শালিক বন্ধু
আমাদের বাড়ির রান্নাঘরে চিমনির পাইপের মধ্যে কতগুলো শালিকপাখি বাসা বেঁধেছে কিছু দিন হল। সকালের চকচকে আলোয় কেমন সুন্দর কিচিরমিচির করে ডাকে ওরা। আমি ঘুম থেকে উঠেই রান্নাঘরে গিয়ে ওদের ডাক শুনি। স্কুল যাবার আগে অনেক বার ওদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। পাইপের মধ্যে ছোট ছোট পায়ে কেমন কুটকুট করে হাঁটে পাখিগুলো। আমরা ঘরের ভিতর কথা বললেই ওরাও সবাই মিলে কিচিরমিচির ডাকতে থাকে। দু’দিন হল টের পেলাম পাখির ছানা হয়েছে। সব সময় কুঁই কুঁই করে চলেছে। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কেমন করে মা-পাখি ছানাগুলোকে খাওয়ায়, আদর করে।
স্বাগতা গঙ্গোপাধ্যায়। চতুর্থ শ্রেণি, বিদ্যাভারতী স্কুল, বেহালা
মাছরাঙার বুদ্ধি
আমাদের বাড়ির পাশে একটা বড় দিঘি আছে, কমলাদিঘি। আর আমাদের বাড়িটা একেবারে দিঘির গায়েই। বাড়ির দিঘির দিকের পাঁচিলের গা ঘেঁষে দুটো কাঁঠাল গাছ আছে। আর তাতে বসে নানা রকমের পাখি। সবচেয়ে বেশি আসে মাছরাঙা। কারণ, কমলাদিঘিতে প্রচুর মাছ। এক দিন জানলা দিয়ে মাছরাঙা দেখছি হঠাৎ পাখিটা ঝুপ করে জলে ঝাঁপ দিয়ে একটা কলমের সাইজের মাছ তুলে আনল। দেখলাম, মাছটা ছাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, পাখিটাও কপ করে গিলে খেতে পারছে না। তখন সে ঠোঁট দিয়ে মাছটার গলার কাছটায় ধরে মাথাটাকে কাঁঠাল গাছের ডালে ফটফট করে ঠুকতে লাগল। বেশ কয়েক বার ঠোকার পর মাছটা নেতিয়ে পড়ল। আর মাছরাঙাও ধীরেসুস্থে তাকে খেয়ে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ল জলে। আর আমি পাখিটার বুদ্ধি দেখে হতবাক হয়ে গেলাম।
তিয়াষ চক্রবর্তী। সপ্তম শ্রেণি, ইছলাবাদ বিবেকানন্দ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার িস্ট্রট, কলকাতা ৭০০০০১