Advertisement
E-Paper

নজরদার

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০০:০৩

দরজি পাখির বাসা

সারা দিন নানা রকমের পাখি আমাদের বাগানে ঘুরে বেড়ায়। কখনও কখনও ওরা ঘরের ভেতরেও ঢুকে আসে। আমাদের দোতলার বারান্দায় মা একটা দড়ি খাটিয়ে রেখেছে। জামাকাপড় শুকোতে দেওয়ার জন্য। এক দিন সকালে উঠে দেখি দড়ি থেকে খানিকটা খড়কুটো ঝুলছে। কিছু বুঝলাম না, কে করেছে এটা! ওমা, স্কুল থেকে ফিরে দেখি একটা বাবুই পাখির বাসা। তখনও পুরোটা হয়নি। ছেলে-পাখিটা শুকনো ঘাসের লম্বা লম্বা টুকরো দিয়ে একটু একটু করে বাসাটা বুনছে আর মেয়ে-পাখিটা বারান্দার গ্রিলে বসে দেখছে। দু’দিন পরে দেখি বাসাটা পুরো তৈরি হয়ে গিয়েছে।

নেহা আচার্য। চতুর্থ শ্রেণি, বাগবাজার মাল্টিপারপাস।

কলা খাওয়া বাদুড়

বাড়ির বাগানের কাঁঠালি কলাগাছগুলিতে কাঁদি হয়েছে। প্রতি দিন ঘরের জানলা দিয়ে ও সকালে বাগানে ফুল তুলতে গিয়ে দেখি। কাঁদিগুলিতে যখন হলুদ রং ধরেছে, তখন এক দিন দেখি কাঁদির কলা খাওয়া। কীসে কলাগুলি খেয়েছে দেখতে গিয়ে দেখি কলার পাতার নীচে ধূসর রঙের বাদুড় পায়ের আঙুলের সাহায্যে ঝুলছে। ওদের চোখ, কান, নাক, ছুঁচালো মুখ ও ডানা দেখতে পেলাম স্পষ্ট কিন্তু ডানায় পালক দেখতে পেলাম না। অনেক ক্ষণ ওদের দেখলাম কিন্তু গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম না। সারা দিন পাতার নীচে থাকার পর সন্ধে হতেই সবাই কাঁদির উপর বসল ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে। জ্যোৎস্না রাতে স্পষ্ট দেখতে পেলাম মুখ নাড়িয়ে রং ধরা কলা খাচ্ছে। যত ক্ষণ জেগে ছিলাম ওরা কলা খেতেই ব্যস্ত ছিল দেখলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি কাঁদিগুলির সব কলাই প্রায় খাওয়া আর বাদুড়গুলি কলার পাতার নীচে আগের মতন ঝুলছে।

অর্ণব চোংদার। পঞ্চম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy