দেখলে এক ঝলকে ফিশফ্রাই বলে ভুল হতে পারে। কিন্তু এই ‘ফিশফ্রাই’-এ মাছ নেই। পুরোটাই নিরামিষ। বানানো হয় মাটির নীচ থেকে তোলা শস্য ওল দিয়ে। খেতেও হয় সুস্বাদু।
ওল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। গোটা ভারতেই ওল খাবার চল রয়েছে। যদিও বঙ্গসন্তানদের সঙ্গে ওলের আড়ি হয়ে যায় সেই ছোট থেকেই। ‘ওল খেয়ো না ধরবে গলা’ শুনেই ওল সম্পর্কে ভয় জমে মনে। আসলে ওলে থাকা সিস্ট গলায় যাওয়ার সময় অস্বস্তি তৈরি করে। যা ক্ষতিকর নয়।
ওল নানা ভাবে খাওয়ার চল আছে বাংলায়। প্রতিটি খাবারই সুস্বাদু। তবে আলিয়া ভট্টের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর যে রন্ধনপ্রণালীটি শিখিয়েছেন সেটি বাংলার নয়। রুজুতা বলেছেন, রেসিপিটি মহারাষ্ট্র এবং কোঙ্কন উপকূলে জনপ্রিয়। তবে এই খাবারটি এক বার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছে হবে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ৪০০ গ্রাম ওল
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
২ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
১ চা চামচ ধনেগুঁড়ো
১ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চা চামচ কোরানো পেঁয়াজ (না-ও দিতে পারেন)
১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
২-৩টি পাকা তেঁতুল
আধ কাপ সুজি
৪ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
ভাজার জন্য তেল
প্রণালী: ওলের খোসা ছাড়িয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে বড় বড় ২-৩টি টুকরোয় কেটে সেদ্ধ হতে দিন। তবে প্রেসার কুকারে নয়। একটি বড় আর কানি উঁচু প্যানে অর্ধেক জল ভরে আঁচে বসান। তার মধ্যে ওলের টুকরো আর তেঁতুলের টুকরো দিয়ে ফুটতে দিন। তাতে ওল খেলে আর গলায় অস্বস্তি হবে না।
৩-৪ মিনিট আঁচে রেখে আঁচ বন্ধ করুন। কারণ ওই ওল ভাজতেও হবে। বেশি সেদ্ধ হয়ে গেলে আর রান্নাটি করা যাবে না। জল ঠান্ডা হলে ওলের টুকরোগুলো স্লাইস করে কেটে নিন। খুব মোটাও হবে না, খুব বেশি পাতলাও হবে না।
একটি থালায় হলুদ, ১ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো, ধনে, জিরে, আদা-রসুন বাটা এবং কোরানো পেঁয়াজ একসঙ্গে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে দিন লেবুর রস। এ বার ওলের স্লাইসগুলো ওই মিশ্রণে ভাল ভাবে মাখিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, টুকরোগুলো যেন ভেঙে না যায়।
আর একটি থালায় সুজি আর চালের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে মেশান ১ চা চামচ গুঁড়ো লাল লঙ্কা। শুকনো ওই মিশ্রণে মশলা মাখানো ওলের টুকরোগুলো ভাল ভাবে মাখিয়ে নিয়ে গরম তেলে ভেজে তুলুন।
ডুবোতেলে ভাজতেই হবে এমন নয়। সাঁতলেও ভাজতে পারেন।
এটি স্ন্যাকস হিসাবে খেতে যেমন ভাল লাগবে, তেমনই ডাল ভাতের সঙ্গে ভাজা হিসাবেও রাখা যেতে পারে।