Advertisement
E-Paper

রুদ্রনাথের পথে-প্রান্তরে

দর্শনার্থীদের জন্য ন্যূনতম এবং মৌলিক পরিষেবার বড় অভাব। চড়াই পথের শেষ বারো কিলোমিটারে না আছে সরাইখানা, না আছে শৌচাগার, না আছে একটাও বসার জায়গা। অভয়ারণ্য সংরক্ষণেও সরকারি ঔদাসীন্য চরম। অথচ প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার যাত্রী আসেন এখানে।

রুদ্রনাথ মন্দির-চত্বরে প্রবেশের প্রধান দ্বার।

রুদ্রনাথ মন্দির-চত্বরে প্রবেশের প্রধান দ্বার।

বিতান সিকদার

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৭
Share
Save

সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় এগারো হাজার আটশো ফুট উপরে এক পাহাড়ের মাথায় বাথরুম তৈরি করছেন রুদ্রনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বেদপ্রকাশ ভট্ট। ‘তৈরি করছেন’ মানে একেবারে আক্ষরিক অর্থে তৈরিই করছেন। হাতে পাথরের স্ল্যাব, পায়ে কাদামাটি। অদূরে কয়েক জন মাটি কোপাচ্ছে। আশপাশে শাবল-গাঁইতি এবং বেলচা-কড়াইয়ের ছড়াছড়ি। পুরোহিতমশাই সন্ধে সাড়ে ছ’টায় মন্দিরে আরতির সময় পারমার্থিক জগতে চলে যাবেন। তার আগে জাগতিক বিষয়েগা ঘামাচ্ছেন।

চতুর্থ কেদার রুদ্রনাথে পৌঁছে তীর্থযাত্রী বা ক্লান্ত-বিধ্বস্ত ট্রেকারদের কাছে ক্লাইম্যাক্স দু’ভাবে আসে— এক, দিগন্ত জুড়ে নন্দাদেবী, নন্দাঘুণ্টি, হাতি পর্বত, ত্রিশূল ইত্যাদি শৃঙ্গের ধবধবে দৃশ্য আর দুই, ন্যূনতম পরিষেবারও চরম অনুপস্থিতি। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে বলা যায়, রুদ্রনাথে কোনও বাথরুম নেই। অন্তত, গত বছর পর্যন্ত একটাও ছিল না।

‘অথরিটি’র সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাও তথৈবচ, “তাতে কী? আগে তো জলও ছিল না।”

“অন্য ভাবে নেবেন না, দয়া করে অন্য ভাবে নেবেন না,” হাঁফাচ্ছেন সোদপুরের বাসিন্দা সমর তালুকদার। এসেছেন পরিবার পরিজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। আর আসার সময় তাঁর ভাষাতেই হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন কেন বলা হয়, ‘রুদ্রনাথ কি চড়াই, জার্মানি কি লড়াই!’ হাঁফাতে হাঁফাতেই বললেন, “হাতি-ঘোড়া তো কিছু চাইছি না। চাইছি একটা দোর দেওয়া যায়, এমন বাথরুম। ভাবুন তো মশাই, আমরা না হয় আদাড়বাদাড়ে চলে যাব, মহিলারা যাবে কোথায়?”

তালুকদারবাবুর কথাটা বুঝতে পেরে উপস্থিত বাঙালি তথা অবাঙালি মহিলাদের মধ্যে নির্বিশেষে যে ‘বিদ্রোহ’টা জেগে উঠল, তা দেখে মনে হতেই পারে, “বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান”। নিমেষে বাঙালি, মারোয়াড়ি, বিহারি, দক্ষিণী— সব এক হয়ে গেল। গুঁতোর মাধ্যমেই যে একতা আসে, পাহাড়ের মাথায় মহাদেবের এই দরবার এক ধাক্কায় বুঝিয়ে দিল।

এ পাশ ও পাশ থেকে মন্তব্য ভেসে আসছে, “এ তো আর পাড়ার মোড়ের শনিমন্দির নয় বা রাস্তার ধারের শীতলামন্দিরও নয়। চতুর্থ কেদার, তায় এত যাত্রী। এখানে একটা বাথরুম থাকবে না কেন?”

মনে রাখা দরকার, বনবিভাগের সূত্র অনুযায়ী রুদ্রনাথে প্রতি বছর কমবেশি নয় থেকে দশ হাজার যাত্রী আসেন। যাত্রা চলে বছরের ছয় মাস ধরে।

পঞ্চকেদারের মধ্যে রুদ্রনাথের রাস্তা ভীষণ ভাবেই আর চারটি কেদারের থেকে আলাদা। কেদারনাথ রীতিমতো, যাকে বলে, সরকারি আনুকূল্যে ঢেলে সেজে বসে রয়েছেন। তায় যাত্রা দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে সযত্নে করে দেওয়া চড়াই রাস্তা ধরে। মধ্যমহেশ্বরও চড়াই, তবে ন্যূনতম পরিষেবাটুকু মিলে যায়। তুঙ্গনাথ চোপতা থেকে মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটারের পথ। কল্পেশ্বর পর্যন্ত তো গাড়িই যায়। রইল বাকি রুদ্রনাথ। বাইশ কিলোমিটার চলার পথে আঠেরো মতো হাড়ভাঙা চড়াই, এবং প্রথম দশ কিলোমিটার পথে থেকে থেকে সরাইখানার খোঁজ মিললেও শেষের বারোয় পথ বাদে কিচ্ছু নেই। সমস্যাটা সেইখানে। বাথরুম ব্যবহার করতে চাইলে এক জন যাত্রীকে হয় বারো কিলোমিটার উঠে আবারও সেই পথ দিয়ে বারো কিলোমিটার নেমে আসতে হবে, না হয়, জঙ্গলে যেতে হবে। মুশকিল হল, এই শেষের বারো কিলোমিটার সমুদ্র সমতল থেকে এতটাই উপরে যে, গাছপালা, জঙ্গলের বিশেষ উপস্থিতিও তেমন চোখে পড়ে না। রইল বাকি বিস্তৃত খোলা প্রান্তর, পাহাড়ের ঢাল অথবা ঝোপঝাড়...

চলার শুরুতে সগর গ্রাম। এই গোয়াল, সেই মন্দির, অমুকের উঠোন তথা তমুকের বাগান পেরিয়ে কিছু দূর উঠলেই কিলোমিটার দেড়েকের মাথায় বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণ চৌকি। দু’জন কর্মচারী যাত্রীদের নামধাম লিখে আধার সংখ্যা নোট করে রাখছেন, আর কড়া করে শুধু জিজ্ঞেস করেই ক্ষান্ত হয়ে যাচ্ছেন, “সঙ্গে প্লাস্টিক নেই তো? প্লাস্টিক ফেলে এলে কিন্তু জরিমানা হবে।”

ওই জিজ্ঞাসাটুকুই সার! নরম করে ‘নেই’ বললেই জনপ্রতি টিকিট বাবদ দু’শো টাকা কেটে যাত্রীদের এগোনোর অনুমতি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চলার পথে বিভিন্ন জায়গায় রং-চটা হেলে-পড়া সাইনবোর্ডও চোখে পড়ছে। তাতে কষ্ট করলে পড়তে পারা যায়, ‘এটা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, এখানে প্লাস্টিক ফেললে জরিমানা করা হবে।’

কিন্তু কেউ চলার পথের আশপাশে প্লাস্টিক ফেলছে কি না, তা দেখছে কে? বনবিভাগের তরফ থেকে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা গেল না। ফলাফল স্পষ্ট। সমস্ত চলার পথ জুড়ে জগতের যাবতীয় প্লাস্টিকের প্যাকেট পড়ে রয়েছে। এবং তা চুইংগামের ছেঁড়া র‌্যাপার থেকে শুরু করে বড় ক্যারিব্যাগ পর্যন্ত।

প্রশ্ন করায় যাত্রীদের উত্তর, “সমস্ত রাস্তায় একটাও ডাস্টবিন কেন রাখা হয়নি?”

যেখানে খাওয়া-দাওয়া বলতে শুধু ডাল-ভাত আর আচার, এবং পরিশ্রম বলতে পরের পর বোল্ডার পার হয়ে উপরে উঠতে থাকা, সেখানে মানুষ সঙ্গে করে কিছু বিস্কুট, চকোলেট বা চানাচুরের প্যাকেট নেবেই। শুরুতেই ‘অথরিটি’ সেটা জেনে রাখলে পরে মিলিয়ে নিতে সুবিধে হতে পারত। তবে, গত অক্টোবরের শুরুতে যাত্রার একেবারে শেষ পর্যায়ে মন্দিরের কপাট বন্ধ হওয়ার কয়েক দিন আগেও তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ল না।

অবাক করা বিষয় হল, এই চলার পথে আরও চেকপোস্ট আছে। বারো কিলোমিটারের মাথায় রয়েছে স্বর্গীয় পানার বুগিয়াল। চরাচর বিস্তৃত একটি মাঠ। এক দিকে তার শৃঙ্গেরা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর মাঠের মাঝখানে বনবিভাগের আর একটি নিয়ন্ত্রণ চৌকি। অক্টোবরের শুরুতে সেখানে বসে রয়েছেন দর্শন সিংহ, অজিত ভারতীর মতো বনবিভাগের কর্মচারীরা। তাঁদের কাজের মধ্যে চোখে পড়ল, হাঁক দিয়ে চলতে থাকা ক্লান্ত যাত্রীদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া, “সাথ মে কোই পিলাসটিক তো নহি হ্যায় না? কোই বুলু-টুথ বগৈরা...”

হাত নেড়ে না বললেই যথেষ্ট।

জন্তু-জানোয়ারের শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয়, তাই এই চত্বরে তারস্বরে ফোন বা ব্লু-টুথে কোনও কিছু বাজানো নিষিদ্ধ।

বনবিভাগ এখানে সর্বেসর্বা। তাই যাবতীয় অভিসম্পাতও তাদের কর্মচারীদের দিকেই ধেয়ে যাচ্ছে। বিহার থেকে এসেছেন মণীন্দ্র সিংহ। বয়স্ক রিটায়ার্ড ভদ্রলোক। পথের এক ধারে দাঁড়িয়ে হাঁফাচ্ছিলেন। আর পাঁচ জনের মতোই কোনওক্রমে নয় কিলোমিটার ঠেঙিয়ে মৌলি খড়ক নামক একটি জায়গায় এসে সরাইখানার অদূরে দাঁড়িয়ে বলছেন, “ভাবতে পারেন, পথ জুড়ে একটা বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। তায় এমন খাড়াই। মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়লে কী করবে? পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? নাকি রাস্তাতেই বসে পড়বে? তাই বা কী করে হবে? কোথাও কোথাও তো খচ্চরের ঠেলায় চলাই দায়...”

খুবই প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। অন্যান্য সমস্ত ধামের ক্ষেত্রে লোহার হোক, পাথরের হোক, সিমেন্টের হোক, ভাঙা হোক— কিছু দূর অন্তর অন্তর বসার জায়গা করে রাখা আছে। এখানে তাও নেই। প্রশ্ন উঠছে— “এরা যে দুশো টাকা করে নিচ্ছে, তা কিসের জন্য? কোন পরিষেবাটা এরা দিচ্ছে? নাকি সেটা শুধু অভয়ারণ্যে ঢুকতে দেওয়ার জন্য?” এর উত্তর কোথাও পাওয়া গেল না।

পাশেই পথের ধারে একটা বোল্ডারের উপর শুইয়ে রাখা রয়েছে মারোয়াড় থেকে আসা বয়স্কা সুরমা দেবীকে। একটু আগেই তিনি খচ্চরের পিঠ থেকে পড়ে চোট পেয়েছেন। কোনও ক্রমে বললেন, “সব মহাদেবের ইচ্ছা...”

বনবিভাগের প্রতি এই বিরাগ দেখা গেল শুধু যাত্রীদেরই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদেরও কিছু কম নেই। দশ কিলোমিটার খাড়াই চড়ার পর পৌঁছনো যায় লিউটি বুগিয়ালে। মনে রাখা দরকার, এটাই রুদ্রনাথ পৌঁছনোর পথে রাত্রিবাসের শেষ জায়গা। কারণ এর পর থেকে পথ বাদ দিয়ে মন্দির পৌঁছনো পর্যন্ত আর কিছু নেই।

বহু যাত্রী এখানে রাত্রিবাসের জন্য থেকে যান। গুটিকয়েক সরাইখানা, বড় পাথরের ঘর, তাতে পর পর তোষক পাতা। এক একটি তোষক এক এক জনের থাকার, বসার এবং শোয়ার জায়গা। এ ছাড়া রয়েছে তাঁবু।

কনকনে ঠান্ডায় খিচুড়ি রান্না করছিলেন বছর পঁচাত্তরের প্রেম সিংহ তাঁর লিউটি বুগিয়ালের ঘরে বসে। যাত্রীদের খাওয়াবার তাগিদে তখন তিনি ভীষণ ব্যস্ত। লোহার নলের মধ্যে দিয়ে ফুঁ দিয়ে কাঠের উনুনে আঁচ বাড়াতে বাড়াতে বললেন, “আগে এমন অবস্থা ছিল না, বাবু। কুড়ি সালের পর থেকে কোর্টের অর্ডার হয়ে গেল। আমাদের সব সরিয়ে দিল। এই যে এর পর থেকে মন্দির পর্যন্ত বারো কিলোমিটার পথে কিচ্ছুটি পাবেন না, আগে এ রকম ছিল না।”

বাইরে তখন তাপমাত্রা বোধহয় চার কী পাঁচ ডিগ্রি। গলার ছেঁড়া মাফলারটা ভাল করে পেঁচিয়ে নিয়ে বৃদ্ধ বললেন, “আগে আমার সরাইখানা ছিল মন্দির থেকে আট কিলোমিটার আগে। বাবুরা এক দিন এসে বললেন, সে সব জঙ্গলের আওতায় পড়ছে বলে সরাইখানা আরও নামিয়ে আনতে হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লিউটি বুগিয়ালের এক ধারে প্রেম সিংহের বসানো একটি বায়ো টয়লেট রয়েছে। তার পাশে বিশাল ড্রামে রাখা জল।

তাঁবু টাঙিয়ে দিতে দিতে সন্ধের অন্ধকারে যুবক সত্য বিশত বলল, “আমাদের প্রত্যেকেরই এক কথা, বাবু। আগে আমার সরাইখানা ছিল পিত্রধারে।” পিত্রধার রুদ্রনাথের পথে সবচেয়ে উচ্চস্থান। পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে পাথর রেখে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো হয় বলে এমন নাম। উচ্চতা তেরো হাজার একশো ফুট। সত্য বলে চলে, “মন্দির থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে ছিল আমার সরাইখানা। খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা সব হয়ে যেত সেখানে। বাবুরা খেদিয়ে দিলেন। বললেন, এখন জঙ্গলে আর এ সব রাখা যাবে না। সে তো বুঝলাম। কিন্তু এত লোকের কী হবে, স্যর?”

এক চুয়ান্ন বছর বয়সি মালবাহক, যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চুপি চুপি বলে গেল, কী ভাবে বনবিভাগের লোক এসে সমস্ত তাঁবু খুলে ফেলতে হুকুম দেবে যে কোনও সময়। তিনি বুঝতে পারেন না, সরকারি বাবুরা সরাইখানায় খেয়ে অথবা থেকে টাকা মেটান না কেন।

মন্দিরের পুরোহিত বেদপ্রকাশ ভট্টকে প্রশ্ন করলে জানা যায়, সগর গ্রাম থেকে শুরু করে লিউটি বুগিয়াল পর্যন্ত দশ কিলোমিটার জায়গাটা বন পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। তাই সেখানে দোকান বা সরাইখানা স্থাপন করা যায়। তার পর থেকেই অভয়ারণ্য। তা হলে মন্দিরের অদূরে বাথরুম তৈরি হচ্ছে কী করে?— “আমরা বংশ-পরম্পরায় এই মন্দিরের পূজারি। এই জমির কিছুটা আমাদের। তার উপরেই বাথরুম তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছি। মানুষ এতটা পথ উঠে এসে এত উঁচুতে সত্যিই খুব দুরবস্থার মধ্যে পড়ে। দেখি, যদি কিছু করা যায়। আশা করি, সামনের বছর যাত্রায় মানুষকে কিছুটা অন্তত প্রাথমিক স্তরের পরিষেবা দিতে পারব,” বলছেন ভট্ট।

কেদারনাথ বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তরুণ এস-ও শোনাচ্ছেন আশার কথা, “বছর বছর যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে এই পথে। আমরা এ বছরই একটা ক্যাপাসিটি প্ল্যান বানাচ্ছি। যাত্রীদের অন্তত মৌলিক স্তরের সুবিধাগুলো দিতে গেলে কী কী করতে হবে, সেটা এখনও পরিকল্পনার পর্যায় থাকলেও খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হবে। আশা করি, আগামী বছরের যাত্রায় এই সমস্যাগুলো আর ভোগ করতে হবে না।”

তবে কথা হল, শুধুই ‘অথরিটি’কে দোষ দিলে মহাদেবও রাগ করতে পারেন। ডাস্টবিন না থাকলেও প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রাখাই যায়। সেখানে দরকার কিছুটা সচেতনতার। তার দায়িত্ব যাত্রীদেরই বিশেষ করে নিতে হবে। তাদেরকেও বুঝতে হবে, বনবিভাগের কর্মচারীদের চোখ এড়িয়ে ব্লু-টুথ নিয়ে গিয়ে এমন এক স্বর্গীয় পথে হাঁটতে হাঁটতে আকাশ বাতাস চরাচরের শান্তি ভঙ্গ করে তারস্বরে ‘হারে হারে শ্যাম্ভু...শ্যাম্ভু’ বাজানোটাও কাজের কথা নয়।

মনে রাখা উচিত, শম্ভু কিন্তু এখানে রুদ্র...

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Restroom

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}