রঙিন প্রজাপতি
এক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ঘরে একটা বড় শুঁয়োপোকা। তাড়াতাড়ি সেটাকে একটা পিচবোর্ডে করে তুলে একটি খালি শিশিতে ঢুকিয়ে দিলাম। মা শিশি-র ঢাকনায় ক’টা ফুটো করে দিল। প্রতি দিন স্কুল থেকে এসে কয়েকটা করে পাতা দিই, আর চুপ করে দেখি। কিছু দিন পর হঠাৎ এক দিন স্কুল থেকে আসার পরই মা বলল, ‘একটা মজার জিনিস দেখে যা’। শিশির কাছে গিয়ে দেখি ওতে শুঁয়োপোকাটা নেই, একটা সুন্দর প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রজাপতিটাকে শিশিতে রাখতে ইচ্ছা করল না। তাড়াতাড়ি ঢাকনা খুলে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ও শিশি থেকে বেরিয়ে এল। এ ঘর ও ঘর উড়তে লাগল, কিন্তু বাড়ি থেকে গেল না। আজ সাত-আট দিন হয়ে গেল ও আমাদের বাড়িতেই রয়ে গেছে। মনে হয় ও আমাদের পরিবারের এক জন।
সৌনক চক্রবর্তী। দ্বিতীয় শ্রেণি, অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন, সল্টলেক
কালো ডেঁয়োর কাণ্ড
আমাদের ঠাকুরঘরের তাকে বাবা প্রতিদিন পুজো করার সময় প্রসাদের একটা ছোট থালায় দশটা করে নকুলদানা দেন। রোজ নকুলদানা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য কালো ডেঁয়ো পিঁপড়ে সেগুলো খাওয়ার জন্য প্রসাদের থালায় ভিড় জমায়। প্রসাদের থালাটা কালো ডেঁয়োদের জন্য কালো হয়ে যায়। এক দিন থালাটার মাঝে দুটো নকুলদানার উপর একটা জবাফুলের পাপড়ি পড়েছিল। ফলে, মাঝের নকুলদানা দুটো চাপা পড়ে গিয়েছিল। অন্য নকুলদানাগুলোর উপর অসংখ্য ডেঁয়ো এমন ভাবে ছেঁকে ধরেছিল যে, একটা বড় কালো ডেঁয়ো কিছুতেই কোথাও থালায় জায়গা করতে পারছিল না। সে মাঝের নকুলদানা দুটো খাওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু জবা ফুলের পাপড়ির জন্য অসুবিধে হচ্ছে। তখন ডেঁয়োটা বুদ্ধি করে পাপড়িটা মুখে করে টেনে থালার বেশ কিছুটা দূরে এসে ফেলে গেল। তার পর প্রসাদের থালায় উঠে মাঝের নকুলদানা দুটো খেতে লাগল। বড় ডেঁয়োর কাণ্ড দেখে খুব অবাক হলাম।
অনন্যা গঙ্গোপাধ্যায়। ষষ্ঠ শ্রেণি, পাঠভবন, ডানকুনি
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১