E-Paper

বন্ধুত্ব যেন ফিনিক্স পাখি

বিহান নিজে থেকে ভেবে খুঁজে পৃথিবীর প্রথম বন্ধুত্বের কথা যে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান সাহিত্যে পাওয়া যায়, সেই গিলগামেশ আর এনকিদুর গল্প ছেলেকে বলেছে।

ঋকসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫৬
রূপকথা: হ্যারি, হারমিয়োনি আর রন-ত্রয়ী তৈরি করেছে নতুন প্রজন্মের বন্ধুত্বের চিরন্তন সংজ্ঞা।

রূপকথা: হ্যারি, হারমিয়োনি আর রন-ত্রয়ী তৈরি করেছে নতুন প্রজন্মের বন্ধুত্বের চিরন্তন সংজ্ঞা। —ফাইল চিত্র।

হগওয়ার্টসের চিঠি

আবার নতুন একটা শহর। নতুন দেশ। ঠিক সময়ে চাকরি বদলানোর জন্য সহকর্মীরা বিহানের নাম রেখেছে মিস্টার টাইমার। শেষ চার বছরে হায়দরাবাদ, নয়ডা হয়ে এখন পুণে। কয়েক দিন পর উড়ে যাওয়া আমেরিকায়। কয়েকটা জরুরি মেলের উত্তর দেবে বলে ল্যাপটপ খুলে বসতে যাবে, এমন সময় তার ছ’বছরের ছেলে, রোদ এসে তাড়া দিল, স্কুলের প্রোজেক্টটা করে দিতে হবে। এই হয়েছে এক জ্বালা! এক-একটা বিশেষ দিন আসে, আর তার পর তাকে ঘিরে স্কুলগুলো শুরু করে প্রোজেক্ট দেওয়া।

এ বারের বিষয় ‘বন্ধুদিন’ অর্থাৎ ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’। নিজের দেখা, পড়া বা শোনা কোনও বন্ধুত্বকে এখনকার সময়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করে দেখাতে হবে। সহজ কথা নাকি? বিহানের বন্ধু নিয়ে বললে প্রথমেই স্বপন স্যরের সেভেন-এইটে পড়ানো— “উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে/ রাজদ্বারে শ্মশানে চ যঃ তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ।” অর্থাৎ উৎসবে, আনন্দে, দুর্ভিক্ষে, যুদ্ধে, রাজার তলব এলে ও প্রিয়জন বিয়োগে যে শ্মশানসঙ্গী হয়, সেই প্রকৃত বন্ধু। আগের দিন এ কথা ছেলেকে বোঝানোর পর ছেলে প্রশ্ন করেছিল, তা হলে সোশ্যাল মিডিয়ার হাজার হাজার বন্ধুকে বন্ধু বলা যাবে কী করে? যথার্থ প্রশ্ন! বিহানের মনে হয়েছিল, এর উত্তর দেওয়ার থেকে প্রোজেক্ট করানো বেশি সহজ।

বিহান নিজে থেকে ভেবে খুঁজে পৃথিবীর প্রথম বন্ধুত্বের কথা যে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান সাহিত্যে পাওয়া যায়, সেই গিলগামেশ আর এনকিদুর গল্প ছেলেকে বলেছে। ভাবতে বলেছে, এখনকার কোনও চরিত্রের সঙ্গে যদি মিলিয়ে এদের দেখানো যায়। ছেলে আর ছেলের মা রিনি বলেছে, ঠিক যেন জমছে না। ছেলে বেছে নিয়েছে হ্যারি, হারমিয়োনি আর রনকে। গল্প ভাবছে, হারিয়ে ফেলছে, আবার নিজে কিছুটা জুড়ে নিচ্ছে। বিহান আর রিনি জানে, নিজে নিজে ভাবতে পারে রোদ। নিজের মতো করে লিখতে পারে। হ্যারি পটাররাও ওর আপনজন, কিন্তু বার বারই বলছে যে, ওর নিজের কোনও বন্ধু হয় না, বন্ধু থাকে না। ইশান্ত, অবন্তিকা, আরুশ, রিয়াজ, মনিন্দর, নাজমা— নাম অনেক, কিন্তু সবাই আলাদা আলাদা শহরে। এই সাড়ে ছ’বছর বয়সের মধ্যে যে সাড়ে তিন বছর স্কুল জীবনে কেটেছে রোদের, সব ক’টাই আলাদা আলাদা শহরে। বন্ধুরা তাই হারিয়ে গেছে। তাদের নিয়ে লিখে উঠতে পারছে না কিছুতেই। রাতে রোদ ঘুমিয়ে পড়ার পর রিনি এই নিয়ে আলাদা করে কথা বলছিল, ‘সেপারেশন অ্যাংজ়াইটি’ নিয়ে। রোদ নাকি বলেছে যে, ওর কোনও বন্ধু নেই, বাবা-মায়েরও নেই।

শহর বদল, স্কুল বদল, বন্ধুবিচ্ছেদের সমস্যা, এ সব কিছু ভাবতে ভাবতেই বহুতলের জানলা থেকে দূর আকাশে একটা আতশবাজি ফাটতে দেখল বিহান। সত্যিই বন্ধুহীন বিহান? চল্লিশ ছুঁয়ে ফেলা বিহান বন্ধুপ্রীতির জন্যই পরিচিত ছিল স্কুল-কলেজজীবনে। এখন সে সব স্বপ্নের মতো মনে হয়।

রাত্রি এসে যেথায় মেশে

মফস্সলে তখনও এ ভাবে গ্লো-সাইন বোর্ড এসে আকাশ ঢেকে দেয়নি। সন্ধে নামছে, তবু শেষ যেটুকু খেলে নেওয়া যায়। ল্যাম্পপোস্টের আলো ঠিকরে এসে চোখে লাগছে, তাতেই কষ্ট করে বল খুঁজে নেওয়া। বাচ্চু, তারক, পটা, বুড়ো আরও কত জন। তেরো-চোদ্দো বছরের ছেলে সব। বিহানের মনে আর চোখে আজও তারা তেরো-চোদ্দো বছরের কয়েকটা ছেলে হয়েই রয়ে গেছে। তারা যে ভাবে রাগে, যে ভাবে কথা বলে, যে ভাবে উইকেট পেলে উল্লাস করে, তা থেমে আছে ওই পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর আগেই। এদের কাউকে পরীক্ষার আগে পড়িয়ে দিয়েছে বিহান, কারও সাইকেলে চেপে দূর পাড়া থেকে নিয়ে এসেছে ঘুড়ির মাঞ্জা, কারও বান্ধবীর জন্য লিখে দিয়েছে চিঠি, আবার কখনও সাইকেল নিয়ে এক সঙ্গে গেছে পুজো দেখতে।

নিজের শহর ছেড়ে যখন কলকাতায় কলেজে পড়েছে বিহান, এদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। ফেরার পথে কারও চায়ের দোকান, কেউ বা জ়েরক্স করে, কেউ কোচিং সেন্টার চালায়, আবার কেউ বা বিহানের থেকেও সফল হয়ে এই শহরের সঙ্গে সামান্য সংস্রবটুকুও আর রাখেনি। এদের কেউ চোখ বুজে ক্যারমের গুটি পকেট করত, কেউ বা দু’হাত ছেড়ে ভিড়-রাস্তায় চালাত সাইকেল। দিনের শেষে এদের একটাই পরিচয় জানত সবাই— বন্ধু। মাঠের এই বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গেলে নিয়ম ছিল, পুকুরে আর কারও বাড়িতে বল মারলে নিজেকে নিয়ে আসতে হবে। মাঠের পাশেই ছিল পলিদিদের বাড়ি। পলিদি হাঁটতে পারত না, কথা বলতে পারত না ঠিক করে। সারা দিন ওকে দেখাশোনা করার জন্য এক জন মাসি থাকত, আর হুইলচেয়ারে করে বাইরে ঘোরাত। দু’-তিন বছর পর সেটুকু শক্তিও আর ছিল না। নিজের বাড়িতেই থাকত।

সে দিন সন্ধে নেমেছে। বল মেরেছে বিহান, আনতে হবে পলিদিদের বাড়ি থেকে। পলিদিকে খাওয়ানো নিয়ে তখন বাড়ির সকলের নাজেহাল অবস্থা। পলিদির মা আচমকাই বিহানকে দেখে বলেছিল যে, পলিদির একটা বন্ধু এসেছে। শান্ত হয়ে আস্তে আস্তে খেয়ে নিয়েছিল সে দিন, এলোমেলো চুল আর অবিন্যস্ত পোশাকের পলিদির মুখের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিল খাবার। অপলক তাকিয়ে ছিল বিহানের দিকে। ‘বন্ধু’ ভাবতে ভাবতে বাড়ি চলে এসেছিল বিহান, জীবনের গতিপথে আর খুব একটা পলিদির কথা কোথাও আসেনি। মাঠ ফুরিয়ে বাইরে পড়তে চলে যাওয়ার মাঝে কবে এক দিন পলিদিও আর কারও খাইয়ে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে চলে গিয়েছিল ফাঁকা হুইলচেয়ার রেখে।

মরা গাছ কী ছোঁয়াচ পেয়ে ডাকছে

সময়টা ছিল ওই একাদশ-দ্বাদশ গোত্রীয়। যতীনমোহন বিদ্যাপীঠের মেধাবী আর সিনিয়র বিহানরা তখন। পড়ে ফেরার সময় সাইকেল নিয়েই গুনগুন করে গেয়ে ওঠা ‘কিঁউ চলতি হ্যায় পবন’! চোখের ভাষায় কৌতূহল খোঁজা, নিজেদের আর এক বার নতুন করে চিনে নেওয়ার চেষ্টা। এমন এক সময়ে বিহানদের থিয়েটারের দল গড়ে উঠেছিল। খেলার দল, বাংলা গানের ব্যান্ড, একটু একটু রাজনৈতিক আঁচ নিতে শেখা এমন সময়েই পথনাটক, স্টেজ-নাটকের দল। পাড়া, স্কুল, অন্য স্কুলের ছেলেমেয়েদের উদ্যোগেই মূলত এই দলের শুরু। ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’ দিয়ে শুরু করে আধুনিক নাটক, নিজেদের সংযোজন, অন্য দেশের নাটককে নিজেদের মতো করে নেওয়া। সামনেই বড় পরীক্ষা থাকায় বাইরে শো করতে যাওয়া যেত না, টেস্ট হয়ে যাওয়ার পর বাকি তিন মাস রিহার্সালও বন্ধ ছিল। নিজেদের মধ্যে বিহানরা ঠিক করে নিয়েছিল, এর পর পড়াশোনার চাপ যখন কম থাকবে, নাটক করে বেড়াবে চুটিয়ে। আস্তে আস্তে শহর বদলে গেছিল অনেকের, এক সঙ্গে নাটক আর করা হয়ে ওঠেনি। ওই দু’-তিন বছরের অনেক বন্ধু এখনও সমাজমাধ্যমে বন্ধু হয়ে আছে, কিন্তু একটা মুখ ভিড়-রাস্তায় বা এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করার সময় মাঝে মাঝে আচমকা মনে আসে বিহানের। একদমই ঝকঝকে নয়, অন্যদের সঙ্গে একটু ভয়ে ভয়েই কথা বলত ছেলেটা। নাটক করতে আগ্রহী, অথচ কথা জড়িয়ে যায়, তাও কিছুতেই বিহানের পিছু ছাড়ে না। একটা সুযোগ চাই। দলের অনেকে এই নিয়ে হাসাহাসি করে, কিন্তু বিহানের মনে হয় অন্য অনেক কিছু ছেড়ে এই ছেলেটা তো তাও রিহার্সালে আসে। এক বার নাটকে ছেলেটাকে নেওয়া হয়েছিল, হাসপাতালের শয্যাদৃশ্যে, মৃতদেহের ভূমিকায়। ছেলেটা তাতেই ভীষণ খুশি হয়েছিল। বিহানকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, ‘বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না’। বছর খানেক পর কলেজ থেকে ছুটিতে বাড়ি ফিরে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বিহান জানতে পেরেছিল, ছেলেটি সত্যি সত্যিই মারা গেছে।

বাড়াচ্ছে ভিড়, হারানোর তালিকায়!

তখন কলজে আর কলেজ মিলেমিশে গেছে। প্রেম, বিরহ, নতুন নতুন নেশার অভিজ্ঞতায় দিন পেরিয়ে যাচ্ছে নিমেষে। সেই মাঠের বন্ধুরা তখন স্মৃতিতে। আচমকা ট্রেনে অন্যমনস্ক ভাবে জানলা দিয়ে তাকালে মুখের কোণে আসে আদুরে হাসি। কোনও পাস বা কভার ড্রাইভের কথা মনে পড়ে যায়। সেই বন্ধুদের আর বয়স বাড়েনি, এখন কলেজের বন্ধুদের দেখে মনে হয়, এরাই যেন বিহানের জন্য তৈরি ছিল। রাত জেগে ফেস্টের রিহার্সাল বা কলেজ ইলেকশনের আগে লিফলেট, পোস্টার, চেন ফ্ল্যাগ তৈরি। সদ্য আসা মোবাইলে তখন শুধুই মেসেজ পাঠানো যায়। মেসেজে-মেসেজে মহাকাব্য লেখার দিন। রুমমেট ছিল মৃন্ময়। উত্তর দিনাজপুরে বাড়ি। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। সরকারি কলেজে চান্স পেয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। ওদের পরিবার, গ্রাম সব মিলিয়ে প্রথম। আসার পর শহুরে ব্যবস্থায় মানিয়ে নিতে একটু অস্বস্তি থাকলেও পরে মানিয়ে নিয়েছিল। নিজের মতো করে কবিতা লিখত স্কুল থেকেই, হোস্টেলে দেওয়াল-পত্রিকা সাজাত। বিহানের উপর ছিল অগাধ আস্থা। এতখানি ভরসা করত যে, বিহানের নিজের মাঝে মাঝে মনে হত, ওর উপর অনেকখানি দায়িত্ব। শেষ বছরে পরীক্ষার ঠিক আগে আগে মাঝরাতে আচমকা ফোন এসেছিল, মৃন্ময়ের বাবা গুরুতর অসুস্থ। পরদিন পৌঁছে মৃন্ময় বাবাকে আর দেখতে পায়নি। বিহান প্রথম দিনই ওর সঙ্গে যাবে মনে মনে ভেবে নিয়েছিল মৃন্ময়, অন্তত পরের দিন। না, বিহান পারেনি। ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা না দিয়ে যেতে পারেনি। ক্যাম্পাসিং-এ ভাল চাকরি হয়ে রয়েছে, বছর নষ্ট করতে চায়নি। এ দিকে ভিতরে প্রবল অস্বস্তি, একটা ফোন বা মেসেজও করে উঠতে পারেনি মৃন্ময়কে। অন্য বন্ধুদের কাছ থেকে পরে খবর পেয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা হয়নি আর, মৃন্ময় উত্তরের কোনও জেলায় বিডিও অফিসে চাকরি করে। মৃন্ময় হোস্টেলের দেওয়াল জুড়ে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার আগে চারকোল দিয়ে লিখেছিল— ‘ভালোবাসা দিতে গিয়ে তবু,/ দেখেছি আমারি হাতে হয়ত নিহত/ ভাই বোন বন্ধু পরিজন পড়ে আছে;/ পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন/ মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।’

নেমেসিস

হাওয়ায় পর্দা উড়ছে। পুণেতে এই সময় ‘সেকেন্ড মনসুন’। ঝিরঝিরে বৃষ্টি লেগেই আছে। অনেক দূরের বহুতলগুলোর আলো নিভে গেছে। ব্রিজ দিয়ে যাওয়া গাড়ির সংখ্যাও অনেক কম। বিহানের সামনের মাঠটা সোজা যেন আকাশে গিয়ে মিশে গেছে। সোজা, কোথাও কিছু নেই। মাঝরাতে মাঠ জুড়ে একঝাঁক চোদ্দো-পনেরো বছরের ছেলে যেন দাপিয়ে খেলতে নেমেছে। আলো জ্বলে উঠছে, কাদের কোলাহল এগিয়ে আসছে। এক পাশে একটা স্টেজ, সেখানে লাইট কমছে, বাড়ছে। বিছানা থেকে সাদা চাদর সরিয়ে উঠে আসছে সেই ছেলেটা, হাসিমুখে আলো এসে ঠিকরে ঠিকরে যাচ্ছে। সামনে দর্শকাসনে হুইলচেয়ার নিয়ে বসে পলিদিদি হাততালি দিচ্ছে। কলেজ ফেস্টের গান হচ্ছে, সদ্য আসা মোবাইল নেড়ে গায়কদের অভিবাদন জানাচ্ছে একুশ-বাইশ বছরের ছেলেমেয়েরা। এই আলো-শব্দ থেকে অনেক দূরে কোলকুঁজো কেরানি মৃন্ময় সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরে আসছে। টিমটিমে আলো-জ্বলা বর্ষার পিছল রাস্তা ধরে। দূরে কয়েকটা জোনাকি দেখে চকচক করে ওঠে ওর চোখ।

সকাল হচ্ছে। রিনিকে প্রায় ডেকে তুলে দিল বিহান। ও গল্প পেয়ে গেছে, রোদের জন্য। আর একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে— আপাতত বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবে। রোদ নিজের প্রিয় হগওয়ার্টস ছেড়ে কোথাও যাচ্ছে না। ফ্ল্যাটের বারান্দায় তখন সকালের রোদ্দুর লুটোপুটি খাচ্ছে। আজ বিহানের অনেক কাজ। তাড়াতাড়ি অফিস সেরে উত্তরবঙ্গের বিডিও অফিসগুলোতে খোঁজ নেওয়া শুরু করতে হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

friendship

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy