Advertisement
E-Paper

নজরদার

বাড়িতে ইঁদুরের উৎপাতে সবাই অতিষ্ট। জামা-কাপড়, লেপ-তোষক, বইপত্র কেটে সর্বনাশ করে। তাই ইঁদুর নাশের জন্য মাঝে-মাঝেই মুড়ি বা বিস্কুটে বিষ মাখিয়ে ইঁদুর ঢোকার জায়গায় খবরের কাগজে করে রেখে দেয় মা।

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০০

ইঁদুরের কী কাণ্ড

বাড়িতে ইঁদুরের উৎপাতে সবাই অতিষ্ট। জামা-কাপড়, লেপ-তোষক, বইপত্র কেটে সর্বনাশ করে। তাই ইঁদুর নাশের জন্য মাঝে-মাঝেই মুড়ি বা বিস্কুটে বিষ মাখিয়ে ইঁদুর ঢোকার জায়গায় খবরের কাগজে করে রেখে দেয় মা। আর প্রতিদিনই ইঁদুর ধরার কল পাতা থাকে। বিষ খেয়ে বাড়ির নানান জায়গায় ইঁদুর মরে পড়ে থাকে। আর প্রায় দিনই কলের মধ্যে ইঁদুর ধরা পড়ে। কলে জ্যান্ত ইঁদুর ধরা পড়লে কিছু ক্ষণের জন্য আমার খেলার সাথি হয়।

ইঁদুরের গায়ের রং কালচে ধূসর, মুখটা সূচালো, দাঁতগুলো ছোট ছোট, কানটা খাড়া, গোঁফটা বেশ মজার, লেজটা লম্বা। আমি কলের মধ্যে বিস্কুট-মুড়ি দিলে ও কুটকুট করে খায় আর আমার দিকে পিটপিট করে তাকায়। মায়ের অগোচরে আমি বাইরে গিয়ে কলের দরজা খুলে ইঁদুর ছেড়ে দিই, তার জন্য আমার ভাগ্যে বকুনি জোটে। আমার গানের তানপুরাটা এক দিন সরাতে গিয়ে মা চেঁচিয়ে উঠে বলল, ‘ইঁদুরের বাচ্চা’। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দেখি বেড়োর মধ্যে পাঁচটা বাচ্চা গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে। সদ্যোজাত বাচ্চা তাই গায়ের রং লালচে।

অর্ণব চোংদার। পঞ্চম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়

মাছরাঙার সংসার

বাড়ির পাশের পুকুরের ধারে একটা নীল পাখি লম্বা ঠোঁটের মধ্যে পুঁচকে মাছ নিয়ে বসেছিল। দেখেই বুঝলাম মাছরাঙা। আর এক দিন দেখলাম, মাছরাঙাটা জলে এমন ডুব দিল, আর বেরোলই না। দেখে খুব চিন্তা হচ্ছিল। এক দিন যখন বাবা আর আমি সাঁতার কাটছিলাম, তখন মাছরাঙাটা দেখলাম সুড়ুৎ করে একটা গর্তে ঢুকে পড়ল। দেখলাম, ক’খানা ছানাপোনা। ছানাগুলো ছোট্ট ছোট্ট নীল বলের মতো। কয়েক দিন বাদে দেখি, বাচ্চা দুটো ওদের মায়ের সঙ্গে পুকুর পাড়ের আম গাছের ডালে বসে আছে। ওদের বুক সাদা। তিন জনের পিঠের সুন্দর নীল রং দেখে চোখ সরাতে পারছিলাম না।

নভোনীল বিশ্বাস। তৃতীয় শ্রেণি, সেন্ট জেভিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, পানিহাটি

নজরদার

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:

নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy