Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Hills

প্রকৃতির দোলমঞ্চ

পুরুলিয়ার মালতি গ্রামের প্রান্তে এক ছোট্ট পাহাড়। সেখানে লাল কালো হলুদ খয়েরি-সহ নানা বিচিত্র রঙের সমাবেশ। সেখানকার পাথর দিয়ে তৈরি হয় রং। সেজে ওঠে বাড়ির দেওয়াল।

রঙিন: পুরুলিয়ার মালতি গ্রামের রংপাহাড়। অনেক রঙের পাথর মিলেই এই পাহাড় তৈরি।

রঙিন: পুরুলিয়ার মালতি গ্রামের রংপাহাড়। অনেক রঙের পাথর মিলেই এই পাহাড় তৈরি।

বিতান সিকদার
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১ ০৪:২৬
Share: Save:

মাথার ওপরে কোবাল্ট ব্লু। পায়ের নিচে হুকার্স গ্রিন থেকে শুরু করে দূরে দিগন্তরেখা পর্যন্ত স্যাপ গ্রিন। আর চোখের সামনে বার্নট সায়না, নেপল্‌স ইয়েলো, ইয়েলো অকার, র’ অ্যাম্বার, হোয়াইট, পেইন্‌স গ্রে…আর আরও না জানি কত কী…

এই শেডগুলোর নাম করা প্রয়োজন ছিল। এ বার সোজা করে বলি, মাথার ওপর নীল আকাশ, পায়ের নীচে সবুজ ঘাস আর চোখের সামনে একটা রামধনু রঙের পাহাড়। পুরুলিয়ার বলরামপুর টাউনের অদূরে মালতি গ্রামের প্রান্তে এক ছোট্ট টিলা।

গাড়ি করে বোল্ডার-পাথরের মাঝখান দিয়ে পায়ে চলা অথচ চওড়া পথ বেয়ে টিলার মাথায় উঠে আসি। পাহাড়ের মাথাটা চ্যাটালো কিন্তু এবড়োখেবড়ো, মাঝখানটায় গভীর একটা গর্ত, নীচে জল।

পাহাড় বলতে তো এত দিন দেখে এসেছি ছাইরঙা পাথর। কিন্তু এ একেবারে অন্য রকম! এই টিলা জুড়ে লাল কালো হলুদ খয়েরির পসরা… ভাবতে হয়, এই দোলে এখানে এত আবির খেলল কে?

জানা গেল, এই রং-বেরঙের পাথর দিয়েই এই পাহাড় তৈরি। আমি দেখে চলেছি, কোথাও বা হলুদ রঙের কোনও চাঙড় পড়ে, আবার কোথাও বা খয়েরি রঙের কোনও বোল্ডার।

জানি, পুরুলিয়া বলতে সাধারণত ভ্রমণপিপাসুদের মনে প্রথমেই বড়ন্তী, জয়চণ্ডী ভেসে ওঠে। আর সেই উত্তেজনা শেষ হয় অযোধ্যা পাহাড়ে উঠে। এই টিলার আশপাশ, খুব সাধারণ ভাবেই, প্রায় জনমানবশূন্য। গ্রামের একটা নাম বললাম বটে, কিন্তু জনমানবের চিহ্ন পর্যন্ত দেখছি না। ট্যুরিস্টদের আনাগোনা নেই, খড়ের ছাউনি দেওয়া চায়ের দোকান নেই, ছৌ নাচের মুখোশ সাজিয়ে হকার নেই বা গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে হাতে অ্যালবাম নিয়ে ফোটোগ্রাফারদের কোনও ভিড়ও নেই।

পাহাড়ের মাথায় উঠে চার পাশে তাকালে চোখে পড়ে নীচে সবুজের গালিচা, দূরে জঙ্গলের সারি আর তার পেছনে ছোট বড় টিলা-পাহাড়।

স্থানীয় প্রবাদ, পুরুলিয়ার প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব পাহাড় আছে। তাই যদি হয়, তবে এর মালিক কে? যদিও, স্বত্বের আগেও তখন মাথা খুঁজছিল তথ্য। বৃষ্টিধোয়া কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে একটা লালচে পাথরে হাত দিয়ে ভাবছি, কোথায় দেখেছি… এ জিনিস কোথায় দেখেছি! স্বচক্ষে দেখার কোনও প্রশ্নই নেই। তবে, আন্তর্জালে… মনে পড়ে যায়— পেরু। রেনবো মাউন্টেন!

কোথায় দক্ষিণ আমেরিকার অ্যান্ডিজ় পর্বতমালা, আর কোথায় পুরুলিয়ার এই অখ্যাত প্রান্তর… আন্তর্জালের সেই সব ভিডিয়ো দেখতে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকতে হয়। মাইলের পর মাইল জুড়ে সার বেঁধে নানা রঙের স্ট্রাইপ দিয়ে যেন ঢাকা দেওয়া রয়েছে সেই পর্বতশ্রেণি।

ভূতাত্ত্বিকেরা হিসেব করে বার করেছেন ওখানে কেন প্রকৃতির এই রং-বেরঙের খামখেয়াল। তত্ত্ব উঠে এসেছে, কী ভাবে কোটি কোটি বছর ধরে আবহাওয়ার বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাথরের স্তরের পর স্তর ক্ষয়ে চলা, কী ভাবে ধীরে ধীরে খনিজের পরিবর্তন, কী ভাবে আস্তে আস্তে ‘সেডিমেন্ট’ সরে গিয়ে এই রামধনু রং বেরিয়ে আসা।

ভাবলাম এখানেও কি তেমনই! এই ছোটনাগপুর মালভূমির বয়সও কম বেশি ষাট কোটি বছর। তাই, এখানেও যদি… কিন্তু না, এখানে ঠিক ঠিক তেমনটি নয়।

পরে ধাতস্থ হয়ে ভূতাত্ত্বিক এবং গবেষক— বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক— গুরুপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে ধরেছিলাম। তিনি এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠন সম্পর্কে বললেন, “গঠনগত বিচারে জায়গাটি ভারতের আদিমতম শিলায় গঠিত উপদ্বীপীয় মালভূমি গন্ডোয়ানাল্যান্ডের একটি অংশ, যাকে আপনি ছোটনাগপুর মালভূমি বলছেন। এই অঞ্চলের মূল শিলা হল আগ্নেয় শিলার পরিবর্তিত রূপ, যার ভূতাত্ত্বিক নাম নাইস।” ফলে, ওঁর মতে সাদা বা হালকা খয়েরি রঙের যে পাথরগুলো রয়েছে ওখানে, সেগুলো এই নাইসিক শিলা গঠিত হওয়াই সম্ভব। “লাল রঙের জায়গাগুলো আয়রন অক্সাইড সমৃদ্ধ। লোহার ভাগ বেশি থাকায় রং লাল। এই শিলাময় অংশটাকে ল্যাটেরাইট বলা চলে। সমগ্র ছোটনাগপুর অঞ্চলেই এমন ল্যাটেরাইট থেকে সৃষ্ট মৃত্তিকা অনেক জায়গায় দেখা যায়,” বললেন তিনি।

তাঁর কথায় পুরুলিয়ার বলরামপুর অঞ্চলের আশপাশ, যেমন— ঝালদা বা বাঘমুন্ডি এলাকা— প্রকৃতির এমন মিশ্র শিলা বা শিলাচূর্ণ দিয়ে গঠিত।

এখানে আরও দু’ধরনের পাথর দেখা যায়। অতীতের বিভিন্ন সময়ে ভূগর্ভ থেকে লাভা উঠে আসার ফলে তা বাইরে এসে জমাট বেঁধে কালো ব্যাসল্টে পরিণত হয়েছে। জামশেদপুরের অনতিদূরে দলমা এমন পাহাড়ের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এ ছাড়া আগ্নেয় শিলার অংশ হিসাবে গ্র্যানাইট পাথর, যার অবয়ব সাদা ও আংশিক কালো খনিজের মিশ্রণে তৈরি— তাও এখানে অনেক আছে। “এই তথ্য মেনে বলা যায়, এই পাহাড়ি এলাকার গঠনে কিছু কিছু অংশ কালো বা সাদাকালো পাথরও দেখতে পাওয়া যায়,” বলছেন প্রবীণ ভূতাত্ত্বিক গুরুপ্রসাদ।

সে যা-ই হোক, পরিশেষে এই অবহেলা কেন? এ ভাবে এক কোণে একা পড়ে থাকা? এমন আকর্ষণী রূপ নিয়েও এহেন একাকিত্ব?

ঠিক তাই কি? শহুরে উপস্থিতির ছোপ ও রঙে লেগে নেই বলেই কি একেবারে অবহেলিত বলে দেগে দিতে পারি? বোধহয় না। ওই ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যেই এগিয়ে যাই পাহাড়ের মাঝখানটায়— যেখানে এক বিশাল গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে। সে খাদের কিনারায় গিয়েই দেখতে পাই পায়ে হেঁটে নেমে যাওয়ার পথ। সেই পথ শেষ হয়েছে এক ছোট্ট পুকুরে। আর সেই পুকুরের কিনারায় পাহাড়ের দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েক জন। তাদের হাতে শাবল, কোদাল। তাদের পাশে পড়ে রয়েছে কিছু ভাঙা ঝুড়ি।

সাতরঙা পাথরে প্রাণের স্পন্দন…

ধীরে ধীরে নেমে আসি সেই উতরাই পথ বেয়ে পাহাড়ের ঠিক মধ্যিখানে। ওই তো শাড়ির আঁচল বা গামছা দিয়ে নাক-মুখ-মাথা ঢেকে দাঁড়িয়ে আছে মুক্তি মাঝি, চন্দ্রমোহন পরামানিক বা জগন্নাথ হাঁসদারা।

ওরা কেউ আসে বাঁশীটাঁড় থেকে, কারও বাড়ি ধসকায় আবার কেউ বা বারসা গ্রামে থাকে। এই পাহাড়ের মতো ওরাও প্রাচীন। এই পাহাড়-বন-জঙ্গল অধ্যুষিত রাজ্যের ওরাই আদি বাসিন্দা। ওদের অবয়বের কিচ্ছুটি দেখা যাচ্ছে না। শুধু চোখদুটো ছাড়া। ওদের হাত-পা জুড়ে রঙের ছোপ। পাহাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে ওরা। এ রং নিয়ে ওরা বাড়ি সাজাবে। গরিব মানুষ। রঙের পয়সা পাবে কোথায়!

তত ক্ষণে পরীক্ষা করে দেখে নিয়েছি কী ভাবে পাথর নিয়ে হাতে ঘষলে তা থেকে রং বেরিয়ে চামড়ায় লেগে যায়। যেন চকখড়ি। তার মানে একে প্রসেস করতে শিখেছে ওরা।

মনে পড়ে এখানে আসার আগে পারডি ড্যাম থেকে ফেরার পথে চিরুগড়া গ্রামের কথা। এখান থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের বসতি। সেটাও কোনও এক পাহাড়ের পাদদেশ। জায়গায় জায়গায় শাল-পলাশের ভিড়। তারই মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা বাঁধানো রাস্তা। আর সেই রাস্তার ধারে ধারে ছবির মতো কিছু বাড়ি। মাথায় খড়ের ছাউনি থাকলে কী হবে, তার দেওয়ালগুলোর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকতে হয়। তাতে রং-বেরঙের জ্যামিতিক নকশা আঁকা। দক্ষ তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা নানা রঙের মোটিফ।

কোনও পরামানিক সেই রাস্তার ধারে বসে মহুয়া জ্বাল দেয়, কোনও মণ্ডল গরু-ভেড়া নিয়ে জঙ্গলে যায়, আবার কোনও গড়াই এক টুকরো জমিতে ধানের বীজ ছড়ায়। তারা থাকে সেই সব বাড়িতে, যা মেঘ-রোদ্দুরের আনাগোনায় জাদুবাস্তব হয়ে ধরা দেয়। আর সেই রঙিন চিত্রকলার নেপথ্যে দাঁড়িয়ে থাকে এই রামধনু-রঙা পাথরের ঢিবি।

তোঁড়া গ্রামের সুবিতা মাঝির সঙ্গে পরে কথা হয়েছিল। বছর বত্রিশের মহিলা বুঝিয়েছিলেন, কী ভাবে নরম পাথর ভেঙে এনে সেটা জলে গুলে তাদের কুঁড়ের দেওয়াল চুনকাম করে থাকেন তাঁরা।

এ বার, এই চুনকামের বাইরে থেকে যায় এই রং দিয়ে করা শিল্পকর্ম। সে ক্ষেত্রে শুধু দেওয়াল রং করা নয়, সেখানে ছবি আঁকাও বটে।

এখানেই থাকেন প্রবীণ ভাস্কর চিত্ত দে। সেই সন্ধেয় তাঁর বাসস্থানে বসে শিল্পী বুঝিয়েছিলেন, কী ভাবে রং বার করে নেওয়া যায় এই পাথর থেকে— “প্রথমে এই পাথরকে গুঁড়ো করতে হয়। হয়ে গেলে পরে সেটা চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হয়। যে দানাগুলো পড়ে থাকে, সেটাকে আবারও গুঁড়ো করা হয়। এর পর পুরো জিনিসটাকে মিহি কাপড়ে দুবার চালা হয় ফের। ওটাকে তারপর জল দিয়ে গুলে নিলে একটা রং বেরিয়ে আসে,” বোঝালেন শিল্পী।

কিন্তু তার পরও থেকে যায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এক পদ্ধতি। পানিয়ালতা গাছের ডাল গরম জলে ফোটান হলে এক রকম আঠা বেরয়। “সেই আঠাটাকে এই রঙের সঙ্গে মেশাতে হয়। কারণ, অনেক সময়ই দেখা গেছে— জলটা শুকিয়ে গেলে রংটাও আস্তে আস্তে ঝরে পড়েছে। সেটা যাতে না হয়, সেই ব্যাপারটা খেয়াল রাখে এই আঠা,” বললেন ভাস্কর।

এই ওয়াটার কালারে কোনও গ্লিসারিন নেই। শুনলাম, শিল্পীকে কখনও কখনও একটু সিন্থেটিক রং-ও এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হয়।

পুরুলিয়ার খেত-বন-পাহাড় অধ্যুষিত প্রান্তরে প্রকৃতিপ্রেমী এই ভাস্করের বাস। তার ঘরের মাটির দেওয়ালে সেই চন্দ্রালোকিত রাতে দেখেছিলাম টবে ফোটা হলুদ ফুলের ছবি। কোথাও ছিল সবুজ পাতাবাহার, আবার কোথাও বা খেতের মাঝে দাঁত উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিশাল কালো হাতি। “এই সমস্ত ছবি ওই পাথরের রং দিয়ে আঁকা…”

এও শুনেছিলাম এই রংকে পরবর্তী পর্যায়ে ফ্রেস্কো কালারে নিয়ে আসা যায় কি না, তারও পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।

৬৪ বছরের নবীন এই ভাস্কর পাহাড় সংরক্ষণে ব্রতী। আজ বহু বছর ধরে। একটু ভুল হল, তিনি ‘নান্দনিকতার মাধ্যমে পাথর সংরক্ষণে ব্রতী’। বেছে নিয়েছেন অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চল। এক সাড়ে ন’শো ফুট উঁচু টিলার ওপরের প্রায় ছ’শো ফুট পাথর জুড়ে এঁকেছেন একের পর এক পাখির ছবি। কখনও ভাড়া বেঁধে উঠে, আবার কখনও বা ওপর থেকে দড়ি ধরে ঝুলে। নাম দিয়েছেন পাখি পাহাড় অথবা ‘ফ্লাইট টু হারমনি’।

বামনি ফল্‌সই হোক অথবা মার্বেল লেক, ধসকা গ্রামই হোক অথবা শাল-পলাশের জঙ্গল— এই শিল্পী যেখানেই পাথর পেয়েছেন, এঁকে দিয়েছেন একের পর এক ছবি। কোথাও বা মানুষের মুখ, কোথাও ময়ূর, কোথাও পাখি-প্রজাপতি, কোথাও হরিণ, কোথাও বা কুমির-কচ্ছপ। এ ছাড়া তো রয়েছেই ফুল-পাতার সমাহার।

প্রথমে হলুদ রং দিয়ে আউটলাইন, তার ভেতরে সেই রেখা ঘেঁষে নীলের বর্ডার, আর তার ভেতরটা সাদা দিয়ে ভরাট করা। এই হলুদ রেখা বরাবর ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে খোদাই করে তুলে আনছেন ইন-সিটু রক কার্ভিং-এর একটার পর একটা নিদর্শন, যাতে সেখানে কখনও শাবল-গাঁইতির বেমক্কা বিধ্বংসী ঘা না পড়ে। সরকারি মহলের পূর্ণ সমর্থনে এগিয়ে চলেছে এই নান্দনিকতা।

আর এই সংরক্ষণে সঙ্গ দিয়ে চলেছে সেই রামধনু-রঙা পাহাড়। এ যেন পাথর মাফিয়াদের হাত থেকে পাহাড়কে বাঁচিয়ে রাখা। এ যেন “পাথর দিয়ে পাথর বাঁচিয়ে রাখা”।

নেমে আসছি ওই টিলা থেকে। মেঘলা দিনের প্রান্তর ধূসর হয়ে আসছে। মনে প্রশ্ন ঘুরছিল, এমন একটা পাহাড়ের কোনও নাম নেই?

প্রবীণ ভাস্করকে বলায় উত্তর দিলেন, “কে বলে নেই? অবশ্যই আছে। আমি দিয়েছি। রংপাহাড়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hills
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE