পূর্বানুবৃত্তি: গৌড়ীয় ভক্তদের অভিমানে বিচলিত হয়ে পড়লেন মহাপ্রভু। নিজেই ব্যগ্র হয়ে উঠলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তাঁকে বারণ করলেন রামানন্দ। শিবানন্দ সেন মহাপ্রভুর হস্তলিখিত পত্র নিয়ে গিয়ে গৌড়ীয় ভক্তদের বোঝাবেন, এমনই ঠিক হল। রামানন্দ আরও জানালেন, বৌদ্ধরাও বৈষ্ণবদের সন্দেহ করছে। মহারাজের আকস্মিক বৌদ্ধবিদ্বেষের পিছনে বৈষ্ণবদের, তথা মহাপ্রভুর ইন্ধন আছে, এটাই তাদের বিশ্বাস। অতএব মহাপ্রভুর সদাসতর্ক থাকা কর্তব্য। না হলে বিপদ হতে পারে। মহাপ্রভুর সঙ্গে সর্বক্ষণের জন্য রক্ষীর ব্যবস্থা করলেন রামানন্দ। অন্য দিকে, গোবিন্দ বিদ্যাধরের কাছে সুলতান হুসেন শাহের এক গোপন পত্র আসে। পত্রের মর্মার্থ, সুলতানের দুই কুশলী মন্ত্রী রূপ আর সনাতন পলাতক। জনশ্রুতি, মহাপ্রভুর কুশলী প্ররোচনায় তারা বৈষ্ণব হয়ে গিয়েছে। সুলতানের থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে গোবিন্দ বিদ্যাধর মহারাজ প্রতাপরুদ্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকেন। আবার, দাক্ষিণাত্যে রাজকুমার বীরভদ্রের নেতৃত্বে সৈন্যরা কোন্ডাবিড়ু দুর্গে আত্মগোপন করলেও শেষ রক্ষা হয় না। রাজা কৃষ্ণদেবরায়ের দুর্গে ঢুকে শত্রুসৈন্যরা বীরভদ্র ও তাঁর মা, রানি পদ্মাদেবীকে বন্দি করে নিয়ে যান।
রাজা কৃষ্ণদেবরায় এও আদেশ করলেন যে, এই আদেশ অমান্য করলে বীরভদ্রকে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি পেতে হবে।
বীরভদ্রের মতো বীর এই আদেশে অপমানিত বোধ করলেন। এক জন সাধারণ যোদ্ধার সঙ্গে লড়াই করে তাঁকে বীরত্বের প্রমাণ দিতে হবে! তিনি মুখে কিছু বললেন না। তিনি লড়াইয়ের ময়দানে নেমে সকলের সামনে সাধারণ সৈনিকের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার বদলে আপন খড়্গের আঘাতে মুণ্ডচ্ছেদ করে আত্মহত্যা করলেন।
এই দৃশ্য দেখে সকলে হতবাক হয়ে গেলেন।
মহারাজা কৃষ্ণদেবরায় এই পরিকল্পনার কথা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। তিনি যথার্থই বিচলিত বোধ করলেন। যথাযথ রাজকীয় মর্যাদায় তিনি বীরভদ্রের অন্তিম সৎকার করার নির্দেশ দিলেন।
রাজমহিষীর বন্দিনী হওয়া ও আপন পুত্রের মৃত্যুসংবাদ যখন মহারাজা প্রতাপরুদ্রদেবের কাছে পৌঁছল, তখন তিনি একেবারেই ভেঙে পড়লেন। তাঁর অন্তর ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। উপস্থিত কেউই তাঁকে শান্ত করতে পারলেন না।
বহু ক্ষণ তিনি গুম হয়ে বসে থাকলেন।
কাশী মিশ্র, মন্ত্রী গোবিন্দ বিদ্যাধর, রায় রামানন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি কৃষ্ণদেবরায়ের কাছেসন্ধিপ্রস্তাব পাঠালেন।
সন্ধির শর্ত হিসেবে ঠিক হল, কৃষ্ণদেবরায়ের সঙ্গে রাজকন্যা তুক্কার বিবাহ দিতে হবে। সেই সঙ্গে যৌতুক হিসাবে ওড়িশার অন্তর্গত কৃষ্ণা নদীর দক্ষিণ ভাগ পাবেন কৃষ্ণদেবরায়।
গজপতি বীর মহারাজ প্রতাপরুদ্রদেব আপন রাজনৈতিক পাশাখেলায় প্রিয়তমা কন্যাকে বলি দিলেন। মহারাজের অন্তর কি কেঁপে উঠল না! তাঁর বীরত্বের ফানুস কি চুপসে গেল না? অভিমানী তুক্কা মনে মনে ভাবলেন।
শর্ত হল, কন্যাকে বিবাহের জন্য বিজয়নগরে পাঠাতে হবে। পাত্রপক্ষ বিবাহের জন্য কন্যাপক্ষের গৃহে আসবেন না।
অতি দ্রুত বিবাহের দিন স্থির হয়ে গেল।
রাজকুমারী তুক্কার অঙ্গে রাজকীয় সাজ নেই। রাজকীয় আভরণ নেই। এ যেন তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নিদর্শন। তিনি শেষ বারের মতো আপন গৃহ ছেড়ে যাওয়ার আগে এক বারও পিছন ফিরে পিতার দিকে তাকালেন না।
এ ভাবেই বিজয়নগরের সঙ্গে সাত বৎসরের যুদ্ধের অবসান হল। মহারানি পদ্মাদেবীওমুক্তি পেলেন।
বিজয়নগর রাজ্যে আড়ম্বরহীন ভাবে মহারাজা কৃষ্ণদেবরায়ের সঙ্গে তুক্কার বিবাহ হল। সে বিবাহ নয়, বিবাহের নামে নিয়মরক্ষা। মহীয়সী তুক্কা যেন রাজায় রাজায় পাশাখেলার এক বাজি মাত্র। মহারাজা কৃষ্ণদেবরায় প্রৌঢ় ব্যক্তি। রাজমহলে তাঁর অনেক রানি। সেই সংখ্যার সঙ্গে আর একটি সংখ্যা যুক্ত হল মহা অবহেলায়। বিবাহের পরে সুরার নেশার ঘোরে মহারাজা দুই-এক দিন মাত্র শয়ন করেছিলেন তুক্কার সঙ্গে। প্রেমহীন লালসায় তুক্কার ফুলের মতো শরীরকে ছিঁড়ে কুটি কুটি করেছিলেন মাত্র। তার পরে তুক্কাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁকে কোনও দিন সেই অর্থে রাজমহিষীর মর্যাদাও তিনি দেননি। অন্তঃপুরে নিতান্ত সাধারণ নারীর মতো তুক্কার স্থান হল। তুক্কা যেন মহারাজের রাজ-অন্তঃপুরের এক বন্দিনী। পরবর্তী কালে কৃষ্ণদেবরায় আর খোঁজও নেননি তুক্কার। বিজাতীয় পরিবেশে বিদুষী তুক্কার দিন কাটতে লাগল চোখের জলে।
ক্রমাগত এই অবহেলা সইতে না পেরে তিনি মহারাজ কৃষ্ণদেবরায়ের কাছে এক কৃপাভিক্ষা চেয়ে পাঠালেন। রাজপুরী থেকে দূরে কম্বম নামক স্থানে গিয়ে তিনি থাকতে চান।
মহারাজের এই ব্যবস্থায় আপত্তির কোনও কারণ ঘটে না। তিনি তুক্কার জন্য সে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেন।
রাজমহলের নিঃসঙ্গ দুর্দশা থেকে পালিয়ে এসে, অরণ্যে ঘেরা ছোট্ট আড়ম্বরহীন কম্বমের বাসগৃহে তুক্কা কিছুটা শান্তি পেলেন। চোখের জল তো আর বাধা মানে না। চোখের জলকেই সঙ্গী করে তিনি আবার শুরু করলেন কাব্য ও সঙ্গীত সাধনা।
২৮
তুক্কার সঙ্গীতগৃহ ছেড়ে সেই দিন যখন নৃসিংহ অন্ধকার পথ ধরে ফিরছিলেন, তখন ছায়ামূর্তির মতো এক ঘাতক তাঁকে অনুসরণ করছিল। সবে তিনি বনপথের কিনারায় এসেছেন, সেই সময়ে তাঁকে অন্যমনা দেখে অনুসরণকারী গুপ্তঘাতক ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছিল। তখনই যেন মাটি ফুঁড়ে সেখানে হাজির হয়েছেন মাধব মিশ্র। আততায়ী অন্যমনস্ক নৃসিংহের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই মাধবের ছোরা সেই আততায়ীর পৃষ্ঠে বিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আকস্মিক এই ঘটনায় নৃসিংহ পিছনে ফিরে তাকিয়ে হতচকিত হয়ে গিয়েছেন। অন্ধকারের ভিতরেই মাধব হাসলেন।
“আর ভয় নেই আর্যপুত্র।”
নৃসিংহ মাধবকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, “তুমি আবার আমার প্রাণ বাঁচালে মাধব।”
মাধব বিমর্ষ গলায় বললেন, “তবু আপনার ভাগ্যবিপর্যয় ঠেকাতে পারলাম না।”
“তুমি জানো?”
“মহারাজকে ওখানে যেতে দেখেই আমি অনুমান করতে পেরেছিলাম, আর্য।”
“চলো তুমি, আমার গৃহে চলো। আমি তোমাকে সব কথা খুলে বলি।”
নৃসিংহ আপন গৃহে উপস্থিত হয়ে কাহ্নদেব, মাধব আর পিরুমলকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, এই জন্মভূমি ছেড়ে তিনি এখন কোথায় যাবেন! কী যে বিপর্যয় ঘটে গেল তাঁর জীবনে!
কাহ্নদেব বললেন, “আচ্ছা, গৌড়ে চলে গেলে কেমন হয়!”
নৃসিংহ বললেন, “আপনি কেন যাবেন? মহারাজা তো আমাকে নির্বাসন দিয়েছেন!”
কাহ্নদেবের মুখ করুণ হয়ে আসে। তিনি শান্ত কিন্তু বিমর্ষ গলায় বলেন, “এই বৃদ্ধ বয়সে তুমি আর আমাকে তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ো না পুত্র।”
কাহ্নদেবের কথায় নৃসিংহ যেমন লজ্জা পেলেন, তেমন দুঃখিতও হলেন। বললেন, “আমি এই ভেবে কথাটা বলিনি। আমাকে আপনি ক্ষমা করবেন।”
কিন্তু নৃসিংহ গৌড়ে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন না। মাধবও সেই কথায় সায় দিলেন। গৌড়ের সুলতানের অধীনে যাওয়া ঠিক হবে না। তাঁর ধারণা, গৌড়ের সুলতান নৃসিংহের পূর্বকৃত কর্মের বিষয়ে অবগত আছেন। ফলে তাঁর প্রতি সুলতানের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক।
শেষে ঠিক হল তাঁরা বিজয়নগরে চলে যাবেন। বাণিজ্যে-বৈভবে বিজয়নগর ভারতসেরা।
পরদিন সকালে চিল্কা থেকে চারটি সজ্জিত ভড় নিয়ে তাঁরা ভেসে পড়লেন বিজয়নগরের উদ্দেশে।
বিজয়নগরে গিয়ে তাঁরা কুডাপ্পা জেলায় বসবাস শুরু করলেন। কয়েক বৎসর সময় লাগল নৃসিংহের আবার নতুন করে বাণিজ্য স্থাপন করতে। সমস্ত দিন কাজের মধ্যে তিনি হয়তো নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে পারেন, কিন্তু সর্বক্ষণ বুকের ভিতরে একটা কম্পিত ব্যথা তাঁকে তুক্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি শুনেছেন, তুক্কা এখন মহারাজ কৃষ্ণদেবরায়ের মহিষী। কিন্তু তবু কিছুতেই তিনি তাঁর মনকে সান্ত্বনা দিতে পারেন না। কাহ্নদেব পণ্ডিত তাঁকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু নৃসিংহ কিছুতেই শান্তি পান না। তিনি আরও বেশি বেশি করে কাজে নিজেকে ডুবিয়ে দেন, কিন্তু কিছুতেই তুক্কাকে ভুলতে পারেন না।
এমন করেই অনেকগুলি বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। নৃসিংহ তেমনই জীবনের প্রতি ছন্নছাড়া আর উদাসীন থেকে গেলেন। প্রিয় মানুষদের শত অনুরোধেও তিনি সংসারী হওয়ার দিকে আর অগ্রসর হলেন না।
বৃদ্ধ কাহ্নদেব পণ্ডিত নৃসিংহের দিকে তাকিয়ে থাকেন, আর তাঁর দুই চোখ জলে ভরে ওঠে। মনে মনে যেন তিনি প্রভু জগন্নাথদেবকে বলেন, ‘এর কি কোনও উপায় নেই প্রভু!’
তিনি মাঝে মাঝে দু’-এক বার নৃসিংহকে বিবাহের কথা বলেছেন। কিন্তু নৃসিংহ বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে উঠে চলে গিয়েছেন। হতাশায় দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন কাহ্নদেব। শেষে এক দিন তিনি মাধব মিশ্রকে ডেকে পাঠালেন। তার পর বিরলে বসে দু’জনে কিছু গোপন পরামর্শ করলেন।
কয়েক দিন পর মাধব এসে নৃসিংহকে বললেন, “আর্যপুত্র, চলুন কোথাও শিকারে যাই।”
অনেক দিন পর মাধবকে দেখে নৃসিংহ বড় খুশি হলেন। কিন্তু শিকারের কথায় তাঁর মনে বিস্ময়ের উদ্রেক হল। বললেন, “শিকার! আমি তো কখনও শিকার করিনি।”
পাশে পিরুমল দাঁড়িয়েছিল। সেও বলল, “আর্য, চলুন না। আমি ছেলেবেলায় শিকার করেছি অনেক। আমি আপনাকে শেখাব।”
নৃসিংহ একটু নিমরাজি হয়েও বললেন, “কিন্তু কোথায়? এই রাজ্যে শিকারে গেলে রাজার অনুমতি প্রয়োজন হবে না!”
“সে আপনাকে ভাবতে হবে না। সে ভার আমার। আপনি জানবেন আর্যপুত্র, আমার দ্বারা আপনার কোনও অনিষ্ট হবে না।”
সমস্ত আয়োজন করে কয়েক দিন পরই তাঁরা বেরিয়ে পড়লেন শিকারে। কম্বমের কাছেই এক অরণ্য তাঁদের গন্তব্য। সারা দিন ধরে তাঁরা শিকারের পিছনে দৌড়লেন। সে তো শিকার নয়, যেন নৃসিংহের নিজেকে ভুলে থাকার খেলা।
অপরাহ্ণে অরণ্যের সীমানার কাছে তাঁরা শিবিকা স্থাপন করে বিশ্রাম করছিলেন। তখনই নৃসিংহ-শ্রবণে এল এক অপূর্ব বাঁশির ধ্বনি।
তাঁর সারা শরীর যেন শিহরিত হয়ে উঠল। তিনি কি স্বপ্ন দেখছেন? এই বাঁশির শব্দ যে তাঁর সারা মননে-চেতনে জড়িয়ে গিয়েছিল। এই বাঁশির স্বর কি তিনি ভুলতে পারেন কখনও? কিন্তু এখানে এই সুর কেন? কোন স্বর্গ থেকে ভেসে আসছে এই সুর! তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন।
শিবিকা থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সেই বাঁশির সুর লক্ষ্য করে হাঁটতে থাকলেন। তিনি যেন ঘোরের মধ্যে হাঁটছিলেন। কোনও দিকে তাঁর হুঁশ নেই। তিনি যে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র, কোনও বিপদ যে হানা দিতে পারে অতর্কিতে, সে দিকেও খেয়াল নেই।
নিজের সতর্কতা সম্বন্ধে নৃসিংহ উদাসীন হলেও, তাঁর গতিবিধি কখনও নজর এড়ায়নি তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গীদের। নিঃশব্দে মাধব আর পিরুমল তাঁকে অনুসরণ করলেন।
সেই প্রথম দিন যেমন দেখেছিলেন, ঠিক তেমনটি! বাতায়নে বসে একমনে তুক্কা বাঁশি বাজাচ্ছেন। ঠিক সেই রকম আত্মমগ্ন। আশপাশে কয়েকটি প্রদীপ জ্বলছে। আর চার দিকে কেউনেই তখন।
একেবারে তুক্কার মুখের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন নৃসিংহ।
এ কী চেহারা হয়েছে তুক্কার!
কিন্তু সে তো রাজবধূ! তা হলে রাজবধূ প্রাসাদে না থেকে এখানে কেন! তবে তুক্কার চেহারাই যেন নৃসিংহের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে।
সহসা ভয়চকিত হয়ে মুখ তুলে তাকিয়েই তুক্কা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। অকস্মাৎ আবেগে তাঁর সারা শরীর যেন থরথর করে কেঁপে উঠেছে। তাঁর সারা শরীর যেন অবশ হয়ে গিয়েছে। তিরতির করে ঠোঁট দু’টি কাঁপতে শুরু করে। কিন্তু কোনও শব্দ বেরোয় না। শুধু নির্বাক নয়নে তিনি নৃসিংহের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
ক্রমশ
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)