আমার রোল ১। পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেও পরীক্ষার আগে আমার প্রচণ্ড টেনশন হয়। এমনকী আমি খেতে পর্যন্ত পারি না। কী করব?
সৌমিলি ঘোষাল। ষষ্ঠ শ্রেণি, বড়কুড়া হাই স্কুল, বাঁকুড়া
সৌমিলি, তুমি লিখেছ যে তোমার রোল নং ১। তুমি কি ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল? তা হলে তোমার টেনশনের কারণ হচ্ছে, ওই পজিশন তুমি যদি বজায় না রাখতে পারো, এই ভয়টা। এটা ভাল ছাত্রছাত্রীদের অনেকের সমস্যা। এই ব্যাপারে লেখা-পড়ার প্রতি তোমার মনোভাব বদলাতে হবে। তুমি লেখা-পড়া যদি শেখার মনোভাব নিয়ে করো, আনন্দের সঙ্গে করো, তা হলে এই টেনশন থাকবে না। তুমি যদি এক-দু’বার ফার্স্ট না হও, তাতেই বা কী এসে যায়? তুমি বিষয়টা ঠিক মতো শিখলে, শেষ পর্যন্ত সেটাই কাজে আসবে। টেনশন কমাবার জন্য সকালে উঠে একটু ব্যায়াম করবে, ঠিকমত খাবে, ঘুমোবে আর আনন্দের সঙ্গে জানার জন্য পড়াশোনা করবে। পড়াশোনা ছাড়া অন্য বিষয় যেমন, আঁকা বা নাচ-গান এ সব ব্যাপারেও আগ্রহ রাখবে। অর্থাৎ পড়াশোনা সহজ ভাবে নাও, দেখবে টেনশন কমে যাবে।
আমার ক্লাসের একটি মেয়ে শুধু আমাকেই নয়, অন্যদেরকেও খুব বিরক্ত করে। যা বলে, তা না করলে খিমচে দেয়। আমার প্রজেক্টের কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছে। টিচারকে বললে খালি মিথ্যে কথা বলে।
প্রমিতা কুণ্ডু। পঞ্চম শ্রেণি, ইন্দিরা গাঁধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল, বারাসাত
প্রমিতা, মনে হচ্ছে তোমার বন্ধুর কিছু অসুবিধে আছে। তোমার বাবা-মাকে বলে তোমাদের শিক্ষিকার কাছে সব কথা জানাও, যাতে তিনি মেয়েটির বাবা-মাকে জানাতে পারেন। তোমাদের স্কুলে যদি কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা থাকে, তা হলে মেয়েটির হয়তো কাউন্সেলিং প্রয়োজন হবে।
আমার ইস্কুলের মাস্টারমশাইরা দু’-এক জন ছাড়া আমাদের ক্লাসে এসে ঠিকমত না পড়িয়ে গল্প করতে থাকেন এবং ক্লাস শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে একটু পড়িয়ে চলে যান। কোনও পড়া ঠিকমত বুঝিয়ে দেন না। এতে আমার মতো গরিব ছাত্রছাত্রীদের প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। এখন আমরা কী করব?
জ্যোৎস্না হেমব্রম। সপ্তম শ্রেণি, জগন্নাথপুর হাই স্কুল, পশ্চিম মেদিনীপুর
জ্যোৎস্না, তোমার অসুবিধা বুঝতে পারছি। এ সমস্যা সমাধানের কোনও সহজ পথ আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি জানি না, তোমাদের প্রধান শিক্ষকমহাশয়কে জানালে কোনও লাভ হবে কি না। তা না হলে তোমাকে তোমার অন্যান্য বন্ধু বা উঁচু ক্লাসের দাদা বা দিদি যদি কঠিন কিছু-কিছু বিষয় তোমাকে বুঝিয়ে দেন, তা হলে কিছুটা সাহায্য পেতে পারো।
কেদারবাবু চেকবই হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক খুঁজে না পেয়ে শেষে ব্যাঙ্কে জানালেন। ম্যানেজার বলল, সাবধানে রাখবেন তো। কেউ যদি আপনার সই জাল করে।
কেদারবাবু: পারবে না। সইয়ের জায়গায় আগে থেকেই সই করে রেখেছি।
এক ব্যক্তি পিলুকে জিজ্ঞেস করল রতনের ফ্ল্যাট কোনটা। পিলু তাকে তিন তলায় নিয়ে গেল। লোকটি কিছু ক্ষণ বেল বাজিয়ে কাউকে পেল না। তখন পিলু বলল, ও বাড়ি নেই। কাল বিকেলে আসবে।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy