বাধ্য কাক, অবাধ্য কুকুর
রোজ সকালে আমাদের বাড়িতে এক জন অতিথি আসে! সে জানে বাবা কখন মাছ নিয়ে আসবে আর মা কখন সেটা পরিষ্কার করবে। রান্নাঘরের জানলায় চুপ করে অপেক্ষা করে মাছের আঁশ, আর ফুলকোর জন্যে। একদম বিরক্ত করে না, খাবার পেয়ে গেলে মুখে নিয়ে উড়ে যায়। শনিবার আসে না। কারণ, শনিবার আমরা নিরামিষ খাই। আর এক জন অতিথি যার জন্যে আমরা বিরক্ত। সে এক জন নেড়ি। আমাদের কোলাপসিব্ল গেট দিয়ে দু’তিন তলা উঠে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করে নেমে যায়। স্কুলে যাওয়ার সময় সিঁড়ি দিয়ে সাবধানে নামি। বাবা বলেন, ‘মাড়িয়ে ফেলো না।’
দীপ্র মুখোপাধ্যায়। তৃতীয় শ্রেণি, আদিত্য অ্যাকাডেমি
কাঠবিড়ালি ও শালিকের বন্ধুত্ব
প্রতিদিন বিকেলে আমাদের বাড়ির উঠোনে দু’টি কাঠবিড়ালি ও চারটি শালিক আসে। ওদের রোজ মুড়ি ও বিস্কুট দিই। ওরা ভাগাভাগি করে খায়। ওদের কখনও ঝগড়া দেখিনি। কোনও কোনও দিন যদি কেউ না আসে, তা হলে অন্যরা কিছু খেতে চায় না। ওদের মিষ্টি বন্ধুত্ব আমার ভাল লাগে।
উৎসব আদক। তৃতীয় শ্রেণি, ভবানীপুর লিটিল হার্ট কে জি স্কুল, হাওড়া
ঠাকুরঘরে কে?
ছুটির দিনে আমি আর ঠাকুমা একসঙ্গে পুজো করি। গুজিয়া, সন্দেশ, পেয়ারা, লেবু, আপেল কেটে ঠাকুরকে দিই। একদিন বিকেলে প্রসাদ আনতে গিয়ে দেখি প্রসাদ নেই। এ কী করে হয়! কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। তার পর এক দিন দুপুরে দেখি, লিচু গাছের কাঠবিড়ালিটা তার পুচকে বাচ্চাটাকে নিয়ে তাদের ছোট্ট হাত দিয়ে লেবু, পেয়ারা, গুজিয়া খাচ্ছে। আরও দেখি, দোতলার চড়াই, পিছনের বাগানের শালিক, ছাতারে পাখিরা ঠাকুরঘরে এসে তাদের ছোট্ট ঠোঁট দিয়ে ঠুকে ঠুকে গুজিয়া খাচ্ছিল।
আলাপন জ্যোতি। তৃতীয় শ্রেণি, কাশিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাওড়া
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি
বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা
বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও
ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে
পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy