জোটে। শিল্পীর সরকারি পেনশনটুকু যথেষ্ট নয় বলেই এখনও কাজ করার প্রয়োজন হয় তাঁর। জ্যোৎস্নাদেবী আর দীপঙ্কর হাঁটতে হাঁটতে এলেন কলেজ স্ট্রিট। এক সঙ্গে চা-টোস্ট খেলেন। জ্যোৎস্নাদেবী নানা কথা বললেন অতীতের অভিনয়জীবন নিয়ে। বাবার স্মৃতি সৎমায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন দীপঙ্কর। জানতে পারলেন তাঁর বাবা বাড়িও করতে চাননি, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন দীপঙ্কর আর কখনও তাঁদের কাছে ফিরবে না। জ্যোৎস্নাদেবী বিশ্বাস করতেন, এক দিন নিশ্চয়ই দীপঙ্কর ফিরে আসবেন। শিয়ালদহ স্টেশনে জ্যোৎস্নাদেবীকে ট্রেনে তুলে দিয়ে বাস ধরে হাওড়ায় এলেন দীপঙ্কর। বাড়ি ফিরে দেখলেন পল্লবী নেই। তাতে দীপঙ্কর বা তাঁর ছেলের কোনও অসুবিধে হল না। দুপুরের ট্রেনে শিয়ালদহ গেছে পল্লবী। দেবল আসবে। পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে ঘর বুক করা থাকবে। সেখানে এক সঙ্গে দু’জনে সময় কাটানোর পরিকল্পনা আছে।


দেবল কখনও কখনও পল্লবীর মতো গৃহবধূদের সঙ্গে যৌনতা উপভোগ করারচেষ্টা করে। দীপঙ্কর এ সব শোনে না। তার কোনও উচ্চাশা নেই। বাবার যাত্রার রোগের সংক্রমণ ওর মধ্যে ফিরে আসছে। কিন্তু এতটাও নয় যে, সে পল্লবী আর দীপকে ছেড়ে চলে যাবে। ফলে বিয়ে করেও পল্লবী স্বাধীনতার স্বাদ অনুভব করে।

পলাশের মৃত্যু পল্লবীকে পরিতৃপ্ত করেছিল। তখন ওর মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল। যেন কুমিরের হাসি। পল্লবীর সুন্দর মুখটা তখন বেঁকে গিয়েছিল, এক অদ্ভুত প্রতিহিংসার ছবি ফুটে উঠেছিল।

দেবল বিয়েও করেছে, তবে তার বাড়ির সকলকে সে ডলারে কাবু করে রেখেছে। ডলারের সুউচ্চ পাহাড়ে বাস করতে করতে তারাও সুখের অন্য অনুভূতিগুলি ভুলে গেছে।

শিয়ালদার একটা চেনা পার্লারে ঢুকল পল্লবী।

মেয়েটি এগিয়ে এসে বলল, “ম্যাডাম, অনেক দিন পর এলেন!”

“কী কী করবে জানো তো?”

মেয়েটি বলল, “আপনি শুধু অপেক্ষা করুন, রানি বানিয়ে দেব।”

চুল কার্ল করাল পল্লবী। তার পর মাসাজ। ভিতরেই আছে বাথটব। নগ্ন হল পল্লবী। শুরু হল ফ্রুট মাসাজ। স্তনদু’টিতে অ্যাপল মাসাজ, শসা-টমেটো দিয়ে মুখে ফ্রুট ম্যাসাজ, যোনিদ্বারে আতর আর গোলাপ পাপড়ির মিশ্রণের মাসাজ। স্পেশাল শ্যাম্পু করিয়ে তার পর খানিকটা চুল কাটা হল। এর পর মেশিন দিয়ে কার্লিং।

সব কিছু শেষ হলে ব্যাগ থেকে নিজের মোহিনী পোশাক বার করল পল্লবী। পল্লবীর একটাই মুশকিল, ভালবাসার কোনও মোহ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। নতুন নতুন শিকারের জন্য মন উন্মুখ হয়ে ওঠে।

এই সময় ফোন বেজে উঠল, দেবল, পার্লারটাও ওরই ঠিক করা, “হয়েছে তোমার?”

“হ্যাঁ, এসো এ বার।”

পার্লার সবটাই জানে। এক জন বেরিয়ে দেবলকে রিসিভ করতে গেল।

দেবল এসে বলল, “ম্যাডামের কত হয়েছে?”

“এগারো হাজার।”

দেবল অনলাইনে পেমেন্ট করে দিল।

দেবলের বিদেশি গাড়ি চড়ে যেতে যেতে পল্লবীর মনে হল, এই না হলে জীবন!

ফাইভ স্টারের স্যুটে দেবলকে তৃপ্ত করে পল্লবী রাস্তায় নামল। দেবলের গাড়ি পল্লবীকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দিল।

রাত দশটা এখন। ফাঁকা ট্রেন।

হাতে দুটো খাবারের প্যাকেট নিয়ে ঝিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেয়া গাছটা চোখে পড়ল। সেই তীব্র, মোহময়ী গন্ধ। পল্লবী জানে সর্পিণী তাকে লক্ষ রাখছে। সে বিশ্বাস করে না সাপের ঘ্রাণশক্তি কম বা তারা দেখতে পায় না। পল্লবীর পাপের খবর একমাত্র সর্পিণীই পেতে পারে। বুকটা কেঁপে উঠল। মনে হয় যেন এই এক সরীসৃপের কাছেই তাকে এক দিন পাপের হিসেব-নিকেশ দিতে হবে।

সর্পিণী হিসহিস শব্দ তুলে পল্লবীকে তাড়া করেছিল, কিন্তু পুরুষ সাপ ভালবাসার চুম্বনে ওর উদ্যত ফণাকে সংযত করল। দিক পরিবর্তন করে ওরা ঝিলের পাশ দিয়ে অন্য দিকে চলে গেল।

ডোরবেল কয়েক বার টেপার পর পল্লবীকে দরজা খুলে দিল দীপ। তখনই লোডশেডিং হল। ওদের ইনভার্টার আছে। আলো জ্বলে উঠল।

পল্লবী তবুও বলে উঠল, “নরক! নরক!”

দীপঙ্কর এলেন, কিছু বললেন না।

পল্লবী দুটো খাবারের প্যাকেট বার করে ছেলের হাতে দিল। বলল, “তাজ বেঙ্গল থেকে এনেছি তোদের জন্য।”

দীপ বলল, “আমাদের খাওয়া হয়ে গেছে। বাবা রান্না করেছে। ডাল আর আলুসেদ্ধ। দারুণ খেলাম।”

পল্লবী বলল, “এ রকম খাবার কোনও দিন খাসনি। না খেলে মিস করবি।”

দীপ বলল, “আমরা মিস করতেই চাই।”

দীপঙ্কর বললেন, “কত মানুষ না খেয়ে থাকে, দিয়ে দিতে পারতে।”

“তোমরা খাবে না?”

দীপ বলল, “না মা। আজ বাবার কাছে শোব।”

পল্লবী এ সব কথা গায়ে মাখল না। দীপঙ্করের সঙ্গে একই বিছানায় শুতে আজ ভাল লাগবে না।

পল্লবী স্নান করতে গেল। শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে সে দেবলের কথা মনে করতে লাগল। বাথরুমে আয়না লাগানো আছে। নিজের নগ্ন শরীরটা বার বার দেখল পল্লবী। আহা, এই তো জীবন, ডলার আর ডলার! পৃথিবীতে কিছু মানুষ হুকুম করে, আর কিছু মানুষ হুকুম তামিল করে। দেবল হুকুম দেয়।

স্নান সেরে বাইরে এল। দেখল, বাবা আর ছেলে নিজেদের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এ সব তো হতেই পারে, এ সব গায়ে মাখলে পল্লবী জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে না।

রাতে লাইট নিবিয়ে দিয়ে ঘরে দীপঙ্কর ছেলেকে বললেন, “বাবা, তোমাকে এক ঠাকুরমার কাছে নিয়ে যাব। তোমায় খুব আদর করবেন। তবে তোমার মা কি যেতে দেবে!”

দীপ বলল, “তুমি বলবে আমাকে অফিসে নিয়ে যাবে। স্পোর্টস আছে।”

দীপঙ্কর হেসে বললেন, “আচ্ছা, তা-ই হবে।”

তার পর ওরা ঘুমিয়ে পড়ল।

পল্লবীর ঘুম এল না সহজে, কেমন প্রতিহিংসা হল। সে নিজেও জানে না কত দিন এই মোহ তার থাকবে! দেবলের মোহ কেটে গেলে, সে নিজেই জানে না আবার সেই কুমিরের হাসি ফিরে আসবে, মুখটা বেঁকে যাবে। আবার তাকে নতুন শিকারে বেরোতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি পল্লবীর মনের পরিবর্তন হয়, সে নিজেই জানে না যে, সে আদৌ কোনও দিন কাউকে ভালবেসেছে কি না!

আসলে পল্লবীর এক জন দামি সঙ্গী চাই। নতুন পুরুষের গন্ধে এক অলীক সুখ অনুভব করে পল্লবী।

ঘুম এল না। উঠে ফ্রিজ খুলল। খাবারের প্যাকেট দুটো নিল, তার পর দরজা খুলে ভ্যাটের কাছে ছুড়ে দিল। তখনই সে কেয়া ফুলের গন্ধ পেল আর হিসহিস সরীসৃপের চলাচলের শব্দ।

তাড়াতাড়ি ঘরে এল পল্লবী। দরজার ফাঁকে একটা কাগজ গুঁজে দিল আর কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিল চার পাশে। কার্বলিক অ্যাসিডের উৎকট গন্ধে সর্প-দম্পতি চলে গেল, কিন্তু কেয়ার গন্ধ গেল না। একই রকম রয়ে গেল।

কেমন ভয় করল পল্লবীর, মৃত্যুর ভয়। যে অন্য মানুষের সর্পদংশনে মৃত্যু উপভোগ করে, সে নিজের জীবনসংশয়ের কথা ভাবতেই শিউরে উঠল।

জোরে ধাক্কা দিল ওদের দরজায়, দীপ ঘুমিয়ে পড়েছিল। দীপঙ্করের চোখ লেগে এসেছিল। তবুও সে জেগে গেল। দেখল পল্লবী, কেমন উদ্‌ভ্রান্ত মুখ।

দীপঙ্কর বলল, “কী হয়েছে?”

“আমার ভয় করছে, আমিও এখানে শোব।”

দীপঙ্কর বলল, “এসো। খাটটা তো ছোট নয়, হয়ে যাবে।”

ভোরে ঘুম থেকে উঠে দীপ বলল, “মা, তুমিও আমাদের সঙ্গে শুয়েছিলে!”

দীপঙ্কর বললেন, “তোর মা ভয় পাচ্ছিলএকা শুতে।”

পল্লবী বলল, “ভয় কেন পাব! মনে হল, তোমরা আমায় আলাদা করে দিচ্ছ।”

মিষ্টি করে হাসল দীপ। বলল, “আজ রোববার, বাবা, আজও কি আমরা হরি মাঝির নৌকো চড়ে কোথাও যাব?”

“গেলে মন্দ হয় না,” দীপঙ্কর বললেন।

পল্লবী বলল, “শুধু শুধু পয়সা নষ্ট।”

“তা হলে সেই হোটেলটায় খেলে হয়, যেখানে সে দিন কুচো মাছ খেয়েছিলাম!” দীপ বলল।

পল্লবী বলল, “তোদের ও রকমই রুচি। ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার ফেলে দিতে হল, আর আজ বলছিস নোংরা হোটেলে কুচো মাছের ঝাল খাবি!”

দীপঙ্কর মৃদু প্রতিবাদ করলেন, “নোংরা ছিল না কিন্তু। গরিব খুব, কিন্তু পরিচ্ছন্ন।”

দীপ বলল, “আজ ইন্ডিয়ার ক্রিকেট খেলা আছে, বাবা তুমি তো এখন ক্রিকেট দেখো না।”

দীপঙ্কর হেসে বললেন, “আমি সুনীল গাওস্করের যুগে এখনও পড়ে আছি। একা গাওস্কর যেন সমগ্র ভারতবর্ষ, আর উল্টো দিকে মার্শাল, গার্নারের আগুন ঝরানো বোলিং। মহাভারতের ভীষ্মের মতো তিনি একা লড়াই করছেন, যে কোনও দুরন্ত বল হাফ কক করে পায়ের সামনে নামাচ্ছেন। চার দিকে বিপক্ষের ফিল্ডাররা ওত পেতে রয়েছে। দুঃখী ভারতবর্ষের একমাত্র ভরসা সুনীল গাওস্কর।”

“কী সুন্দর বললে বাবা!”

পল্লবী বলল, “আজকাল যাত্রার রিহার্সাল করছে তো, মুখে কথার খই ফুটেছে।”

হো হো করে হেসে উঠলেন দীপঙ্কর।

“হাসছ কেন!”

“কোথায় যাত্রা, কোথায় রিহার্সাল! ভেবেছিলাম করব। এখনও সেই ভাবের ঘোরেই আছি।”

পল্লবীর আজকে বেশ লাগছে। বাইরে হালকা বৃষ্টি। আবার হয়তো রোদ উঠবে। কখনও কখনও একটা শান্ত নিরীহ জীবনও তার ভাবতে বেশ লাগে। সকালে বাজার করে আনবে দীপঙ্কর। গ্যাস ফুরিয়ে গেলে স্টোভে চা করবে। কেরোসিনের গন্ধ হলেও দীপঙ্কর বলবে, ‘খাসা চা।’ আজ ও রকম ঘোরে থাকতে ইচ্ছে করছে। কী হবে ডলারে! ডলার মানে তো দীপঙ্কর আর দীপের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। একা অন্ধকারে কেয়া ফুলের গন্ধ তীব্র হবে। হিসহিস শব্দ তুলে আসবে এক সর্পিণী।

সুখ ডলারে থাকতে পারে না, ফাইভ স্টার হোটেলেও নয়। সুখ নেই দৈহিক যৌনক্রীড়াতেও। সুখ হয়তো হরিমাঝির নৌকোয়, একটু উপর্ঝরণ বৃষ্টি, আবার রোদ। রোদ আর মেঘের খেলায়।

দীপ বলল, “বাবা, আজ মাংস আনবে?”

দীপঙ্কর জানতে চান, “চিকেন? না মাটন?”

“চিকেন। মা বেশ ঝাল-ঝাল করে রান্না করবে।”

“তোর মায়ের রান্নার স্বাদই আলাদা!”

পল্লবী কোনও ক্রমে চোখের জল লুকোল। বেসিনে গিয়ে মুখে একটু জল দিল।

দীপঙ্কর বাজারে বেরোনোর সময় পল্লবী বলল, “কাল কোথায় গেছিলাম, জিজ্ঞেস করলে না তো!”

“কী হবে জেনে! অনধিকার চর্চা।”

“আমি তো তোমার বিয়ে করা বৌ, তোমার অধিকার নেই জানার?”

“হয়তো তোমার কোনও বান্ধবীর সঙ্গে গেছিলে তাজ বেঙ্গলে, হয়তো খুব বড়লোক ওরা।”

“আর যদি বন্ধু হয়?”

দীপঙ্কর বললেন, “হতে পারে। তুমি তো ফিরে আসবে ঘরে, সে যেখানে যাও না কেন!”

“যদি না ফিরি এক দিন!”

দীপঙ্কর বললেন, “কোথায় যাবে তুমি? এই ঘরের আশ্রয় আর ভালবাসা একঘেয়ে হলেও তার মধ্যে অপার বেঁচে থাকা তো আছে।”

অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল পল্লবী, “এ সব কথা তুমি শিখলে কোথায়?”

“জীবনই মানুষকে শেখায়।”

“তোমার মধ্যে নারীত্ব আর জাগছে না?”

“যখন সময় হবে, জাগবে।”

“কী করে হবে! হতে পারে না। দুটো সত্তা আলাদা। আদম এবং ইভ।”

দীপঙ্কর হেসে বললেন, “ধর্মগ্রন্থগুলো বলে, তিনি একা ছিলেন, বহু হলেন। এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা...”

১৩

“মরে তো কবেই গেছি বাবুমশাই! বাউরি হাঁড়ি বাগদি হয়ে আমাদের আর বেঁচে থাকা! সেই জ্ঞান হওয়ার পর থেকে লোকের বাড়ি রাখালি, তার পর আধ কিষেন, কিষেন, তার পর মদ খাওয়া, খেতে খেতে মরে যাওয়া। এই তো জীবন বাবুমশাই!”

“দারুণ, দারুণ ফটিক!”

ফটিক বলল, “জনাদা, ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অচল পয়সার পালা’ নামালে মনের মতো হবে। পানসদা আবার কখন এসে বলে কোন ইংরেজি নাটক যাত্রায় নামাতে হবে।”

জনমেজয় হেসে বলেন, “ফটিক, তুই ভূমিহীন কৃষকের চরিত্রে সব সময় অনবদ্য।”

“তুমি যেমনি চাঁদু মাস্টার। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, এই অবক্ষয়ে নিমজ্জিত সমাজকে আলোর পথ দেখাচ্ছ। শত্রুদের চিনিয়ে দিচ্ছ।”

জনমেজয় বললেন, “দয়াল বাঁড়ুজ্জে পানসদা।”

ফটিক হেসে বলল, “মানতে চাইবেন না। উনিই চাঁদু মাস্টার করতে চাইবেন।”

জনমেজয় বললেন, “অভিনেতার কোনও পক্ষপাতিত্ব থাকতে নেই। তেমন হলে আমিই করব দয়াল বাঁড়ুজ্জে।”

ক্রমশ

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bengali Novel

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy